ঐতিহ্যবাহী বলুহ মেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া। পর্ব ০৭
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় পাঠকগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
চলুন শুরু করা যাক সপ্তম পর্ব,
আমার ছোট বোনের জন্য চুরি সাজিয়ে রাখার আলনা কিনে সেটি হাতে নিয়েই আমরা তিন বন্ধু মেলায় ঘুরতেছি। আমরা ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলাম মেলার আরেকটি অংশে। সেখানে শুধু খাবারের স্টল। রাস্তার দুই ধারে বড় বড় খাবারের স্টল বানিয়ে ফুড ব্যবসায়ীরা খাবারের বিভিন্ন আইটেমের পরসা সাজিয়ে বসে রয়েছে। সেই সাথে মেলার দর্শনার্থীরা খাবারের জন্য সেখানে ভিড় করছে।এক ব্যবসায়ীকে দেখলাম মিষ্টির দোকান দিয়ে বসে রয়েছে। তার কাছে অনেক ধরনের মিষ্টির আইটেম রয়েছে। বিখ্যাত বালিশ মিষ্টি সহ নানা ধরনের সুস্বাদু মিষ্টি তার সংগ্রহে রয়েছে। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পাশের আরেকটি স্টলে দেখলাম আরেকজন ফুড ব্যবসায়ীকে। তিনি সেখানে ভাতের হোটেল দিয়েছেন। সেখানে ভাত, খিচুড়ি, রুটি,পরোটা,ডিম, মাছ,মাংস, সবজি সহ নানা রকমের রকমারি খাবার নিয়ে তিনি বসেছিলেন। সাধারণ দর্শনার্থী সহ বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরাও সেখানে তিন বেলা আহার করছেন।
এরপর আমরা মেলার সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। সামনের দিকে এগোতেই একজন ব্যবসায়ীকে দেখলাম গরম গরম চটপটি বিক্রি করছেন। আমাদের তিনজনেরই চটপটি খুবই প্রিয়। আমরা সেখানে বসে চটপটি খেলাম। এরপর আমরা আবার সামনের দিকে রওনা হলাম। অল্প কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা প্রথমেই যেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রেখে গিয়েছিলাম সেই জায়গায় পৌঁছে গেলাম। সেখান থেকে মোটরসাইকেল বের করে আমরা তিন বন্ধু বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আলহামদুলিল্লাহ আমরা তিন বন্ধু গল্প করতে করতে ভালোভাবে বাসায় পৌঁছে গেলাম।
প্রিয় পাঠকগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.