কেটে গেল ব্যস্ততম একটি দিন

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

polish_save.jpeg

বাসায় গেস্ট এসেছিল তাই আজ সারাদিন অনেক ব্যস্ততার সাথে কেটেছে।আসলে এখানে আত্মীয়-স্বজন বাসায় এলে খুব বেশি কাজের চাপ পড়ে কারণ এখানে হেল্প করার মত কেউ থাকে না। তবে আমার ভাগ্য অনেক ভালো কারণ হাজব্যান্ড আমাকে যথেষ্ট হেল্প করে যখন কোন আত্মীয়-স্বজন বাসায় আসে।কাটাকাটি থেকে শুরু করে সবকিছু আমাকে রেডি করে দেয় এ কারণে আমার কাজের প্রেসার একটুখানি কম পড়ে।তবে আমি কিন্তু ছোটবেলা থেকেই রান্না বান্নার ধারের কাছেও যেতাম না, রান্নাবান্না করতে আমার মোটেও ভালো লাগতো না, এমনকি এখনো ভালো লাগে না। কিন্তু তারপরও কি আর করা? রান্না তো করতেই হবে।মেয়েরা কিন্তু মায়ের কাছ থেকে রান্না করা শিখে আসে। কিন্তু আমি যেহেতু রান্নাবান্না কখনোই করিনি তাই কোন রান্নায় আমি করতে পারতাম না। বিয়ের পর যখন লন্ডন আসি তখন হাজবেন্ডের কাছে থেকে রান্না শিখি। আর হাসবেন্ড যেহেতু অনেক দিন ধরে লন্ডনে আছে তাই রান্না না শিখে কোন উপায় নেই। এ দেশে ছেলে মেয়ে যারা থাকে তাদের প্রত্যেকেরই রান্না জানতে হয়।না জানলেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে ধীরে ধীরে শিখে ফেলে।যেমন আমি এখন সব ধরনের রান্নাই শিখে ফেলেছি।আর একটি কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আসলে প্রথম যখন লন্ডন এসেছিলাম, যেহেতু রান্না করতে পারতাম না তাই হাজবেন্ড দুই বছর আমাকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার পাঠিয়েছে।রেস্টুরেন্টের স্টাফদের জন্য যখন খাবার রান্না করা হতো সেখান থেকে আমার জন্য হাজব্যান্ড প্রতিদিন খাবার নিয়ে আসতো। যেহেতু নিজেদের রেস্টুরেন্ট তাই কোন প্রবলেম হতো না।

কয়েক মাস আগে হাজবেন্ডের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে বাংলাদেশ থেকে এসেছে লন্ডনে।এখানে সে এখন সেটেল হয়েছে।হাজব্যান্ড তাকে বলেছিল বাসায় আসার জন্য, কিন্তু সে কাজের চাপে আর আসতে পারেনি।গতকাল হঠাৎ ফোন করে বলে সে আসবে আমাদের বাসায়।তার সাথে আরো দুজন ছেলে এসেছিল এবং আমার ছোট ভাসুরের পরিবারও ছিল।গতকাল ফোন করার পরপরই আমাদের রান্নার আয়োজন শুরু হয়ে যায়।কিছুটা গতকাল সেরে রেখেছিলাম এবং বাকিটা সকালবেলায় শেষ করি।সকাল বেলায় নাস্তা করে ঘর গুছিয়ে শুরু হয়ে যায় আমার বাকি রান্নাগুলোর কাজ।সবার মত এতগুলো আইটেম যদিও করতে পারি না, তারপরও সাত আট রকমের আইটেম করে ফেলেছিলাম হাজবেন্ডের সহায়তায়।চিংড়ি মাছ সহ মাছের তিনটি আইটেম ছিল, পোলাও, রোস্ট, সাতকরা দিয়ে শিপের কারি, আমের টক, আর একটি ভেজিটেবলস ছিল।সকলেই খেয়ে দেয়ে তো অনেক প্রশংসা। আর একজন তো জিজ্ঞাসা করছিল রোস্ট কিভাবে করেছি? রেসিপিটি তাকে দিতে হবে।

আজকে আবার হ্যাংআউট ছিল। যেহেতু গত সপ্তাহে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করেছি হ্যাংআউটে জয়েন থাকতে।অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি।যখন হ্যাংআউটে আমার নাম ডেকেছিল তখন আমি খাচ্ছিলাম সকলের সাথে।সাউন্ড কমিয়ে রেখেছিলাম যেন কেউ শুনতে না পারে।এত কম সাউন্ড ছিল যে আমি নিজেই শুনতে পারিনি, কারণ সকলেই অনেক কথা বলছিল।তাউ হঠাৎ শুভ ভাই যখন দ্বিতীয়বার আমার নাম ডাকে তখন শুনতে পাই। তখন দ্রুত আমার স্পিচটা দিয়ে দেই।যাই হোক খাওয়া দাওয়ার পর আরও একটি বড় কাজ থাকে, সেটি হচ্ছে সবকিছু ক্লিন করা এবং গুছিয়ে রাখা।এ কাজেও হাসব্যান্ড আমাকে যথেষ্ট হেল্প করে।শুধু আমার হাজব্যান্ডই না, এদেশের প্রতিটি হাজবেন্ডই তার ওয়াইফকে সাহায্য করে কারণ এদেশে কাজের লোক পাওয়া যায় না।তাই এদেশের প্রতিটি হাজবেন্ডও অনেক হেল্পফুল। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া ও কাজকর্ম শেষে অবশেষে বেডে এসে একটু রেস্ট নিচ্ছি এবং সাথে আমার আজকের পোস্টটিও করে ফেললাম।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালে লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

হঠাৎ করেই বাসায় মেহমান আসলে একটু রান্না বান্না নিয়ে তড়িঘড়ি পড়েই যায়। তারপরেও আপনি ৭-৮ টি আইটেম তৈরি করেছিলেন জেনে অবাকই হলাম। এত ব্যস্ততার মাঝেও গতকালকের হ্যাংআউটে আমাদের সাথে যুক্ত ছিলেন সত্যিই ভালো লাগলো শুনে। বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের একাংশের সাথে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সেই অনুভূতির কিছুটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

হ্যাঁ আপু আপনি গত সপ্তাহে হ্যাংআউটে উপস্থিত থাকতে পারেন নাই এটা শুভ ভাইয়া বলেছিলেন। এই সপ্তাহে ব্যস্ততার মধ্য থেকে উপস্থিত হতে পেরেছেন। বাংলাদেশ থেকে আপনার ওখানে গেস্ট গিয়েছিল এবং তার জন্য রান্না করা বিভিন্ন ব্যস্তত হয়ে পড়েছিলেন। সবকিছুর মধ্য দিয়েও সময় দিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

সংসদের সব কাজেই সবাই সবার পাশে থাকলে জীবন অনেক বেশি সহজ হয়ে ওঠে। দেশে তো তাও কাজের লোক পাওয়া যায় কিন্তু বিদেশে একা হাতে সব করাটা সত্যিই খুব কষ্টের। আপনি ঠিকই বলেছেন বাসায় লোকজন এলে এতো রান্না বান্না বাসন-কোসন সবকিছু করা খুব সমস্যার হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে ভাইয়া আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সাহায্য করেছেন এবং এই কাজ সবাই করে থাকে । বিদেশের পরিবেশটাই এমন যে মানুষকে শিখিয়ে দেয়। পাশ্চাত্যের এই সংস্কৃতি টা আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনি অনেকগুলো পদ রান্না করেছেন আপু। বাসায় গেস্ট এলে কিভাবে যে এতগুলো পদ রান্না হয়ে যায় সেটা আমিও ভাবি। এভাবেই সবার সাথে আনন্দে কাটুক আপনার নতুন বছরের সমস্ত দিন।

 last year 

ভাইয়া দেখি খুব হেল্প করে আপনাকে যেটা জানতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। বাহিরে দেশে গেলে পুরুষ হোক মেয়ে হোক সবারই রান্না শিখতে হয়। রিসেন্টলি আমার এক মামাও লন্ডনে গিয়েছে পড়াশোনার জন্য। আমারও ইচ্ছে আছে লন্ডনে আসার পড়াশোনা শেষ। যাইহোক, আপনি ব্যস্ততার মাঝেও হ্যাংআউট এ জয়েন হয়েছিলেন জানতে পেরে ভালো লাগলো

 last year 

সত্যি আপু রান্নাবান্না করতে বিরক্ত লাগলেও রান্না তো করতেই হয়। একটা সময় সব কিছু অভ্যাস হয়ে যায়। আসলে একা একা সব কিছু সামলানোটা সত্যিই অনেক কঠিন। তবে ভাইয়া আপনাকে হেল্প করেন এটা জেনে ভালো লাগলো আপু। হ্যাংআউটের সময় আপনি আপনার স্পিচ দিতে খুব একটা দেরি করেননি আপু। মোটামুটি সঠিক টাইমেই মেসেজটি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

 last year 

বাসায় গেস্ট আসলে সবমিলিয়ে প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। তাছাড়া আপনি তো অনেক গুলো আইটেম রান্না করেছেন, তাই বেশি ব্যস্ত থাকাটা স্বাভাবিক। ভাইয়া আপনাকে রান্নার কাজে হেল্প করেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।