পুরোনো বাংলোতে লুকানো রহস্য ( পর্ব ৭ )
Image Created by OpenAI
"পুরোনো বাংলোতে লুকানো রহস্য" গল্পটির সপ্তম পর্বে দেখবো এরপরে কি হয় কাহিনীতে। তো সম্রাট যখন শুনলো মেয়েটি মারা যাওয়ার পরের থেকে এই বাংলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। না আসে কোনদিন কেউ এর খোঁজ নিতে বা কিছু করতে। আর গ্রামের মানুষ তো ভয়ে এর ধারে কাছেও যায় না। সম্রাটের তো এইসব কাহিনী শুনে গা শিউরে ওঠে। আর সেই সময়ের থেকে যখন রাত ১২ টা বাজে, তখন থেকেই জানালার পাশে এল জ্বলে ওঠে। কিন্তু এটি দূরের থেকে যতক্ষণ দেখা যায়, ততক্ষন জ্বলতে থাকে। কিন্তু এর কাছে গিয়ে দেখতে গেলে এই আলো সাথে সাথে নিভে যায়। আর মাঝে মাঝে বাংলোর ভেতর থেকে এই মেয়ের কণ্ঠস্বর শোনা যায় বা হাঁটাহাঁটির আওয়াজ শোনা যায়। সম্রাটের এইসব কাহিনীর পরে তার মনে আসতে লাগে সেই কণ্ঠস্বর, যেখানে এই মেয়েটির আওয়াজ ভেসে এসেছিলো-আজও এখানে কেউ এলে আর ফিরে যায় না। এই কথাটি সত্যি না হয়ে যায়।
দোকানদার সম্রাটের মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন-বাবা, তুমি অনেক ভাগ্যবান একজন, যে ওখান থেকে ফিরতে পেরেছো। অনেকেই পেরেছে যদিও, কিন্তু সবাই না। এইরকম অনেকেই আছে, যারা এই বাংলোর কাছের থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি। সম্রাট লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলো-কেউ কি তাহলে এখানে আটকে আছে? লোকটা মাথা নেড়ে বললো-হ্যা, এখানে তিনজন তিন বছর ধরে আছে। মাঝে মাঝে পুলিশ তাদের খুঁজতে এই বাংলোর কাছে আসে, কিন্তু কিছুই পায়না। দরজাটা তালা বন্ধ অবস্থায় থাকে, যেন সেই তিনজনকে এই বাংলো গিলে ফেলেছে। কারণ এই তিনজনের কোনো সাড়া-শব্দও পাওয়া যায় না এই বাংলোর কোনো কোন থেকে। সম্রাট এর মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত ভয় ঢুকে গেছে। এই মুহূর্তে দোকানে একটি যুবক এসে সম্রাটকে বললো-তুমি যদি সত্যিই সত্যতা জানতে চাও, তাহলে এই বাংলোর ভেতরে ঢুকতেই হবে, তা নাহলে এই বাংলো সম্পর্কে কিছুই জানা যাবে না।....
