"বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন" গল্পের শুরু একটি ছোট গ্রামে,
বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন
একটি ছোট গ্রামে ছিল দুই বন্ধু, রাহুল ও সোহান। গ্রামের নাম ছিল শান্তিপুর। শান্তিপুরের চারপাশে ছিল সবুজ পাহাড় এবং নদী, যেখানে তারা প্রতিদিন খেলাধুলা করত। রাহুল ছিল খুব প্রাণবন্ত এবং হাস্যোজ্জ্বল, আর সোহান ছিল একটু শান্ত প্রকৃতির। তারা দুজনেই একে অপরের সাথে সব সময় সময় কাটাত।
একদিন, গ্রামের স্কুলে একটি বড় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে চলেছিল। সেখানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সবাই। রাহুল এবং সোহান সিদ্ধান্ত নিল তারা একসাথে একটি নাটক পরিবেশন করবে। তারা দিনরাত rehearsals করতে লাগল। তাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছিল।
কিন্তু হঠাৎ একদিন, সোহান একটি দুর্ঘটনার শিকার হলো। সে পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলল। রাহুল খুব চিন্তিত হল। সে জানত, সোহানের নাটকে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু রাহুল হাল ছাড়ল না। সে সোহানের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহস দিল।
"দোস্ত, তুমি চিন্তা করো না। আমি তোমার জন্য সবকিছু করব। তুমি শুধু সুস্থ হয়ে ওঠো," রাহুল বলল।
সোহান জানাল, সে নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখে দিতে চায়। রাহুল সেই স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে লাগল। সে সোহানের লেখা অনুযায়ী নাটকটি মঞ্চস্থ করার জন্য প্রস্তুতি নিল।
অনুষ্ঠানের দিন এসে গেল। রাহুল সোহানের লেখা নাটকটি মঞ্চে উপস্থাপন করল। সোহান তার বাড়িতে বসে টিভির মাধ্যমে নাটকটি দেখছিল। নাটকটি সফলভাবে সম্পন্ন হলো এবং সবাই রাহুলের অভিনয় ও সোহানের লেখার প্রশংসা করল।
শেষে, সোহান রাহুলকে ফোন করে বলল, "তুমি আমার জন্য যা করেছ, তার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ। আমাদের বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন কখনো ভাঙবে না।"
রাহুল হাসতে হাসতে বলল, "বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন কখনো ভাঙে না, বরং আরও শক্তিশালী হয়।"
সেই দিন থেকে, তাদের বন্ধুত্ব আরও গভীর হলো। তারা বুঝতে পারল, সত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, কঠিন সময়ে সাহস দেওয়া এবং একসাথে স্বপ্ন দেখা।
এভাবেই বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তাদের জীবনকে আরও সুন্দর এবং অর্থবহ করে তুলল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.