ডাল ঘাটুনি যা আগে রান্না ঘরে দেখা যেত
সবাইকে আদাব
আমি @biplobsarker
তারিখঃ২৩-০৩-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
মানুষ আধুনিকতার ছোঁয়ায় কিছু কিছু জিনিস যা আগে ব্যবহার করত এখন সেগুলো আর ব্যবহার করে না। তেমনি একটি বিশেষ বস্তু যেটা নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব এটি হচ্ছে ডাল ঘাটুনি। এই ডালঘাটুনি আগে সবাই রান্না ঘরে ব্যবহার করত। তবে এখন আর এটি তেমন ব্যবহার করা দেখা যায় না। এখন ডাল ঘাটুনির পরিবর্তে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র বাহির হয়েছে। যেগুলো দিয়ে সবাই সহজে ডাল ঘুটিয়ে নেয়।
ডালঘাটুনি লোহার একটি লম্বা দন্ড দিয়ে তৈরি লোহাকে লম্বা করে কেটে নিয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট মাপে কেটে নেওয়া হয়। এরপর এর নিচে লোহার ছোট টুকরো করে লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ছোট লোহার টুকরোগুলো দিয়ে ডালগুলোকে ভেঙ্গে নেওয়া হয়। ডাল সেদ্ধ করা হয়ে গেলে এই ডাল ঘাটুনি দিয়ে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ডাল গুলোকে ভেঙ্গে নেওয়া হয়। এই কাজটি আগে সবাই এভাবে করতো কিন্তু এখন এভাবে আর কেউ করে না খুব কম মানুষ এটি ব্যবহার করে। সবাই এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিভিন্ন রকমের যন্ত্র ব্যবহার করে আবার কেউ প্রেসার কুকার ব্যবহার করে ডাল একবার সিদ্ধ করে নেয় যাতে আর ডাল খাটুনি ব্যবহার করতে হয় না। আমাদের বাড়িতে রান্নাঘরে এই ডাল ঘাটুনি টি রয়েছে এবং এটি দিয়ে মাঝে মাঝে ডাল ঘুটিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে প্রেসার কুকারে ডাল গলিয়ে নেওয়া হয় যার ফলে এটি আর ব্যবহার করা হয় না।
এই ডাল ঘাটুনি এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। এগুলো আমাদের কে সংগ্রহ করে রাখতে হবে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এগুলো নিয়ে জানাতে হবে। যে আগে মানুষ কিভাবে কষ্ট করে এ কাজগুলো করতো। আমরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন খুবই অলস হয়ে গেছি যার ফলে আমরা এখন আর কষ্ট করে কোন কিছু করতে চাই না। প্রযুক্তি আমাদের নতুন নতুন অনেক যন্ত্রের উপহার দিয়েছে, যার ফলে আমরা সেগুলো ব্যবহার করে আমাদের কাজ সহজে করে নেই। কিন্তু আমাদের এটা ভেবে দেখতে হবে যে আসলে আমরা ঐতিহ্যগুলো ভুলে যাচ্ছি এবং আমরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করছি। কারণ আগের এই জিনিসগুলো ব্যবহার করলে হালকা শরীরের ব্যায়াম হতো কিন্তু এখন সেই কাজ না করার কারণে শরীরের অনেক রোগব্যাধি বাসা বাঁধছে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দেখা দিচ্ছে শরীরে এবং মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
পরিবেশে আমি বলতে চাই যে, আমাদের এই ঐতিহ্য গুলোকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং এগুলোকে সংগ্রহ করে আমাদের রাখতে হবে। যাতে আমরা এগুলো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এগুলো তুলে ধরতে পারি এবং তাদেরকে এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানাতে পারি।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Information | Details |
---|---|
Topic | Tradition |
Camera | Samsung Galaxy A52 |
Editing | Yes |
Location | Parbatipur,Dinajpur, Bangladesh |
Photographer | @biplobsarker |
ডাল খাটুনি হলো গ্রাম বাংলার মহিলাদের এক অন্যতম সরঞ্জাম। জেটি দিয়ে তারা ডাল বলেন কচু বলেন আরও অন্যান্য জিনিস ঘাঁটাঘাটি করে। রান্নার কাজে খুব সহজভাবে এটি ব্যবহার করা হয়।যার ফলে রান্না অনেক ভালো হয়। এটি বর্তমানে প্রায় বিলুপ্তির পথে। শুধুমাত্র বলা চলে গ্রামবাংলায় তবুও দেখা যায় কিছু কিছু জায়গায়। ধন্যবাদ ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি বেশ ভাল পোস্ট করেছেন। ছবিগুলো বেশ দারুন হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
ডাল ঘাটুনি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপনি, গ্রামের প্রতিটা ঘরে ঘরে এই ডাল ঘাটুনি রয়েছে, আমাদের মা দাদি রা তরকারি রান্না করার সময় তারা কিন্তু এই ডাল ঘাটুনি দিয়ে সব গুলো মিক্স করে।এটা কিন্তু আমাদের পুরনো দিনের অভ্যাস, কারন আমরা যদি ডালের তরকারি রান্না করি তখন আমাদের প্রথম হাতিয়ার হবে এই ডাল ঘাটুনি,তবে এখন এই ডাল ঘাটুনি খুব কম দেখা যায়, আবার এই ডাল ঘাটুনি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন বাঁশের তৈরি হয়ে থাকে আবার লোহার তৈরি ঘাটুনি হয়ে থাকে। আবার প্লাস্টিকের তৈরি হয়ে থাকে। আগের মানুষ কিন্তু ডালের ঘাটুনি ব্যবহার না করলে তারা তরতারিটা মিক্স করতে পারে না। তবে আমার জানা মতে এই সব ঘাটুনির আগে বাঁশের তৈরি ঘাটুনি ব্যবহার করতো। সবার ঘরে ঘরে এই বাঁশের তৈরি ঘাটুনি ছিল, কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক ধরনের ঘাটুনি বের হয়েছে, যার কারনে এই বাঁশের তৈরি ঘাটুনি আর দেখা যায় না। ডাল।তরকারি রান্না করলে আমাদের ঘাটুনি ব্যবহার করতেই হয়।আর এখন অনেক মানুষের অনেক সুখ,কারন এখনকার মানুষ বেশির ভাগ সবাই পেসারকুকারে রান্না করে, তাই এখন সবাই এই ডাল ঘাটুনি খুব কম ব্যবহার করে। আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমার বাসায় একটি বাঁশের তৈরি ডাল ঘাটুনি আছে। গ্রামের মেলায় কিনেছিলো এই ডাল ঘাটুনি। কিন্তু এখন আর তেমন এই ডাল ঘাটুনি দেখতে পাওয়া যায় না। আধুনিকতার ছোয়ায় প্রায় বিলুপ্তির পথে এই ডাল ঘাটুনি। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
ডাল ঘাটুনি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে আমার জানা মতে এই সব ঘাটুনির আগে বাঁশের তৈরি ঘাটুনি ব্যবহার করতো। সবার ঘরে ঘরে এই বাঁশের তৈরি ঘাটুনি ছিল, কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক ধরনের ঘাটুনি বের হয়েছে, যার কারনে এই বাঁশের তৈরি ঘাটুনি আর দেখা যায় না।আর এই ডাল ঘাটুনি অনেক আগে থেকে প্রচলন ছিল। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন আমাদের মাঝে, খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
অসাধারণ পোস্ট, ডালঘাটুনি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ডাল তৈরি করতে এই ঘাটুনির ভূমিকা অপরিসীম। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন ভাই। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ডালঘুঁটনি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডালঘুঁটনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নার কাজে ব্যবহৃত করা হয়। ডালঘুঁটনি এটি অনেক পুরনো ও ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম। এই ডালঘুঁটনি বাঁশের তৈরি ছিল এরপর কাঠের তৈরি বানিয়েছে। এই ডালঘুঁটনি দিয়ে আলুর ঘন্ট,বেগুনঘন্ট, ইত্যাটি রান্নার জন্য বিশেষ দরকারী ছিল। এই ডালঘুঁটনি এখন আর তেমন দেখা যায় না। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল অনেক সুন্দর সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ
তুই
ডাল ঘুটনি আমার বাসাতেও আছে। বাঁশের তৈরি, সেটা। মেলায় কিনেছিলাম। কিন্তু এগুলো এখন আর দেখা যায় না। আর এখন ডাল ঘোটানো লাগেই না। শুধু প্রোসাকুকার এ দিয়ে দিলেই হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ
ডাল ঘাটুনি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এটি আমরা এক সময় প্রচুর ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন পেশার কুকার বাহির হওয়ার কারণে তেমন একটা দেখা যায় না। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ডাল ঘাটুনি ছাড়া ডালের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। আমাদের বাসায় আছে তবে সেটি কাঠের তৈরি। অনেক আগে থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসতেছে। অনেক পুরাতন একটা জিনিস নিয়ে পোস্ট করেছেন আপনি। ভালো লিখেছেন।শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই