খেজুরের রস | সচেতনতার বার্তা।
নিপাহ ভাইরাস নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই, কেননা সবাই জানেন, বোঝেন এবং জানা–বোঝার পরেও একই কাজ করেন।
বিশেষ করে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে খেজুরের রস খাওয়া যেন এক প্রকার ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। প্রতিবছরই কিন্তু এই ভাইরাসের শিকার অনেকেই হচ্ছেন, এবং এই ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশের পরিণতি কিন্তু মৃত্যু দিয়েই শেষ হয়।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী কী সমস্যা হতে পারে, সেটা যদি একটু গুগল করেন, তাহলেই সব তথ্য পেয়ে যাবেন। কাঁচা রস কোনোভাবেই খাওয়া ঠিক না—যতই নিরাপদভাবে থাকুক, ব্যবসায়ীরা যতই ভালো বলুক, তারপরেও খাওয়া ঠিক না।
তারপরেও যদি অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা জাগে, তাহলে হয়তো ভালোভাবে গরম করে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
যেহেতু আমি প্রতিটা ব্যাপারে ভীষণ সচেতন এবং নিজের যৌক্তিক চিন্তাধারা তুলে ধরার চেষ্টা করি, তাই সেই জায়গা থেকেই বলার চেষ্টা করছি—অতি উৎসাহী হয়ে খেজুরের রস না খাওয়াই শ্রেয়।
নিজেদের এলাকার কয়েক দিন আগে একটা দুঃখজনক ঘটনার কথা শুনলাম। উঠতি বয়সী তরুণরা বন্ধুরা মিলে বাইক নিয়ে খুব ভোরবেলায় গিয়ে অতি উৎসাহে খেজুরের রস খেয়েছে। এরপর জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট—শেষমেষ মেডিকেল কলেজে ভর্তি, অবশেষে ফলাফল শূন্য।
পৃথিবী ছেড়ে সবাইকেই যেতে হবে—এটাই সত্য। তবে এই যাওয়ার ব্যাপারটা যেন অসচেতন হয়ে না যেতে হয়, এটাই তো বলতে চাচ্ছি এই লেখার মাধ্যমে।
সবার সুবুদ্ধির উদয় হওয়া খুবই জরুরি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR






প্রতি বছরই ভাবি খেজুরের কাঁচা রস খাবো না,কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেনো জানি লোভ সামলাতে পারি না। তাই গত বছরও একদিন খেজুরের রস খেয়েছিলাম। তবে এই বছর অবশ্যই চেষ্টা করবো খেজুরের রস না খাওয়ার। আর বেশি খেতে ইচ্ছে করলে গরম করে ফুটিয়ে খাবো। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাই করুন না কেন ভাই, সচেতন থাকিয়েন।