কষ্টের অনুভূতি 😥
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
জীবনে দুঃখের স্মৃতি মনে রাখতে নেই,কারণ এটা আসন্ন জীবনে অসুখী হওয়ার প্রধান লক্ষণ তারপরও কিছু স্মৃতি ভোলা সম্ভব নয়..।দিনটি ছিলো গতবছরের ৮ ই মার্চ মহা শিবরাত্রি তিথীর দিন সকাল বেলা।আগের দিন থেকেই অনেক আনন্দ উৎসাহ নিয়ে শিবরাত্রি পালন করার সকল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।আমি খুব ছোটবেলা থেকেই শিবরাত্রি ব্রত পালন করি মহাদেব কে খুবই মানি তাকে নিজের ইষ্টদেবতা হিসেবেই পূজা করি এবং মনেপ্রাণে মহাদেবকেই ভালোবাসি।তাই বড় হওয়ার পর থেকে কখনোই শিবরাত্রি পালন করা থেকে বিরত থাকিনি।
৮ মার্চ সকালে হঠাৎ করেই কোনো এক কারণে মনটা ভীষণ খারাপ ছিলো কেনোজানি বার বার মনে হচ্ছিলো আজ খারাপ কিছু একটা ঘটবে কিন্তু সেটা কি ঘটবে বুঝতে পারছিলাম না তবে মনের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছিলো বার বার বুকের ভিতরটা কেঁপে উঠছিলো।সকালে স্নান সেরে নিত্যপূজা সেরে বসে আছি তারপর আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির সাথে কথা হলো তবে খুব বেশি না কারণ মন আগে থেকেই খারাপ ছিলো ভিতরে একটা অজানা ভয় কাজ করছিলো তাই কথা বলার মতো খুব একটা ইচ্ছে ছিলো না!তাই খুব অল্প কথায় ফোন টা রেখে দেই।তারপর ঘন্টাখানেক পর কল আসলো আমি রিসিভ করলাম এবং আমার প্রথম কথা ছিলো তুমি কি ভালো আছো?তখন ওপাশ থেকে বললো কেনো হঠাৎ এ প্রশ্ন কেনো?তখন আমি বললাম না এমনিতেই জানতে চাইলাম তখন তার দিক থেকে উত্তর আসলো আমার একটা দূর্ঘটনা ঘটেছে তবে খুব বেশিকিছু হয়নি।এই কথাটা শোনার সাথে সাথেই আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো!আর কোনো কথা বলার মতো শক্তি আমার ছিলো না সবমিলিয়ে আমি একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো।২০২১ সালে আমার মায়ের অকাল মৃত্যুতে আমি মানসিক ভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ি তা কাটিয়ে উঠতে আমার অনেক গুলো সময় লেগেছিলো।তারপর আবারও বড়সড় একটা ধাক্কা খাই যা আমি সহ্য করতে পারিনি।
সেই মুহূর্তে আমি খুবই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি আর তারপর থেকে আমি আস্তে আস্তে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাই। তারপর আমার সবকিছুই কেমন জানি হতে লাগলো...,আমি আর কোনোকিছু স্বাভাবিক ভাবে ভাবতে পারছিলাম না সবকিছুই অস্বাভাবিক লাগতে শুরু শুরু করলো!তখন ভালো মন্দ সবকিছুই একই লাগতো কোনোকিছুতেই শান্তি লাগে না, সবকিছুই অশান্তি লাগে।কারো কথা কারো ভালো ব্যবহার কোনোকিছুই ভালো লাগে না।আর এভাবে আস্তে আস্তে আমার জীবনের শান্তি চলে যেতে লাগলো এবং সেইসাথে আমার কাছের মানুষদেরও আমার মেয়েরাও হতাশ হয়ে পড়লো।তখন আমি না নিজে ভালো থাকতে পারছিলাম না আমার আপনজনদের ভালো রাখতে পারছিলাম।এভাবেই চলছিলো জীবন কখনো ভালো লাগে আবার কখনো খারাপ লাগে আমি আমার অনুভূতি গুলো কাউকে বলে বোঝাতে পারছিলাম না।আর মানুষ আমার আচরণে আস্তে আস্তে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু আমার কিছু করার ছিলো না কারণ আমি কখন কি বলি বা কি করি আমি নিজেও জানি না।যখন রেগে যাই তখন আমার কোনো হুঁশ থাকে না কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার যখন স্বাভাবিক হই তখন বুঝতে পারি এটা ঠিক হয়নি।তবে আমার প্রিয় মানুষেরাও যে খারাপ করেনি তা নয় তাদেরও দোষ ছিলো সেগুলো আমি মানতে পারিনি এটাও আমার দোষ ছিলো।
৮ই মার্চের পর থেকে আমার জীবনে ভালো কিছুর চেয়ে খারাপ টাই বেশি ঘটেছে,আর এগুলো আমার মানসিক অশান্তির কারণে পরিণত হয়েছে।কিন্তু এটা কেউ বুঝতে চায়নি সবাই শুধু আমার রাগ অভিমান গুলোই দেখেছে কিন্তু আমি যে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম সেটা একবারও ভেবে দেখেনি কেউ।সবকিছু মিলিয়ে আমি Desperate মহিলাতে পরিণত হয়েছি।যাইহোক এগুলো আমার প্রাপ্য তাই এগুলো নিয়ে ভাবি না।আমি Desperate হলেও কথা দিয়ে কথা রাখার ক্ষমতা রাখি, নিজের ক্ষতি হলেও অন্যের ক্ষতির কারণ কখনো হই না এবং আগে যেমন ছিলাম এখনো তেমন আছি এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবো শুধু আমার প্রাপ্য গুলো পেয়ে আমি খুবই খুশি আর তাই ভালো মানুষদের থেকে দূরে থাকতে চাই এবং সেটা সবসময়ের জন্য।যে যেখানেই আছে সবাই ভালো থাকুক মহাদেব সকলের মঙ্গল করুক এই প্রার্থনা করি।🙏
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি।


আপনার লেখা থেকে বোঝা যায়, জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতাগুলো আপনাকে ভীষণভাবে আঘাত করেছে, কিন্তু এর মাঝেও আপনি মহাদেবের প্রতি বিশ্বাস ও নিজের নীতিতে অটল আছেন। মানসিক কষ্ট আর আশেপাশের মানুষের অবহেলা অনেক সময় আমাদের আরও ভেঙে ফেলে, কিন্তু একদিন হয়তো আপনি নিজের ভেতর থেকেই শান্তি খুঁজে পাবেন। সময়ের সঙ্গে সব বদলায়, হয়তো এই কষ্টের দিনগুলোও একদিন শুধুই অতীত হয়ে যাবে। মহাদেব আপনার জন্য শান্তি ও মঙ্গল বয়ে আনুন, এটাই কামনা করি।
আমি সবসময়ই খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাই।যাদেরকে ভালোবাসি তাঁরাই আমাকে কষ্ট দেয়।ধন্যবাদ আপু।
তোমার লেখাগুলো পুরোটাই আমি মন দিয়ে পড়ি। তোমাদের মানসিক অবস্থার কথা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো এবং একটা কথাই বলবো নিজেকে শান্ত এবং ধৈর্যশীল করে তোলো, যদি সহজভাবে নিজেকে না বোঝাতে পারো তাহলে নিত্য পুজো সারার পর কিছুটা সময় বা যখন সময় পাবে হাতে তখন কিছুটা সময় ধ্যান করো। যত বেশি ধীর থাকবে বিপদে অনেক শক্তি পাবে। তুমি নিজেই যদি অস্থির হয়ে থাকো কোন কিছুই সামলাতে পারবে না। অসুস্থতা যেমন তোমার হাতে নেই কিন্তু সুস্থতা কিছুটা হলেও তোমার হাতে।
একদম ঠিক বলেছো বন্ধু এখন ভগবানের প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।মানুষ কে অনেক ভালোবেসে উপকার করে দেখেছি সবাই শুধু কষ্ট দেয় অপবাদ অপমান করে এরচেয়ে ভালো ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করা।তোমার পরামর্শ কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো বন্ধু।
যখন মানসিকভাবে অস্থিরতা বেড়ে যায় তখন ভালো মন্দ সবকিছু একই মনে হয় বৌদি। আপনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন এমনটাই চাওয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার জীবনে হাসি আনন্দ দুঃখ সবকিছুই এক লাগে। শুধুমাত্র মনে জোরে টিকে আছি তা না হলে কবেই শেষ হয়ে যেতাম।