বানিয়ে ফেললাম শীতের আমার অতি পছন্দের একটি পিঠা, সাথে কিছু স্মৃতি

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago (edited)
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

polish_save.jpeg

শীত এলেই বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধূম পড়ে যায়। আর গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পিঠা বানানো হয়।কনকনে শীতে খেজুর গাছ থেকে রস পেড়ে এনে সেই রস দিয়ে পিঠা অথবা সেই রসের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠা যে কতটা স্বাদের তা আমরা সকলেই জানি।হ্যাঁ বন্ধুরা শীতের পিঠা মানেই খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি নানান ধরনের পিঠা যা ছেলে বুড়ো সকলেই অনেক মজা করে খেয়ে থাকে।খুব বেশি মনে পড়ে শীত এলেই আমরা সকলেই দল বেঁধে চলে যেতাম নানু বাড়িতে। নানু নানান রকমের শীতের পিঠা বানিয়ে আমাদের খাওয়াতো। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হতো ভাপা পিঠা, সেমাই পিঠা, চিতই পিঠা বা দুধ চিতই পিঠা।নানু বাড়িতে যে ভাপা পিঠাগুলো বানানো হত সেই পিঠাগুলোর সাইজ ছিল অনেক বড় বড় তাই আমরা সেই পিঠা কে বলতাম বড় পিঠা।আর দুধ চিতই পিঠাগুলো দুধে ভিজিয়ে বানানো হতো তাই আমরা একে বলতাম ভিজানো পিঠা।খুবই মজার লাগতো এই পিঠাগুলো।যাইহোক এই শীতে আমার পছন্দের পিঠাগুলো অলরেডি বানিয়ে ফেলেছি।গতকাল বানিয়েছি ভাপা পিঠা।

ঘরে সামান্য একটু গুড় আর একটুখানি নারিকেল ছিল।তাই অল্প করে কিছু পিঠা বানিয়ে ফেলেছি।এখানে আমি ফ্রোজেন নারিকেল দিয়ে পিঠাগুলো তৈরি করেছি। যদিও আমাদের এখানে ফ্রেশ নারিকেল পাওয়া যায় কিন্তু প্রবলেম হলো বাসায় এনে কুড়িয়ে পিঠা বানানো খুবই কষ্টকর ব্যাপার।তাই রেডিমেড নারিকেল কুঁড়া দিয়েই বানিয়ে ফেললাম।যেহেতু গত বছর এই পিঠার রেসিপিটি দিয়েছিলাম তাই আর এবার দিলাম না, সেম পদ্ধতিতেই তৈরি করেছি।খুবই সহজ পদ্ধতি এবং সময়ও খুব কম লাগে যদি নারিকেল ও গুড় রেডি থাকে। নারিকেলের কোন ঝামেলা ছিল না, আর গুড়গুলো আগে থেকেই ঝুড়িঝুড়ি করে কেটে রাখা ছিল তাই খুব ঝটপট তৈরি করতে পেরেছি।

সংক্ষেপে আমার পিঠা বানানোর পদ্ধতিটি আপনাদের কাছে বর্ণনা করছি। প্রথমেই চালের গুড়োতে হালকা লবণ ও পানি দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি পানি না দেওয়া হয়।এরপর ওই চালগুলোকে চালনি দিয়ে চেলে নিয়েছি।এরপর একটি বাটিতে প্রথমে চালের গুঁড়ো, এরপর নারিকেল ও গুড় দিয়েছি।এরপর গুড়ের উপর আবারও চালের গুড়া, নারিকেল, গুড় ও উপরে চালের গুঁড়ো দিয়ে ভরে নিয়েছি।এরপর রাইস কুকারে পানি নিয়ে ছিদ্রযুক্ত পাত্রটিতে পিঠাগুলো একটি কাপড়ের সাহায্যে রেখে দিয়েছি।এভাবে ৬-৭ মিনিটের মধ্যেই পিঠাগুলো তৈরি হয়ে গিয়েছে।

অবশ্য আগে বেশি পিঠা বানাতাম না কারণ গুড় পাওয়া যেত না।যেহেতু এখানে নরমালি সহজেই গুড় পাওয়া যাচ্ছে তাই এই দুই বছর ধরে আমিও নানান রকমের শীতের পিঠাগুলো বানানোর চেষ্টা করছি।আসলে এই পিঠাগুলোর সাথে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাই সেই স্মৃতিকে মনে করেই এই পিঠাগুলো তৈরি করা।যাই হোক গতকাল আমার বড় ভাসুর এসেছিল। তাকে এই পিঠা খেতে দিলাম, তিনি অবাক হয়ে গিয়েছে। বলল আমি বানিয়েছি পিঠাগুলো? তখন তিনি বললেন লন্ডনে এই পিঠাগুলো এক একটি দুই পাউন্ড করে বিক্রি হয়। প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে, লোকজন খুব উপভোগ করছে।যাইহোক বন্ধুরা আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 days ago 

আমার পছন্দের ও পিঠা এই ভাপা পিঠা।বিদেশের বাড়িতে বসে দেশীয় পিঠা তৈরি করতে দেখলে অবাক তো হওয়ারই কথা।সবাই মিলে খুবই মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 days ago 

বাহ্! পিঠা গুলো তো দেখছি খুব সুন্দর হয়েছে। আসলে শীতকালে ভাপা পিঠা অবশ্যই খেতে হয়। নয়তো মনে হয় কি যেনো মিসিং রয়ে গিয়েছে। গতকাল রাতেও আমি ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 days ago 

আমার পছন্দের ও পিঠা এই ভাপা পিঠা।বিদেশের বাড়িতে বসে দেশীয় পিঠা তৈরি করতে দেখলে অবাক তো হওয়ারই কথা।সবাই মিলে খুবই মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।