অপেক্ষা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এবারও হলো না। অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হলো। কথাগুলো ঐদিন আমার মনে আসছিল অনেক আফসোস থেকে অনুতাপ থেকে। অপেক্ষা ব্যাপার টা ঠিক যতটা না আনন্দের ততটাই কষ্টের। কখনও কখনও এটা দেয় প্রচণ্ড যন্ত্রণা। বাড়ি থেকে এসেছিলাম সেই সেপ্টেম্বর মাসে। তারপর আর যাওয়া হয়নি। আমার মা বার বার বলছিল আমি যেন বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসি। আমিও ভাবলাম না যায় শীতের মধ্যে বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। এরই মধ্যে আবার হঠাৎ করে সে একদিন ফোন দিয়ে বসে। মানুষটার সাথে আজ দেড় বছরের বেশি দেখা নেই। শুধু কথা হয় মাঝে মাঝে। সেটাও মাসে একবারের বেশি না। এতোকিছুর পরেও আমি ভুলতে পারিনি। আমার অনূভুতি সেই আগের মতোই আছে। এতোটা লয়্যালিটি হয়তো ভালো না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা একমাত্র ঐটাই আমাকে অফুরন্ত দিয়েছেন হা হা।
তার সাথে কথা হয় ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। তখন বলেছিলাম আমি ডিসেম্বরের ২২ তারিখের দিকে বাড়ি যেতে পারি। সে বলেছিল আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে দেখা করা যাবে। তার কথায় আমি পুরোপুরি বিশ্বাস না করলেও একটা প্রত্যাশা ছিল যাক অবশেষে হয়তো আমাদের দেখা হতে যাচ্ছে। এরপরে তার আর যোগাযোগ নেই। পরবর্তীতে বাড়ি যাওয়ার পরেও যখন কোন যোগাযোগ সে করল না। বাধ্য হয়ে আমিই নিজেই ফোন দিলাম। তবে তার নাম্বারে না। তার মায়ের নাম্বারে। তার ফোন নাম্বার আমার কাছে নেই এখন। যদিও তার মায়ের নাম্বারে আমি ফোন দেয় নাই ফোন দিয়েছিলাম আমার বন্ধু রাসেল কে দিয়ে। শুধুমাত্র তাকে ফোন পযর্ন্ত নিয়ে আসতে হবে এই ছিল রাসেলেয কাজ। তবে ফোন সরাসরি সেই মানুষটাই ধরে। তখন সন্ধ্যা অতিবাহিত হয়েছে এমন সময়। নদীর পাড়ে আমি রাসেল বসে আছি। তাকে সরাসরি বললাম তোমার ফোন করার কথা ছিল দেখা করার কথা ছিল। সেটার কী হলো।
যদিও আমার মেজাজ টা খারাপ ছিল। একেবারে ভালো ভাষায় কথা বলিনি। কিছুটা ঝাড়াঝাড়ি করেছিলাম। তখন কল কেটে দেয় এবং শেষে বলে আমি দেখা করতে পারব না। পরের দিন সে আবার ফোন দেয়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পরে সে বলে আগামীকাল দেখা করবে। তবে সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। ইদানিং ও বাড়ি থেকে বের হতে পারে না। বাড়ি থেকে বেশ নজরদাড়ির মধ্যে রেখেছে। এইজন্যই সে আসবে তার বোনের সাথে অল্প সময়ের জন্য। যেহেতু আমাদের জেলা পযর্ন্ত আলাদা। আমার ওর জেলায় যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘন্টা। এবং ও দেখা করবে মাএ ১ ঘন্টার জন্য। ফলাফল এক ঘন্টা দেখা করার জন্য পুরো ৫-৬ ঘন্টা সময় আমি ব্যয় করতে চাইনি। ফলাফল নিজেই বলে দেয় ঠিক আছে দেখা করা লাগবে না। পরবর্তীতে আরও কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। কিন্তু ঐ বরাবরের মতো আমরা দুজনই দুজনের জায়গাই অটল ছিলাম।
পরবর্তীতে আমার মনে হচ্ছিল না আর যাইহোক গিয়ে দেখা করা উচিত ছিল। কতদিন ওর সাথে আমার দেখা হয় না সেটার কোন ঠিক নেই। একঘণ্টা হোক কিন্তু ওকে তো দেখতে পারতাম। যদিও সেটা আমার মনের মধ্যেই ছিল। যদি সে আরেকবার যোগাযোগ করতো তাহলে হয়তো আমি চলে যেতাম। কিন্তু সেটা আর হয়নি। বিগত একবছরের বেশি সময় ধরে বেশ কয়েকবার আমরা দেখা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন ফলাফল হয়নি। শেষ পযর্ন্ত আমাদের দেখা হয়নি। কোন এক অদ্ভুত কারণে আমাদের আর দেখা হচ্ছে না। প্রতিবারই কোন না কোন সমস্যা এসে হাজির হয়। এখন আমার এমনটা মনে হতে শুরু করেছে হয়তো সৃষ্টিকর্তা নিজেই চাইনা আমাদের আর দেখা হোক। তাই ঐদিন একপ্রকার আফসোস করেই লিখেছিলাম না এবারও হলো না। অপেক্ষার প্রহর আরও দীর্ঘ হলো।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)



Daily task
https://x.com/i/status/2005549595934478485
https://x.com/i/status/2005549911740383266