ট্রেনের টিকেট নামে সোনার হরিণ হাতে পেলাম ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ২২শে মার্চ ২১ তম রোজা পালন করতেছি। পবিত্র মাহে রমজান আসে খুশির বার্তা নিয়ে। দেখতে দেখতে মাহে রমজানের দুই তৃতীয়াংশ চলে গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সাপ্তাহের সোমবারে বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। এই খুশির বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, সবার সাথে শেয়ার করতে আমাদের অনেক পাহাড় পর্বত,কন্ঠকাকীর্ণ রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। প্রথম যে বিষয় টা আসে সেটা হলো ঈদের শপিং। মার্কেট বা শপিং করতে সবার কাছেই ভালো লাগে। আমি নিজের সাধ্যমত কিছু শপিং করেছি। তবে নিজের জন্য এখনো কিছু কেনাকাটা করি নাই। ফেমিলি মেম্বারদের সবার চাহিদা পুরন করার পরে আমার বাজেট নির্ধারিত হবে। যেহেতু বাবুর কিছু শপিং বাকি আছে,সে গুলো শেষ করার চেষ্টা করতেছি।
যে কোন ঈদে আমার মত যারা জব করে বা পরিবার থেকে দুরে থাকে তাদের বড় টেনশন হলো নির্ধারিত সময়ে সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বাড়ি ফেরা। ঈদ আসলেই সবাই নারীর টানে বা জন্মভূমির টানে বাড়ি ফিরে। বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমাদের মত মধ্যে বৃত্তদের ভরসা হলো বাস অথবা ট্রেন। কারন আমাদের প্রাইবেটকার নেই, আর বিমানে যাওয়ার সামর্থও নেই।
বাসে যাতায়াত করলে জানজটের ঝামেলা থাকে, তাছড়া বর্তমানে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তা খুবই খারাপ। তাই আমরা ট্রেনে আসা যাওয়া করাটাই সেইফ মনে করি। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশে যাত্রীর তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা খুবই কম। যার ফলে আমাদের ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। ঈদের সময় ট্রেনের টিকেট হাতে পাওয়া মানে সোনার হরিণ পাওয়ার মত।
গত কয়েক বছর যাবত রেল কর্তৃপক্ষ শতভাগ ট্রেনের টিকেট অনলাইনে ছাড়ছে। এর দ্বারা মানুষের ভোগান্তি কমেছে অনেক। যদি ট্রেনের কর্মকর্তারা দুর্নীতি না করে,তাহলে আর কোন সমস্যা নেই। রেল কর্তৃপক্ষ পচ্শিমাঞ্চলের টিকেট ছাড়ে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। আর পূর্বাঞ্চলের টিকেট ছাড়ে দুপুর দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত। তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করার জন্য ৪ ঘন্টা সময় দিলেও টিকেট ছাড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই সব টিকেট শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে কেউ ক্লিক করতে ১ সেকেন্ড দেরি করলেই তার কপালে আর টিকেট নেই।
আমাদের অফিস ৩০ তারিখ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। মানে ২৯ তারিখ সকালে এসে সেলারি নিয়েই সবাই চলে যাবে। যারা সম্ভব তারা ২৯ তারিখ শনিবারে চলে যাবে। আমি যেহেতো ফেমিলি নিয়ে যাবো সে জন্য ৩০ তারিখ রবিবারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর ৩০ তারিখের টিকেট দিয়েছে ২০ তারিখ বৃহস্পতিবারে। দুইটা বাজার আগেই মোবাইল হাতে নিয়ে বসে ছিলাম। ভাগ্য ভালো ২ টা বাজার সাথে সাথে ক্লিক করে দুটি টিকেট ধরতে পেরেছিলাম। আমার সাথে এক কলিগ, আমাদের ম্যানাজার স্যার ট্রাই করেছিল। কলিগ দুটি টিকেট ধরতে পারলেও সম্পূর্ণ পসেস কমপ্লিট করার আগেই টাইম শেষ হয়ে গেছে। টিকেট গুলো আর পেলো না। বেচারার মন খারাপ।
তবে ম্যানাজার স্যার দুটি টিকেট ধরতে পেরেছে। আমি তিনির পসেসটা কমপ্লিট করে দিয়েছি। এত স্পিডে কাজ করেও টিকেট কাটার সময় হার্টবিট ধরফর করে কাঁপে। যায়হোক একটা টেনশন থেকে মুক্ত হলাম। আশা করি সুন্দর ভাবেই মাতৃভূমির পথে রওয়ানা দিতে পারবো,ইনশাআল্লাহ।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
স্কিন শর্ট | @joniprins |
তারিখ | ২০-০৩-২০২৫ |
সময় | দুপুর ২.১০ মিনিট |
image Source | Rail Sheba |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
please complete your $PUSS promotion.
আমি কয়েকটা জিনিস মনে করি যে ঈদ উপলক্ষে কষ্ট করে বাড়িতে আসাটার চেয়ে না আসা ভালো। ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা কাপড় না কেনাটাই ভালো। আবার শীত উপলক্ষে গরম জামা কাপড় নাখো না তাই ভালো। এই জীবনে এই সমস্ত এক্সটার এক্সগুলো মানুষকে ঝামেলায় ফেলে। বিভিন্ন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে যায়। যাই হোক হাতে পেয়েছেন ভালই ভালই যেন বাসায় পৌঁছাতে পারেন সেই দোয়া রইল।
যে আপু জীবনটা যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করে ফেলাই ভালো।
Link
https://x.com/ArianKh29670721/status/1903432564704194724?t=_Q9W2Q8GwWu-gLBttbjiPw&s=19
https://x.com/ArianKh29670721/status/1903432814873456962?t=j1HNr6A1tEE_eARyqlOrUg&s=19
শহরে যারা বসবাস করে তারা গ্রামে ফিরে যাওয়ার মুহূর্তে অনেক ঝামেলায় পড়ে যায়। বিশেষ করে ট্রেনের টিকেট পাওয়াই যায় না এই সময়ে। তবে দোয়া রাখলাম ভাইয়া বাবু এবং ভাবিসহ যাতে সুস্থভাবে বাড়িতে ফিরতে পারেন। কারণ এই সময়ে সবদিকেই কিন্তু অনেকটাই বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। যাই হোক আপনি তৎক্ষণাৎ বসে টিকেট পেয়েছেন এটা শুনেই ভালো লাগছে।
জী আপু দোয়া করবেন সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে যেন বাড়িতে যে পৌঁছতে পারি।।