অন্তিম সীমানা ( পর্ব ৭ )
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "অন্তিম সীমানা" গল্পটির সপ্তম পর্ব শেয়ার করে নেবো। তো এরপরে সব আত্মাগুলো একসাথে চিৎকার করে বলে উঠলো- মুক্তি দাও! মুক্তি দাও! মুক্তি দাও! তখন ওই মুহূর্তে দরজার সামনে যে প্রহরী ছিল, সে চিৎকার করতে করতে ভষ্ম হয়ে হাওয়ায় মিশে গেলো। তো এরপরে ডায়েরির পাতা খুলল এবং সেখানে ব্রিটিশ আমলে অত্যাচারিত সমস্ত ঘটনা তাদের সামনে চলে আসলো। সেখানে সিরিয়াল অনুযায়ী সবার নাম, তারিখ এবং যতো হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল তা সবকিছুই এখানে উল্লেখ আছে।
এরপর ওই লোকটা চোখ বন্ধ করে একটা নিশ্বাস নেওয়ার মতো নিলো এবং বললো- আমরা সবাই এখন মুক্ত। এরপরেই যেনো একটা নির্জন নীরবতা নেমে এলো। এরপর ওখানে আরেকজন যে ছিল, সে সামনের দিকে একটা আলোর টানেল মতো দেখতে পেলো। তখন মনে হলো তাকে কেউ যেনো উপরের দিকে টেনে আনছে। তারপর তার সাথে যেনো একটা অলৌকিক ঘটনার মতো ঘটলো অর্থাৎ সে একপ্রকার ওই বাংলোতে থাকাকালীন ঘুমের ঘোরে থাকার মতো অবস্থায় ছিল। কারণ বাইরের জগত আর ওর ভেতরের জগত একটু অন্যরকম ছিল।
তো যাইহোক, এরপরে সে চোখ মেলে দেখে বাংলোর বাইরে খোলা মাঠে শুয়ে আছে। চারিদিকে গ্রামের লোকজন তাকে ঘিরে ধরেছে এবং পরে তার সেই বন্ধুটা তার হাত ধরে কান্নাকাটি করতে লাগে। এরপরে তাকে জিজ্ঞাসা করলো- তুই কি বেঁচে আছিস? এরপর তার বন্ধুর জ্ঞান ফিরে আসলে উঠে বসে এবং পেছনের দিকে অর্থাৎ সেই বাংলোর দিকে তাকালো। কিন্তু এখন সেটা শুধু ধোয়ায় পরিনত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে হাওয়ায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার বন্ধুটি বললো- সে আর কোনোদিন নীলকুঠি বাংলোর দিকে ফিরে আসবে না।
তার হাতে সেই ডায়েরিটা ছিল এবং এখন যেনো সেটা পরিষ্কার আর নতুন একটা ডায়েরির মতো মনে হচ্ছে। এরপর সে বললো- এটা এখন পুলিশের কাছে আগে পাঠাতে হবে এবং তাদের বিষয়টা জানাতে হবে। এরপর সমস্ত সত্য পাবলিক করতে তারা নিউজ চ্যানেল এর সাহায্য নিতে পারবে। এরপর হঠাৎ একটা হিমেল হাওয়ার মতো হাওয়া বয়ে গেলো এবং সেই হাওয়ায় যেনো সেই ছেলেটার একটা কন্ঠ ভেসে আসলো অর্থাৎ তাকে এই ডায়েরির সত্যতা বের করার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছে।.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |





