একটি ছোট শহরে দুই বন্ধু, সুমি ও রনি, একসাথে বড় হয়েছে।

সুমি ও রনির গল্প
একটি ছোট শহরে, যেখানে সবকিছুই শান্ত ও সুন্দর, সেখানে দুই বন্ধু সুমি ও রনি একসাথে বড় হয়েছে। তারা একে অপরের প্রতিবেশী ছিল এবং একসাথে খেলাধুলা, পড়াশোনা ও নানা রকমের দুষ্টুমি করেই সময় কাটাত।
বন্ধুত্বের শুরু
সুমি ছিল খুবই চঞ্চল এবং হাসিখুশি। সে সবসময় নতুন কিছু করার জন্য উদগ্রীব থাকত। অন্যদিকে, রনি ছিল একটু লাজুক, কিন্তু খুবই মেধাবী। তাদের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল একদিন, যখন সুমি রনির বাড়ির সামনে একটি ছোট্ট পাখির বাসা দেখতে পায়। সে রনিকে ডাক দেয় এবং তারা দুজন মিলে পাখির বাসা দেখার জন্য সেখানে যায়। সেই দিন থেকেই তাদের বন্ধুত্বের শুরু।
একসাথে বেড়ে ওঠা
সুমি ও রনি একসাথে স্কুলে যেত, খেলাধুলা করত এবং পড়াশোনা করত। তারা একে অপরকে সবসময় সাহায্য করত। সুমি যখন কখনো ক্লাসে পিছিয়ে পড়ত, রনি তাকে সাহায্য করত। আবার যখন রনি ক্রিকেট খেলতে ভয় পেত, সুমি তাকে উৎসাহিত করত। তাদের বন্ধুত্ব ছিল সত্যিই অনন্য।
একটি চ্যালেঞ্জ
একদিন, শহরের স্কুলে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলেছিল। সুমি ও রনি সিদ্ধান্ত নিল তারা সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। সুমি অভিনয়ে এবং রনি আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করল। তারা একসাথে বেশ কিছু প্রস্তুতি নিল। কিন্তু প্রতিযোগিতার দিন, সুমি অসুস্থ হয়ে পড়ল। রনি হতাশ হয়ে গেল, কিন্তু সে সুমিকে সাহস দিল।
“আমি তোমার জন্য অভিনয় করবো, তুমি আমার পাশে থাকো,” রনি বলল। সুমি তার বন্ধুর সাহসে উজ্জীবিত হয়ে উঠল।
প্রতিযোগিতার দিন
প্রতিযোগিতার দিন এসে গেল। রনি মঞ্চে উঠে সুমির জন্য অভিনয় শুরু করল। সুমি তার পাশে বসে রনির অভিনয় দেখছিল। রনি তার সেরা অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করল। শেষে, তারা প্রথম পুরস্কার জিতল। সুমি ও রনি একসাথে আনন্দে নেচে উঠল।
বন্ধুত্বের মূল্য
সুমি ও রনি বুঝতে পারল, বন্ধুত্বের শক্তি আসলে একে অপরকে সমর্থন করা এবং একসাথে সবকিছুর মোকাবিলা করা। তাদের বন্ধুত্ব শুধু একটি সম্পর্ক নয়, বরং একটি শক্তিশালী বন্ধন যা সব বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম।
উপসংহার
সুমি ও রনি আজীবন বন্ধু হয়ে থাকবে। তাদের গল্প ছোট শহরের মানুষের মধ্যে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে যে, সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখনো শেষ হয় না, বরং তা আরও শক্তিশালী হয়।
সেই ছোট শহরের এক কোণে, সুমি ও রনি তাদের বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে থাকবে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.