ভাসুরের বাসায় ইফতার পার্টি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
দেখতে দেখতে রোজা প্রায় শেষের পথে।আর মাত্র এক সপ্তাহের মতো রয়েছে।অন্যান্য মাসের তুলনায় রোজার মাসে কাজের ব্যস্ততা একটু বেশি থাকে।তবে সকালবেলায় মোটামুটি ফ্রি থাকি, কিন্তু দুপুরের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় রান্না এরপর ইফতারের আয়োজন।এটি শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, আমার মনে হয় আমাদের মা বোন সকলেরই এভাবেই চলে।ঐ সময় একবার রান্নাঘরে গেলে কাজ আর সহজে শেষ হতে চায় না, ননস্টপ চলতে থাকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত।হাজবেন্ডের অপারেশনের পর এখনো রেস্টুরেন্টে ফিরতে পারেনি কারণ তার বড় ধরনের একটি অপারেশন ছিল। এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি, ড্রেসিং এখনো চলছে।প্রথমে ভেবেছিলাম ২ থেকে ৩ সপ্তাহ ড্রেসিং করলেই ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু সেটি হয়নি। যেহেতু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে কাটা হয়েছিল তাই এত বেশি সময় লাগছে।জানিনা আরো কতদিন লাগবে।যেহেতু হাজব্যান্ড এখন বাসায় থাকে তাই ইফতারের সময় আমাকে যথেষ্ট হেল্প করে।দাঁড়িয়ে থাকতে কোন প্রবলেম হয় না, কিন্তু বসতে গেলে বেশ কষ্ট হয়।হাজব্যান্ড হেল্প না করলে আরও বেশি কষ্ট হতো এই রোজার মাসে।যাইহোক গত পরশুদিন ছোট ভাসুরের বাসায় ইফতারের দাওয়াত ছিল। শুধুমাত্র দুটি ফ্যামিলি, আমরা আর আমার ভাসুর ফ্যামিলি একত্রিত হয়েছিলাম।ভাসুরের বাসায় গিয়ে দেখি ভাবী বিশাল আয়োজন করেছে ইফতারের।
ভাবীর আবার অনেক ধৈর্য রয়েছে, অনেক কিছু তৈরি করতে পারে নিমেষের মধ্যে।কিন্তু আমার এত ধৈর্য নেই। আমার কোন কিছু বানাতে গেলে প্রচুর সময় লাগে।এতো আয়োজন সে কিভাবে করতে পারে যা সত্যিই অবাক লাগে। দু-একটি আইটেম ছাড়া সবকিছুই নিজে বানিয়েছে ঘরে।ছোলা, বড়া, বেগুনি, কয়েক রকমের চপ, গ্রিল, সমুচা,আখনি বা ভুনা খিচুড়ি, ফলমূল, ইত্যাদি সহ মজার ফালুদা।
চলুনএক নজরে দেখে নেয়া যাক ভাবীর তৈরি ইফতারগুলো:
ছোলা ভুনা।
কাবাব, বেগুনি, নাগেটসহ আরো অনেক কিছুই এখানে রয়েছে।
বড়া।
চিকেন গ্রিল।
সমুচা সহ আরো কয়েক রকমের আইটেম।
আলুর চপ সহ আরও একটি আইটেম।
ফলমূল।
দারুন মজার ফালুদা।
আসলে ইফতারের সময় এত বেশি আইটেম খাওয়া যায় না।পানি পান করার পর পেট প্রায় ভরে যায়।তারপরও সবাই একটু একটু করে প্রতিটি আইটেমে টেস্ট করেছি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

রমজান মাসে সত্যি সকালের টাইমে একটু ফ্রি থাকলেও দুপুরের পর থেকে একদম বসার সময় পাওয়া যায় না।রান্না, ইকতার সব কিছু রেডি করতে হিমশিম খেতে হয়।আর ইফতারের পর তো আরো বেশী ঝামেলা।তবুও ভালো ভাইয়া আপনাকে হেল্প করে।আশাকরি এজন্য কষ্ট কিছুটা কম হচ্ছে। আপু আপনার ভাসুরের বাসার ইফতার আয়োজন দেখে অনেক বেশী ভালো লেগেছে।এতো এতো খাবারের আয়োজন করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।সবাইকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এমনটাই আশাকরি।
রমজান মাসে সকালবেলা ব্যস্ততা কম থাকলেও বিকেলের দিকটায় অনেক বেশি ব্যস্ত হতে হয়। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ইফতার আয়োজন ইফতার করা তারপর আবার ধোয়া সবকিছু মিলিয়ে আসলে অনেক ব্যস্ততায় কাটে। যাই হোক সকালের সময়টায় অনেকেই কোরআন শরীফ পড়ে কাটিয়ে দেয় । এভাবে একটা মাস চলে যায়। তবে আপনার ভাসুরের বাসায় এত এত আয়োজন দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। খুব লোভ লাগছে খাবার গুলো দেখে। দারুণ সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
বিদেশে থাকলেও এই বিকেলটুকুই আপনার কাছে অনেকটা প্রাণ সঞ্চার করে দিয়েছে মনে হচ্ছে।
আর আপনার ভাবি তো অসম্ভব গিন্নী মানুষ। এতো আয়োজন! এতো রাজকীয় যেন। যদিও বাইরে থাকতে থাকতে বেশিরভাগ লোকেই এমন হয়ে যায়৷ আপনার পার্টির খাবার গুলো বেশ লোভনীয় আপু৷ দেখে এতো রাতেও কেমন জিভে জল চলে আসছে৷
অও,আপনার ভাসুরের বাসায় জমিয়ে ইফতার পার্টি করেছেন দেখছি।এত এত লোভনীয় খাবার দেখে লোভ লেগে গেল আপু।পরিবারের সবাই মিলে ইফতার করার আনন্দই আলাদা,ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রমজান মাসে সকালে যদিও একটু ফ্রি থাকে কিন্তু আসরের পর থেকেই সবার বাসারই একই অবস্থা। আর তা চলে ইফতারের আগ পর্যন্ত। এই সময় কেউ সাহায্য করলে বেশ ভালো হয়।ভাইয়া আপনাকে সাহায্য করে জেনে বেশ ভালো লাগলো। ভাইয়ার দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। আপনার ভাবী আসলেই অনেক কাজের ।একা হাতে এতো কিছু বানিয়েছেন। যদিও ইফতারে পর এত কিছু খাওয়া যায় না। তবে সকলে মিলে এভাবে ইফতারি করলে বেশ ভাল লাগে। বেশ লোভনীয় লাগছে খাবারগুলো। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ভাইয়া তো দেখছি অনেকদিন ধরেই রেস্টুরেন্টে যেতে পারছে না অসুস্থতার কারণে। আশা করি খুব শীঘ্রই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে এবং নিয়মিত রেস্টুরেন্টে যেতে পারবে। যাইহোক আপনার ভাবী তো দেখছি বিশাল আয়োজন করেছে। একা একা এতো বড় আয়োজন করা চাট্টিখানি কথা নয়। সবাই মিলে এভাবে ইফতার করার মজাই আলাদা। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।