শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৮১

in #new3 months ago
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

.

টুংটাং না করলে আপনার ফোনের দিকেও তাকাবেন না। মায়ের ডাক টুপিটা কেটে দিয়ে আবার চোখ বুঝল। কিছুক্ষণ পর আবার কল। নিলয়ও ঘটেছে—একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। একটু একটু করে ঘুমন্ত কানগুলো মনে হয় দূর থেকে ভেসে আসা কোনো শব্দ শুনছে। সে চোখ খোলার ব্যর্থ চেষ্টা করল। এমন সময় মগজ বলল, "না, পাশের মসজিদের আওয়াজ এখনো শোনা যায়নি। এই দুই মিনিট...' হাতটা মগজের হুকুম মানল। চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে মুখটা ছুটে গেল। স্বপ্নের ট্রেন আহ্... এমন শান্ত, আরামদায়ক ঘুম যেন এই জীবনে কখনো ঘুমায়নি
এই মানুষগুলো এই পৃথিবীর সব অবহেলার প্রাপ্য। নিলয় ভেবেছিল হোস্টেলে এলে সে একটু স্বাধীন হবে। ওটা কোথায়? ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফজরের নামাজ পড়েছেন? দুপুরে খেয়েছ? দেরি করে রাত জাগবেন না।' কল এলে নিলয়ের খুব বিরক্ত লাগে। এত কল দিয়ে লাভ কি? মানুষ না খেয়ে বসে থাকবে নাকি? ঘন্টার পর ঘন্টা খোঁজা বা কি। হয়ত বন্ধুদের সাথে কট্টর আড্ডায় মাতাল হয়ে যান। এমন সময়ে ফোন করুন। বন্ধুরা সুযোগ পেয়ে পচে নামিয়ে দিল। 'মায়ের ছেলে।' 'আরে ছেলে।' আর কি!

IMG_7468.jpg

For Photos I use:


Camera
Iphone 12 Mini
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

নিলয় হোস্টেল জীবন উপভোগ করছে। একটি বিস্ময়কর জীবন. চাপ নেই। বাবা পাত্তা দেয় না। মায়ের কোনো নিয়ম নেই। কোন বড় উপরের অতিরঞ্জন. চারিদিকে শুধু শান্তি আর প্রশান্তি। আর হ্যাঁ, শান্তির কথা মনে পড়ে গেল। ক্লাসের মেয়ে শান্তি ইদানীং আড় চোখে তাকিয়ে আছে নিলয়ের দিকে। নিলয় খুব মজার। সাদা বোর্ডের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিলয়ের চোখে রঙিন সব স্বপ্ন বুনে
আর সন্ধ্যার পর ফুচকার দোকানে গিটারের আড্ডা। একদিন আড্ডার ফাঁকে বিগ আপার থেকে ফোন এলো। নিলয় বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে গিটারে মনোযোগ দিল। এমনকি এটি কাটাতেও লাভ হয়নি। কল আসতে থাকে। নিলয়ও প্রতিবার কল কাটতে থাকে। এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে ফোনটা সাইলেন্ট করে দেন। "যার আছে সে তার যা আছে তার মূল্যায়ন করে না।" পাশ থেকে একটা বিশাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে দার্শনিক বলল তাহমিদ। এই ছেলেটি হঠাৎ করে যা বলে তা কারো মনেই ঢুকে না। অবশ্যই, কেউ সত্যিই চিন্তা করে না। এবার নিলয়ের ঠিক পাশে বসে কথাগুলো বলার পর থেকে হয়তো কথাগুলো নিলয়ের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে। শব্দটা একটু একটু করে বারবার হতে থাকে

রাতের আড্ডা শেষে নিলয় নিজের রুমে ফিরে ফোন ধরল। 72টি মিসড কল। বড় উপরের বিরক্তি সঙ্গে ফিরে কল. সেও মনে মনে ঠিক করল কি করবে। দ্বিতীয় কলে কেউ সাড়া দেয়নি। এবার মেজাজটা আরও চড়া। এতক্ষণ জ্বালানোর পর মহারানীকে এখন ঘুমিয়ে থাকতে হবে। নিলয় আর ফোন করবে না। মন! তারপরও তার মনের কোণে কেউ ক্ষীণ কণ্ঠে বলল, 'আরেকবার চেষ্টা করে দেখুন' এবং তিনি যা বলেছিলেন তা মনে রেখে আবার ডাকলেন। এখন কল রিসিভ হল। রিসিভ করলো এক মাঝবয়সী লোকের কণ্ঠস্বর। নিলয়কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আনারগল উত্তর দিয়ে বলল, 'এই ফোনের মালিক আজ সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। লাশ থানায় রয়েছে। এসে নিয়ে যাও।' নিলয়ের মাথাটা হঠাৎ বরফের মত জমে গেল। ভেতরে কিছুই ঢুকছে না। নিলয় পাথরের মূর্তির মত বসে রইল। তাও আবার মাথার ভিতর

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 8.984545461325055 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 😊

This is original content by @fxsajol. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊