ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ ( সিজন ১: অন্তিম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ24 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে "ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ" ওয়েব সিরিজটির অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "নাথিং বাট দ্যা ট্রুথ"। গত পর্বে লাস্ট দেখা গিয়েছিলো যে, মাহেন্দ্র নামের একজনকে কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলো। এই অন্তিম পর্বে ঘটনা কি ঘটে দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ক্রিমিনাল জাস্টিস: অধুরা সাচ
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
নাথিং বাট দ্যা ট্রুথ
পরিচালকের নাম
রোহান সিপ্পি
অভিনয়
পঙ্কজ ত্রিপাঠী, শ্বেতা বসু প্রসাদ, পূরব কোহলি, স্বস্তিকা মুখার্জি, আত্মপ্রকাশ মিশ্র ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৬ আগস্ট ২০২২( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৮ মিনিট ( অষ্টম পর্ব )
অরিজিনাল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত মাধব উকিল পুনরায় সেই বিচে গিয়ে মাহেন্দ্র নামের লোকটির সাথে কথা বলে এবং তার বিভিন্ন সমস্যাগুলো গত পর্বে বলেছিলাম। তো সেই সূত্র ধরে মাধব উকিল কোর্টের অনুমতি নিয়ে তাদের হাজির হওয়ার নোটিশ পাঠায়। এছাড়া আরো একটা বিষয় সামনে আসে, যেটা এই মার্ডার কেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ মাহেন্দ্র লোকটির মেয়ে রিতু জারার মতো এক্টিং করতো সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট তৈরি করে। আর এতে তারও অনেক ফ্যান ফ্লোয়ার বেড়েছিল। তবে এখানে জারা তার এই বিষয়টা নিয়ে মজা করতো। একবার তার ওই ধরণের পোস্টে কমেন্ট করেছিল। এখন এই বিষয়টা নিয়ে পাবলিকও নানাভাবে হেনস্থা করতো। এমনকি তার এক বন্ধু একটা ফেক নামে একাউন্ট তৈরি করেও এইসব কমেন্ট করতো তার পোস্টে। এখন ওই মেয়েটা এইসব তানা শুনতে শুনতে মানসিকভাবে এমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে, আসলে সে কি করবে অর্থাৎ এই সব থেকে কিভাবে রেহাই পাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এদিকে তার বয়েসও অনেক কম। এখন এই মেয়ে নাকি কোনোকিছু না ভেবে নাইট্রিক অ্যাসিড খেয়ে নেয় আর এইভাবেই তার মৃত্যু ঘটে। এখন এইসবের কারণে তার বাবা মাহেন্দ্র জারাকে দোষী ভাবতে শুরু করে এবং তার প্রতি বিশাল ঘেন্না ধরে যায়। যখন জারা এবং তার ফ্যামিলি সহ গোয়া গিয়েছিলো শুটিং এর কাজে। তখন এই মাহেন্দ্র তাকে মারার প্ল্যান তৈরি করেছিল। এইসব ঘটনা এখন আদালতে মাধব সবকিছু প্রমান সহ বিস্তারিত পেশ করে। যদিও প্রথমে তার ওয়াইফ আর সে মিথ্যে কথা বলে এই বিষয়ে। কিন্তু যখন মাধব একটার পর একটা কারণ পেশ করে উত্তেজিত করে তোলে, তখন সব সত্যি বলে দিতে বাধ্য হয়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

মূলত এটা সত্যি যে, মুকুল ওই রাতে জারাকে বিচে একা ফেলে রেখে চলে এসেছিলো, কারণ ঝগড়া করছিলো, তাই মুকুল রেগে চলে আসে, যেটা একটা স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কিন্তু এই মাহেন্দ্র আগে থেকেই অ্যাসিড কিনে ওখানে পুরানো কন্সট্রাকশনের জায়গায় রেখে আসে। এরপর বিচে ওই মাঝ রাতে একা পেয়ে সেখানে নিয়ে গিয়ে তার সমস্ত শরীরে অ্যাসিড ঢেলে গলিয়ে দেয়। ব্যাস কেস এখানেই পাল্টি খেয়ে গেলো আর মুকুলের উপর থেকে সমস্ত দোষ কেটে গেলো।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

মূলত শেষমেশ সত্যেরই জয় হয়। এর আগে পর্যন্ত তার বাবাও সন্দেহ করছিলো যে, মুকুলই জারাকে মেরেছে। তার একটা রাগের বিষয় ছিল, সেই সূত্র ধরে তাকে সবাই কেসে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আর পুলিশও আগেপিছে বেশি যাচাই বাছাই না করে মুকুলকেই ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তারা দেখছে যে, মার্ডারার পেয়ে গেছি যখন, তাহলে আর খুঁজে কি হবে! চার্জশিটও চালান করে দেয়। তবে মাধব একজন সাধারণ উকিল হলেও সে হাল ছাড়েনি। আর মূলত সে টাকার জন্য এইসব কেস লড়িনি। বাস্তবে একটা নির্দোষ ছেলে যখন কেসের গভীরে ফেঁসে যাচ্ছে, তখন তার দিক থেকেও মনে হয় যে, না সত্যি ঘটনাটা বের হয়ে আসুক। তা নাহলে তাকে যে টাকা দিয়েছিলো, তাতে চেক বাউন্স হওয়ার পরে কেস ছেড়ে দিতে পারতো। একটা বিষয় এখানে প্রমান হলো যে, মানুষের কখনো পোশাক, জুতো অর্থাৎ সবমিলিয়ে তার ড্রেসের দিকে বিচার বিবেচনা করে কোনো কিছু না ভাবাই ভালো। মাধব উকিল সেইরকমই একজন মানুষের উদাহরণ, যে সাধারণ জীবনযাপন করেও এতো বড়ো একটা কেস জিতেছে। এই ওয়েব সিরিজটির কাহিনী এক কথায় বেশ ভালো ছিল।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 23 days ago 

সিরিজটির গল্পে অপরাধ ও ন্যায়বিচারের মধ্যে জটিল সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। প্রতিটি চরিত্রের মনস্তাত্ত্বিক গভীরতা এবং তাদের পটভূমি দর্শকদের মনে দাগ কাটে। গল্পের ধারাবাহিকতা এবং টুইস্টগুলো দর্শকদের আটকে রাখে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 23 days ago 

আসলে দাদা প্রতিটা জায়গায় একদিন না একদিন সত্যেরই জয় হয়। আরে ঠিক তেমনি ভাবে এই এখানে ও হয়েছে। সবাই তো এটাই ধরে নিয়েছিল যে মুকুল হয়তো জারাকে মেরেছে। এমনকি তাকে বেশ ভালোভাবেই ফাঁসিয়ে দিয়েছিল এই কেসের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যটা সবার সামনে এসেছিল, আর মাধব উকিল এই কেসটা জিততে পেরেছে দেখে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ছিল দাদা এই ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব। আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 23 days ago 

আসলে মাহেন্দ্র নামের লোকটির মেয়ের মৃত্যুতে জারার কোনো দোষ ছিলো না। কিন্তু সেই জের ধরে মাহেন্দ্র খুবই জঘন্য একটা কাজ করেছে জারাকে খুন করে। তবে মাধব উকিল অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কারণ তার কারণেই আসল খুনীকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। যাইহোক অবশেষে মুকুল নির্দোষ প্রমাণিত হলো। বেশ ভালো লেগেছে সম্পূর্ণ ওয়েব সিরিজটার রিভিউ পড়ে। এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।