সংগঠনের দর্শন।

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

14289.jpg
source

স্থানীয় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কিছু স্বেচ্ছাসেবী জনকল্যাণমুখী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত সেসব সংগঠনের তরুণ ছেলেদের সঙ্গে টুকটাক কথা হয়েছিল। তারা মূলত সংগঠনের দর্শন নিয়ে আলোচনা করছিল। বলতে গেলে সংগঠনের কাজকর্মের ভিত্তিতে সংগঠন দাঁড় করানোর জন্য সংগঠনের দর্শন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এজন্যই তাদের কথাবার্তার ভিত্তিতে সংগঠনের দর্শন লিখতে হয়েছিল। সেই লেখাই আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরলাম। কেননা, যদি আপনারা আপনাদের এলাকায় জনকল্যাণমুখী সংগঠন করেন, তাহলে হয়তো কিছুটা ধারণা পেতে পারেন।

সংগঠনঃ টিম ফাইভ হান্ড্রেড

কার্যক্রমঃ জনকল্যাণমূলক

সংগঠনের দর্শন

দলমত-নির্বিশেষে ন্যায়–অন্যায় পৃথক করার মানসিকতা সৃষ্টি করা এবং প্রতিবাদী সত্তা লালন করা। মোটকথা—ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগঠনের অবস্থান নিশ্চিত করা।

স্বৈরাচারী সত্তাকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা।

কোনো অবস্থাতেই নিজেদের ভেতরে ঐক্যের ফাটল তৈরি করা যাবে না। সংগঠনের সকলের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক মতাদর্শ সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে তা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া—তবে কোনোভাবেই সংগঠনের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না।

সংগঠন মূলত সকলের নেতৃত্বেই পরিচালিত ও গতিশীল। এখানে আধিপত্য বিস্তারের কোনো সুযোগ থাকবে না এবং তেমন পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। সকলের সম্মতিতেই সংগঠন এগিয়ে যাবে।

নীতিবহির্ভূত কোনো কাজ একান্ত ব্যক্তিগত। সেখানে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। কোনো সদস্য তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সংগঠনকে ব্যবহার করতে পারবে না। সবাইকে জবাবদিহিতার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

সমাজ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণেই সংগঠনের জন্ম। তাই জনকল্যাণমূলক কাজই সংগঠনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুখ্য বিষয়।

কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে সংগঠনের সদস্যদের ন্যূনতম ধারণা থাকা আবশ্যক।

সংগঠন একটি সংবেদনশীল ও স্বতন্ত্র ক্ষেত্র। তাই এখানে যুক্ত হওয়ার পথ যেমন সহজ, তেমনি বিদায়ের পথও সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।

সংগঠনের সদস্য হতে হলে সংগঠনের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ার প্রতি বিনীত থাকতে হবে এবং সংগঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। গোবিন্দগঞ্জের উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের সমন্বয়েই সৃষ্টি এই সংগঠন—এ বার্তাটির প্রতি সচেতন থাকা জরুরি।

সংগঠনের সদস্য বৃদ্ধিতে প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা নিয়মিত পালন করা আবশ্যক।

মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সামাজিক অবক্ষয়মূলক কার্যক্রম থেকে সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকেই সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে।

ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অনুগত থাকা।

সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সংগঠনের সদস্যরা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেই নিশ্চিত করবে—তবে কোনো অবস্থাতেই তা সদস্যদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সংগ্রহ করা যাবে না।

গোবিন্দগঞ্জের সর্বসাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগঠনকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে এবং যারা সাধারণ মানুষের হক লুন্ঠন করে—তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অবস্থান নিতে হবে।

সংগঠনের কার্যক্রমে রাজনৈতিক প্রভাব কোনোভাবেই কাম্য নয়।

2154.png

2155.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 7 days ago 

আমি মনে করি প্রতিটি এলাকায় এমন সংগঠন থাকা উচিত। তাহলে জনসাধারণ সবদিক দিয়েই উপকৃত হবে। যাইহোক সংগঠনের দর্শন পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আপনাদের সংগঠনের সফলতা কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 days ago 

আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম ভাই। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।