কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার শনপাপড়ি
আজ বৃহস্পতিবার
১০ আগষ্ট ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।"স্টিম ফর ট্রেডিশনে" আপনাদেরকে স্বাগতম আজকে আমি আপনাদের কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী শনপাপড়ি নিয়ে বলবো এবং দেখাবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে শনপাপড়ি। যে শনপাপড়ির সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। শনপাপড়ি একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। কুষ্টিয়ার বিখ্যাত এই শনপাপড়ি সমগ্র বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এটি দেখতে সুতার মতো এবং ওজনে হালকা। দুধ, চিনি, আটা এবং ঘিয়ের মিশ্রনে এই শনপাপড়ি তৈরি করা হয়।
ছোটবেলায় দেখতাম গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এইসব শনপাপড়ি বিক্রি করতো কিছু বিক্রেতা, লোহা ভাঙ্গা, টিন ভাঙ্গা। ছেঁড়া জুতা ইত্যাদির বিনিময়ে এই শনপাপড়ি দিতো। সেই শনপাপড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগতো। শৈশবে শনপাপড়ি কেনার জন্য বাবার কাছে বায়না ধরতাম। বাবা কিনেও দিতো।
কিছুদিন আগে আমি ঘুরতে রংপুরের ভিন্ন জগতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে আমার চোখে পড়লো শনপাপড়ি। সেই শনপাপড়ি দেখেই শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ভিন্ন জগতে দেখতে পেলাম কুষ্টিয়ার বিখ্যাত শনপাপড়ি বিক্রি করছে দোকানদাররা। এই শনপাপড়ির চাহিদা ব্যাপক। এই শনপাপড়ি কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় জমে আছে । এই কুষ্টিয়ার বিখ্যাত শনপাপড়ি এতটাই সুস্বাদু যে,একবার খেলে বার বার খেতে মন চায়। তাই আমিও কিনে নিয়ে আসলাম।
এ শনপাপড়ি গুলো এতটাই সুস্বাদু যে, সেই ছোট বেলায় কিনে খেতাম সেই রকম ই স্বাদ রয়েছে। এ বক্স এর দাম নিলো আমার কাছে থেকে ১০০ টাকা। তবে ১০০ টাকা নিলেও আমি সেই শৈশবের স্বাদ পেয়ে খুবই আনন্দিত।
এখন এই শনপাপড়িগুলো বিভিন্ন ধরনের পার্কে পাওয়া যায়। এবং খাদ্যের দোকানেও পাওয়া যায়। মনিহারী দোকানেও শনপাপড়ি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এই কুষ্টিয়ার বিখ্যাত শনপাপড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। রেল স্টেশনে, বাস টার্মিনালে এবং কি ট্রেন ও বাসের ভিতরে হকারদের এই শনপাপড়ি বিক্রি করতে দেখা যায়। এই শনপাপড়ি বিক্রি করেই হকাররা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। শনপাপড়ির তৈরির কারখানায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
কুষ্টিয়াতে বেশ কয়েকটা শনপাপড়ি তৈরির কারখানা রয়েছে। যে কারখানায় যুগ যুগ ধরে শনপাপড়ি তৈরি হয়। এই শনপাপড়ি এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হচ্ছে।
তবে ভাগ্য বদল হয়নি শনপাপড়ি কারখানার শ্রমিকদের। তারা অল্প টাকা বেতনে চাকরি করে তাদের সংসার চালাতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই এসব শ্রমিকদের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি দেওয়া উচিত। তাহলে তাদেরও ভাগ্য বদল হবে। সবকিছুর দাম বাড়লেও শনপাপড়ির দাম এখনো তুলনামূলক অনেক কম। এই খাবারটি শিশু-কিশোরদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
আমার ইচ্ছে আছে কখনো কুষ্টিয়া গেলে। আমি এই শনপাপড়ি তৈরীর কারখানা ঘুরে দেখে আসবো। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত খাবারটি, আমি অনেক মিস করি। তাইতো কোথাও দেখলে কিনে নিয়ে আসি। আপনাদের কার কার শনপাপড়ি পছন্দ তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। এবং কি ছোটবেলায় যারা শনপাপড়ি খেয়েছেন সেটিও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই। আবারও লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইলঃTECNO CAMON 16 PRO |
ধরণ | কুষ্টিয়ার বিখ্যাত শনপাপড়ি |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | রংপুর |
|
---|
শন পাপড়ি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। কিন্তু এখন আর তেমনভাবে দোকানগুলোতে শন পাপড়ি দেখতে পাওয়া যায় না। ছোট বড় সবাই এই শন পাপড়ি খেতে পছন্দ করে। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া । আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1689566282704977920?t=WjM4q4pC9x6CybHSO9VEpQ&s=19
আমার আগে জানা ছিল না যে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত খাবার শান পাপড়ি।শান পাপড়ি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।এগুলো দেখতে কিছুটা সেমাই এর মত। তবে মুখে দিলেই গলে যায়।ছোটবেলায় আমরা খুবই শান পাপড়ি খেয়ে ছিলাম।আগে বিভিন্ন ভাঙ্গাচুরা জিনিস এর পরিবর্তে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন এগুলো বিভিন্ন পার্ক,বাস স্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যায়।আর মূল্যও আগের তুলনায় অনেক বেশি।ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টটি অনেক তথ্যবহুল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এক সময় অনেক প্রিয় ছিল এই শানপাপড়ি।আগে যখন গ্রামে কাধে করে লোকেরা এই শানপাপড়ি নিয়ে আসতো তখন অনেক বায়না করতাম কিনে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন এগুলো আর দেখা যায় না বললেই চলে।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট বেলায় আমি খুবই শানপাপড়ি খাইছিলাম এবং বন্ধু বান্ধবদের যাদু দেখাইছিলাম। জাদুটি হলো দেখ আমি মুখে দিলাম সাথে উধাও। শৈশবের পছন্দের খাবার শনপাপড়ি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ক্রিয়েট করেছেন। এসব ঐতিহ্যবাহী খাবার দেখলে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী শনপাপড়ি নিয়ে পোস্ট করার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শনপাপড়ি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। শনপাপড়ির ছবিগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। ছোটবেলায় চাল,ভাঙ্গাচুরা দিয়ে শনপাপড়ি খাবারটি কিনে খেতাম। কিন্তু এখন তো এই খাবারটি তেমন একটা দেখাই যায় না। কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামের এক দোকান থেকে শনপাপড়ি খেয়েছিলাম কিন্তু আগের মতো আর স্বাদ নেই।আপনার তোলা শনপাপড়ির ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শন পাপড়ি নামটি শুনলেই আমি আমার শৈশবে ফিরে যাই। ছোটবেলায় আমি নিজে নিজে কিনে যত রকমের খাবার খেয়েছি তার মধ্যে শন পাপড়ি সবচেয়ে বেশি খেয়েছি। তখন এই শন পাপড়ির দামও খুব বেশি ছিল না। ১-২ টাকা দিয়ে এগুলো কিনতে পাওয়া যেত। হলদিরামের শন পাপড়ি বাজারে বেশি জনপ্রিয় এবং খেতেও সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার শনপাপরি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। ২০১০ এর আগে যাদের জন্ম তারা এটা খুব ভালো করেই চিনে থাকবে। আমার মনে আছে আমি ছোটবেলায় মাটির ব্যাংক ভেঙে টাকা নিয়ে গিয়ে শনপাপরি খেয়েছিলাম। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শনপাপড়ি আমাদের কুষ্টিয়া ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি। এই শনপাপড়ি কুষ্টিয়া বড়বাজার নিলপাড়ায় তৈরি করা হয়। ওইখানে এর ফ্যাক্টরি রয়েছে। আমাদের কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী খাবার শনপাপড়ি সম্পর্কে খুব সুন্দর আলোচনার মাধ্যমে অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।