উপার্জন করার মানসিকতা।
মাধ্যমিকের পর থেকেই টুকটাক উপার্জন করার চিন্তা করতাম, যদিও পারিবারিকভাবেই আর্থিক স্বচ্ছলতা বেশ ভালো ছিল। তারপরেও নিজে উপার্জন করার বিষয়টা অনেকটা আগ্রহের বসেই সেই সময় নিজের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল।
এখন মনে হয়, ওই সময় আগ্রহের জায়গা থেকে যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম, তা এক অর্থে সঠিক ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি টুকটাক টিউশন করাতাম, অন্তত পকেট খরচটা চালানোর জন্য। তবে সেই উপার্জন করার মানসিকতা ধীরে ধীরে আরও পরিপক্বতা পেয়েছিল।
ইচ্ছে করেই আজকাল কাউকে পরামর্শ দেই না; কেননা এখন সবাই ওস্তাদ।
নিজে যে খুব ভালো কিছু করেছি জীবনে তেমনটা বলব না, তবে অন্তত এতোটুকু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি—এখনও প্রতিনিয়তই চেষ্টা করি, পারতপক্ষে কারো সংস্পর্শ ছাড়া নিজের পায়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করার জন্য।
পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে তরুণদের দেখলে বেশ হতাশ হয়ে যাই। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে উন্নত কিছু চিন্তাভাবনা না করতে পারলে, তাদের জন্য প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা বড্ড কঠিন হয়ে যাবে।
অপ্রিয় সত্য হচ্ছে—বর্তমানে পুঁথিগত বিদ্যার সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ক আকাশ-পাতাল তফাৎ। দক্ষতা অর্জন ছাড়া আসলে কোনো কিছুই দীর্ঘমেয়াদি করা সম্ভব না।
যদিও সবাই ওস্তাদ, তারপরেও হয়তো ফিসফিসিয়ে তরুণদের বলতে চাই—ভুংভাং সময় নষ্ট না করে যে কাজের প্রতিই দুর্বলতা কাজ করুক না কেনো, সেই কাজগুলোই ভালোভাবে রপ্ত করতে। হয়তো সেই কাজগুলোর দক্ষতাই ভবিষ্যতে উপার্জনের রাস্তা আরও মসৃণ করে দেবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR






আসলে পরিবার যতই স্বচ্ছল হোক না কেনো,নিজে কিছু করতে পারলে খুব ভালো লাগে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে আমি ভেবেছিলাম নিজেকে কিছু করতে হবে এবং সেই চিন্তা থেকেই কিছু করা। যাইহোক বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। তাই হেলাফেলায় সময় নষ্ট না করে,বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা উচিত। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা জেনেও বেশ ভালো লাগলো ভাই । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।