ঐতিহ্যবাহী খাবার পিৎজা by @labibasultana

in Steem For Traditionlast year

ঐতিহ্যবাহী খাবার পিৎজা

received_863383724966454.jpeg

আজকে কথা বলবো পশ্চিমাদের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে তা হচ্ছে পিৎজা। যা এখন বাংলাদেশ সহ আর কয়েকটি দেশে সংস্কৃতির রূপ নিচ্ছে। এটা মূলত বাংলাদেশের মানুষের কাছে এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে রোড সাইড স্ট্রিড ফুড হিসাবেও পাওয়া যায়। কোন এক রেস্টুরেন্টে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা এক পিজ্জা নিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায়।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যা জানতে পারবেন -

১. পিৎজা নিয়ে কিছু তথ্য।
২. পিৎজা কিভাবে বানানো হয়?
৩. বাংলাদেশে কীভাবে পশ্চিমা ঐতিহ্যবাহী খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে?

পিৎজার কিছু তথ্য -

পিৎজা মূলত একটি ইতালিয়ান খাবার।কিন্তু বিশ্বে এর জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। ইউরোপীয় দের মধ্যে এটা মূল খাবার হলেও বাংলাদেশে এটি স্ট্রিড ফুড। লোক কথা করা হয় আঠারো ও উনিশ শতকের দিকে এটির উদ্ভব হয় বলে ধারণা করা হয়। এক রানীর নাম এর নামে নাম পিৎজা মারগ্যারেট।সাধারণত এই পিৎজা তে চীজ ছাড়া কোন টপিং থাকে না। ইতালিয়ান পিৎজা বিশ্ববিখ্যাত।

IMG_20230112_180834.jpg

পিৎজা বানানো হয় কীভাবে -

পিৎজা বানানোর জন্য যেই উপকরণ গুলো লাগবে তা নিচে দেওয়া হলো -

  • ময়দা
  • চিনি
  • লবন
  • টমোটো সস
  • পিৎজা সস
  • তেল
  • বাটার
  • চীজ
  • গোল মরিচ
  • ইষ্ট

এবং আপনি পিৎজা তে এছাড়া যা যা এড করতে চান তা নিতে পারেন যেমন মরিচ, অলিভ,মাশরুম ইত্যাদি।

পিৎজার প্রণালি বা বানানোর কৌশল -

১. প্রথমে পিৎজার ডো বা রুটি বানাতে হবে। ময়দা,লবন,ইষ্ট মিশিয়ে ডো বানানো হবে। তারপর অনেকটা সময় রেখে দিতে হবে। অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে।

২. তারপর ডো হয়ে গেলে হাত দিয়ে গোল করে রুটি বানিয়ে দিতে হবে। রুটির উপর টমটো সস দিতে হবে। অথবা পিৎজা সস ব্যবহার করলেও ভালো হয়।

৩. তারপর বাটার দিতে হবে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর অলিভ, মাশরুম, বা ক্যাপসিকাম, দিতে পারেন, মুরগির মাংস অথবা গরুর মাংস ও ব্যবহার করতে পারেন।

৪. এর পর ওভেনে দিয়ে দিলেই হবে। তারপর টাইম দিয়ে দিলেই হয়ে যাবে পিৎজা।

IMG_20221129_172027.jpg

বাংলাদেশে কীভাবে পশ্চিমা ঐতিহ্যবাহী খাবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে?

বাংলাদেশের মানুষ বলে না শুধু আসলে সবাই চায় নতুন কিছু করতে বা নতুন কিছু চেষ্টা করতে। প্রথম কে এই জিনিস টি বাংলাদেশে এনেছে সেটা মোটেও বলা যায় না। এখন প্রায় প্রতিটি জায়গায় এই পিৎজার দোকান দেখা যায়। শহর এলাকায় বেশি বেশি পাওয়া যায় যেমন ঢাকার মধ্যে অনেক দোকান দেখা যায় জনপ্রিয় হচ্ছে - পিৎজাবার্গ, ডোমিনোস। ডোমিনোস একটি ফরেনার ব্রান্ড মানে বাইরের দেশের। এটা অনেক বড় কারন হতে পারে যে বাংলার মানুষ পশ্চিমা সভ্যতা গ্রহন করতে পারে বা চায়। বাংলাদেশের পিৎজা আর বাইরের দেশের পিৎজার আকাশ পাতাল তফাৎ তার কারন হচ্ছে এদেশের মানুষের মুখের স্বাদ। যেমন এই দেশে কালাভুনার পিৎজা পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ সবাইকে,

আশা করি আপনার ভালো লাগবে আমার লেখাটি। আমার কোন ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।প্রতিটি ছবি আমার তোলা

"আসসালামু আলাইকুম"

contact Me -

twitter ,Linkedin,Gmail

Sort:  
 last year 

ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ছবিগুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। দেশের বাহিরে থাকা অবস্থায় অনেক খেয়েছি কিন্তু দেশে এখনো খাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। ভালো লিখেছেন আপু। শুভকামনা রইল

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া😁

 last year 

পিজ্জা আমার একটি পছন্দের খাবার। পিজ্জা তৈরিতে অনেক সময় লাগে এবং এটি অনেক কষ্টকর রেসিপি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পিজ্জা তৈরি রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আশা করি পিজ্জা খেতে বেশ ভালো হবে ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year (edited)

পিৎজা আমার পছন্দের খাবার। পিৎজার ছবিগুলো দারুণ ছিল। কোন ধরণের পিৎজা আপনার সব থেকে ভালো লাগে?

 last year 

🙄যেটার ছবি দেওয়া 😁

 last year 

পিৎজা খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে আমার কাছে, আপনি পিৎজা সম্পর্কে প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আপনার পিৎজা তৈরির কৌশলটা আমার খুবই ভালো লাগছে, অনেক ধন্যবাদ আপু

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

পিৎজা আমার খুব প্রিয়। বেশ কয়েকবার খেয়েছি তবে সস দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে এটি।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ 😁

 last year 

পিৎজা নিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, আমি এখনো পিৎজা খাই নাই, তবে আপনার পোস্ট দেখে এখনেই পিৎজা খাওয়ার ইচ্ছে করতেছে, পিৎজার ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য

 last year 

ধন্যবাদ 😁

 last year (edited)

পিজ্জা বানানোর সময় যদি লাল, সবুজ এবং হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম একসাথে ব্যবহার করা হয় তবে সেটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। আর পিজ্জা খেতে তো সবসময় মজাই লাগে।

 last year 

😐হুম কালারফুল লাগে অনেক

 last year 

পিজ্জা একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পিজ্জা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছে। আসাধারন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ 😇

 last year 
CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

 last year 

পিজ্জা আমার একটি পছন্দের খাবার। আমার অনেক ভালো লাগে। আমি বাড়িতেই পিজ্জা রান্না করতে পারি। এই পিজ্জা রান্না করতে অনেক সময় লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই পিজ্জাটি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂কিন্তু আমি বানাই নাই

 last year 

সমস্যা নাই বানানোর চেষ্টা করবেন

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68118.27
ETH 3793.84
USDT 1.00
SBD 3.46