**গল্পের বিষয়: "বন্ধুত্বের অমলিন রং"** গ

বন্ধুত্বের অমলিন রং
একটি ছোট গ্রামে বাস করত দুই বন্ধু—সোহেল ও রাহুল। তারা ছিল একে অপরের সবকিছু। স্কুলে, মাঠে, এমনকি বাড়িতেও তাদের বন্ধুত্বের গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল। সোহেল ছিল চঞ্চল ও হাস্যোজ্জ্বল, আর রাহুল ছিল শান্ত ও গম্ভীর। তাদের বন্ধুত্বের রং ছিল অমলিন, কখনো মলিন হয়নি।
একদিন, গ্রামের এক প্রাচীন গাছের নিচে বসে তারা নিজেদের স্বপ্ন নিয়ে আলোচনা করছিল। সোহেল বলল, "আমি বড় হয়ে একজন শিল্পী হতে চাই। আমি আমার আঁকাগুলো দিয়ে মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে চাই।" রাহুল হাসতে হাসতে বলল, "আর আমি চাই একজন বিজ্ঞানী হতে। আমি নতুন নতুন আবিষ্কার করতে চাই।"
কিন্তু একদিন সোহেল একটি বড় দুর্ঘটনায় আহত হল। তার হাত ভেঙে গেল এবং সে আঁকা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল। সেই সময় রাহুল তার পাশে দাঁড়িয়ে বলল, "ভয় পেও না, আমি তোমার জন্য সবকিছু করব। তুমি আবার আঁকতে পারবে।"
রাহুল সোহেলের চিকিৎসা করল এবং প্রতিদিন তার জন্য নতুন নতুন রং ও ক্যানভাস নিয়ে আসত। সোহেল ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করল এবং রাহুলের অনুপ্রেরণায় আবার আঁকতে শুরু করল। তাদের বন্ধুত্বের রং আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
একদিন, সোহেল একটি বড় প্রদর্শনীতে তার আঁকা ছবি প্রদর্শন করার সুযোগ পেল। সে জানত, রাহুল ছাড়া সে এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। প্রদর্শনীতে রাহুল সোহেলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, সবার সামনে তাদের বন্ধুত্বের শক্তি প্রকাশ পেল। সোহেল তার ছবির মাধ্যমে বন্ধুত্বের গুরুত্ব তুলে ধরল।
প্রদর্শনীটি সফল হল এবং সোহেল তার স্বপ্ন পূরণ করল। তবে, সে জানত, এই সফলতার পিছনে রাহুলের অবদান ছিল সবচেয়ে বড়। তারা বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের অমলিন রং কখনো মলিন হয় না, বরং তা সময়ের সাথে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
সোহেল ও রাহুলের বন্ধুত্বের গল্প গ্রামের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে গেল। তারা জানত, সত্যিকারের বন্ধুত্বের রং কখনো মলিন হয় না, বরং তা চিরকালীন।
এভাবেই তাদের বন্ধুত্বের অমলিন রং চিরকাল অটুট রইল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.