মেঠো পথের মায়া
মাঝে মাঝেই আমি যখন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই, বাইকটা নিয়ে আমি চলে যাই মাঠের দিকে। কারণ মেঠো পথের মায়া আমাকে খুব টানে। ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছে মফস্বল শহরে। যদিও জন্মটা গ্রামে, ছোটবেলায় যখন আমার বয়স সাত কি আট বছর, তখন আমার বাবা গ্রাম থেকে অল্প কিছুটা দূরে এই মফস্বল শহরে আমাদেরকে নিয়ে চলে আসেন। হয়তো জন্ম গ্রামে হওয়াতে গ্রাম বা মেঠো পথের প্রতি একটি মায়া সবসময় কাজ করে।
এখন প্রফেশনের খাতিরে ঢাকাতে থাকা হয়। এ যেন আরো ভয়ংকর অবস্থা। মানে গ্রাম থেকে ছোট্ট শহরে এবং এর পরে শহর থেকে আরও বড় শহরে। গ্রামের প্রতি একটা যেন ভেতর থেকে টান ও খা খা অনুভূত হয়। এজন্য যখনই ছুটি পাই ছুটে চলে যাই বাড়িতে। আর বিকাল বেলা বাইকটা নিয়ে দৌড় দিই গ্রামের রাস্তায়। পুরো বিকেল সময়টা কাটিয়ে দি ওই গ্রাম আর মায়হের রাস্তায়ই।
| ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @surzo |
| লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
দুই পাশের সবুজ মাঠ, ফ্রেশ বাতাস, আর অসাধারণ যেন এক প্রাকৃতিক গন্ধ। এই মায়াটাই যেন বুদ হয়ে থাকি প্রতিটা সময়। মাঠের রাস্তা বা মেঠো পথ বাংলার এক অসাধারণ সৌন্দর্য। বাড়িতে যখনই যাই আমি আমার বন্ধু দুইজন মিলে শহর ছেড়ে চলে যাই দূরে গ্রামের রাস্তায়। দূরে কোন এক মেঠো পথ পার হয়ে ঠিক মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াই। তারপর উপভোগ করি গ্রামের সেই ফ্রেশ বাতাস ও গন্ধ। মনে হয় এখানে যেন কাটিয়ে দিই সারাটি জীবন। এই মায়া এই টান এক অদ্ভুত জিনিস। যার গ্রামে জন্ম বা গ্রামের কাছাকাছি বড় হয়েছে সেই এই মায়ার টান অনুভব করবে। বিশেষ করে শহরের দিকে চলে গেলে এই টান যেন আরো বেশি বেড়ে যায়। ছুটি বা সময় শেষ হয়ে গেলে যখন শহরে আবার ফিরে আসি, ভেতর থেকে একটা চাপা কষ্ট যেন কাজ করে আর সব সময় মন ছুটতে থাকে কবে আবার ফিরে আসব। সব সময় এই মায়ার মধ্যেই পড়ে থাকতে চাই।
