শূন্য
আগে কত চিঠি আসত, এখন চিঠিও আসে না—কিংবা চিঠির অভাবে ডাক অফিসগুলোও অনেকটা অচল হয়ে গিয়েছে।
শহরের ডাক অফিসগুলোতে তাও টুকটাক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরকারি দপ্তর থেকে কাগজপত্র নিজেদের ঠিকানায় আসে। পরে ডাক অফিস থেকে ফোন এলে সেখানে গিয়ে সেই কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিতে হয়। তবে গ্রামীণ ডাক অফিসের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা।
গত দিন চলতি পথে একটি গ্রামীণ ডাক অফিস দেখলাম। সেখানকার চিঠির বাক্সের অবস্থা দেখে রীতিমতো আমি অবাক হয়ে গেলাম। চিঠির বাক্সটা কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে—জংধরা, কোথাও তলা খোলা। এক কথায়, ভঙ্গুর অবস্থা।
যখন প্রয়োজন ছিল, তখন এর গুরুত্ব ছিল খুব। আর আজ যখন প্রয়োজন নেই, তখন যেন সবকিছুই ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
প্রযুক্তি মূলত সব জায়গা দখল করে নিয়েছে। প্রযুক্তির গ্রাসে চিঠি লেখা উধাও হয়ে গিয়েছে, আর বাস্তবিক চিঠিগুলোও কোনো অবস্থাতেই আর বাস্তব নয়। সব যেন শুধুই অতীত কিংবা স্মৃতির বাইরে আর কিছু না।
ডাকবাক্সগুলো বলা যায় একপ্রকার ঐতিহ্য—যা এখন কোনোরকমে শোপিস হিসেবেই টিকে আছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness

OR






আসলেই একটা সময় ছিলো প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো চিঠি। কিন্তু এখন তো আমরা প্রযুক্তির কল্যাণে ভিডিও কলে কথা বলতে পারি। তাই ডাক অফিসের গুরুত্ব খুবই কমে গিয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অতীত বড্ড আবেগপ্রবণ, চিঠির যুগ আসলেই আমাদের অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় , যা আজ শুধুই অতীত। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।