উষ্ণতা
জীবনের ধারাপাত সবার কি সমান হয় নাকি ভিন্নতা থাকে। আরজুকে আজকাল এই প্রশ্ন বেশ ভাবায় !
চরিত্রের প্রয়োজনেই আরজু অনেকটা কাল্পনিক ভূমিকা পালন করছে লেখায়, আর যদি খুবই গায়ে বিঁধে লেখাগুলো, তাহলে না হয় আরজুর পরিবর্তে নিজেকে চরিত্রের সঙ্গে মানানসই করে নিয়েন।
ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা কোনরকমে মুখে ঢুকিয়ে দিয়েই চোখ বন্ধ করে যখন প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে যাবে, তখনোই মনে হল খেজুরের গুড় একটু বেশি দিলে ভালো হতো। দুটো কথা অবশ্য বাড়তি বলে দিয়েছে চাচীকে, কি খবর চাচী, পয়সা তো ঠিকই রাখছেন, পিঠাতে গুড় বৃদ্ধি করলে কি হয়?
আজ সন্ধ্যায় আরজুর আর তাড়া নেই, এই যে ঘন কুয়াশা, তীব্র ঠান্ডা এসব যেন পানি পানতা ওর কাছে। গুনে গুনে দুটো সোয়েটার আর একটা জ্যাকেট তো আছেই, সঙ্গে আবার হাত-পা, কান-মাথা ঢাকার ব্যবস্থাও রয়েছে।
মানুষের মন, কখন কি চায় তা বলা মুশকিল। এই যেমন ধরুন, আহ্লাদে আজ আরজু রেললাইন ধরে হাঁটছে আর নিজের অজান্তেই খিলখিল করে হাসছে। নেই পিছুটান, জরাজীর্ণতা কিংবা উষ্ণতার অভাব।
ফুর্তি ভরা মনটা যেন মুহূর্তেই বিমর্ষ হয়েছে আরজুর, বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছে, রেললাইন বাদে যদি রিকশায় চড়ে ঘোরা যেত, তাও হয়তো মনের ফুর্তি নষ্ট হতো না।
সব কাঙালকে কি আমার সামনেই পড়তে হয়, পিঠার দোকানেও দুইটারে খাওয়াইলাম আবার প্ল্যাটফর্মে আসতে না আসতেই, কাঁপুনি ধরা মানুষটা যে কেন নজরে আসলো, তা আর বুঝে উঠতেই পারলাম না।
দোষ কার দেবো চোখের নাকি নিজ সত্তার। ফুরফুরে ফুর্তি ধরা সন্ধ্যাটা আমার, আজ বেজায় তেতো হয়ে গেল।
পৃথিবীতে যে অত্যন্ত মানবিক হলে নিজেকে পস্তাতে হয়, তা হয়তো গায়ের জ্যাকেট আর সোয়েটার বিতরণের মাধ্যমে আরজু তা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে।
নিজেরে বারবার ধমক দিচ্ছে আরজু, কি দরকার ছিল শখ করে বের হওয়ার, শখ মিটলো তো এবার!
তবে এতো ধমকানোর পরেও, ওর সত্তা ওকে বারবার জানান দিচ্ছে, ধুর বেটা এই তীব্র শীতে যদি উষ্ণতায় ছড়াতে না পারিস, তাইলে আর মানুষ হইলি কিভাবে.....!!
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR





