ঘূর্ণিঝড় রেমাল।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

image.png

image source

আপনারা সবাই হয়তো জেনেছেন ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর কথা। কাল রাত থেকে আমাদের এখানে বেশ জোরে শোরে দমকা হওয়ার বয়ে চলার পাশা পাশি অনেক বৃষ্টিও হচ্ছে। তবে আজকে একটু আগে অর্থাৎ দুপুরের পর পর বেশ অনেকটা জোরেই বাতাস বইছিলো। তবে এখন সেটা নেই। কিছুটা শান্ত হয়েছে। তবে দুপুরের পরের বাতাসটা বেশ তীব্র ছিল। অনেকেই বলতে শুনলাম তাদের টিনের ঘরের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে এই বাতাস এর জন্য। আর এটা হওয়ারই কথা কেননা দেশের অন্যন্য জেলায় এই ঘূর্ণিঝড় এর কারণে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে , সেইক্ষেত্রে আমাদের এখানে কিছুটা কম ক্ষয়ক্ষতিই আমি লক্ষ করেছি এবং কেউ আহতও হয়নি । তবে যতদূর শুনলাম এই ঘূর্ণিঝড় এর কারণে বাংলাদেশে সব মিলিয়ে প্রায় ৯ জন মারা গিয়েছে।

এই খবরটি শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগছিলো। আর আহতের সংখ্যা তো অনেক। একটু আগে একটা খবরে শুনলাম বাতাস এতটাই তীব্র ছিল যে এক লোক বাতাস থেকে বাঁচার জন্য একটা দেয়ালের পাশে গিয়ে আশ্রয় নেয় কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় বাতাস এর তীব্রতা থাকায় সেই দেয়াল ভেঙে উনার উপর পরে যায় এবং তিনি মারা যান। বিষয়টা খুবই মর্মান্তিক। আর একবার চিন্তা করেনই বা দেখুন বাতাস এর বেগ কতটা তীব্র হলে একটা আস্ত দেয়ালকে ভেঙে ফেলতে পারে। আমি সত্যিই এই ঘটনাটি শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আর আরো একটা ঘটনা শুনলাম যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় একজন মারা যায়। যদিও কিভাবে মারা গিয়েছে তা ঠিক বলেনি সেখানে। এই খবর গুলো শুনে আমার সত্যিই অনেক মন খারাপ হয়েছে।

আর একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করলাম যে আমাদের মধ্যে অনেক সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা সব কিছুই অনেক বেশি উপেক্ষা করি। এই ঘূর্ণিঝড় এর জন্য আমাদের দেশের অনেক জায়গায় বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। যাতে আমরা সতর্ক হই এবং সেখানে যাতে বেশি সময় অবস্থান না করি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখলাম অনেকেই সেই জায়গা গুলোতে গিয়েছে ঝড় দেখার জন্য। এই বেপারগুলো সত্যিই আমাকে ভাবায়। মানুষ কতটা অসচেতন হলে এইসব কাজ করতে পারে। আর এইসব অসচেতনতার জন্য অনেকেই অনেক ভাবে আহত এমনকি নিহতও হচ্ছে।

যাই হোক , এই ঘূর্ণিঝড়টি ধারণা করা হচ্ছে ঢাকা , ময়মনসিংহ হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। সন্ধ্যা অব্দি হয়তো ঢাকায় আঘাত আনবে এই ঝড়টি। তাই আজকে রাতটা আমরা ঘরের মধ্যেই অবস্থান করার চেষ্টা করবো। যদি একান্তই না প্রয়োজন হয় বের হওয়ার তাহলে আমরা ঘর থেকে বের হবো না। এবং সবাই নিজেদের নিজেদের অবস্থান হতে সচেতন থাকার চেষ্টা করবো। আজকে এই পর্যন্তই , ধন্যবাদ আপনাদের ।

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। ভালো লেগেছে পোস্টটি । আমাদের দেশের উপকূলীয় জেলা গুলোর মধ্যে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট,খুলনা, পটুখালি ও বরগুনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বশেষ ১০ জন মানুষের প্রাণহানির সংবাদ জানা গেছে। রিমালের প্রভাবে সারাদিনেই আজ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঢাকায় এবং এখনো চলছে। আপনি ঠিকেই বলেছেন, একান্ত প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো। ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপু আমাদের এখানেও রাত থেকেই প্রচুর বাতাস এবং আজকে বৃষ্টি হচ্ছে সারাদিন। তবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, এটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। রেমাল ঘূর্ণিঝড় বেশ শক্তিশালী। আল্লাহ তায়ালা যেনো আমাদেরকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন,সেই কামনা করছি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আমি একটা নিউজ থেকে শুনতে বললাম বাতাসের বেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার প্লাস ছিল। আর কিছুক্ষণ আগেই শুনতে বললাম এ পর্যন্ত সাতজন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহতদের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। এখন তো আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম ৯ জন নিহত হয়েছেন। এটা শুনে সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগলো যে বাঁচার জন্য দেয়ালে অবস্থান নিল কিন্তু সেই দেওয়ালে তার জীবন নিয়ে নিল। যাই হোক কার কখন মৃত্যু কোথায় কিভাবে আছে বলা মুশকিল। আপনি সঠিক বলেছেন আমাদের এই কয়েকটা দিন অনেক বেশি সচেতনতার সাথে থাকতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে থেকে বেরোনো আমাদের অনুচিত হবে। জনসচেতনতামূলক পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আমাদের এখানেও গতকাল রাত থেকে বাতাস বইছে। আর এখন পর্যন্ত সেই বাতাস বয়েই চলেছে। তবে যতটুকু জানি আমাদের এখানে কিছু জনের ঘরবাড়ির অবস্থা খারাপ হয়েছে কিন্তু কারোর কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এটা জেনে খারাপ লাগলো যে সারাদেশে এই ঝড়ের কারণে নয় জন নিহত হয়েছেন। আর একজন তো দেওয়ালের পিছনে আশ্রয় নিয়েও বেঁচে থাকতে পারেনি কারণ বাতাসের তীব্রতার কারণে দেয়ালটা ভেঙে তার গায়ের উপর পড়েছিল। বিষয়টা জেনে খারাপ লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আমাদের এদিকেও তেমন ক্ষতি করতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে বাতাসের বেগ এত বেশি ছিল যে মনে হচ্ছিল বিল্ডিং ভেঙ্গে যাবে। বাতাসের বেগ এত বেশি এখনো মনে হচ্ছে যে কাঁচের জানালা ভেঙ্গে পড়তেছে এমন অবস্থা। যাক অবশেষে ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে গেলো তাতে শুকরিয়া জানাই। দেশের মানুষ অনেক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেল। যদিও অনেক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে শুনতে পাচ্ছি।

 2 years ago 

আমাদের এলাকায় প্রচন্ড ঝড় হওয়ার কারণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আপু। আমরা কেউ ধারণা করছিলাম না আজকের দিন এমন ঝড় হবে। হঠাৎ ঢাকা থেকে ভাইয়া বলেছিল কালকে ঝড় হবে। ঠিক যেন তাই হয়ে গেল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, গাছপালা ভেঙে গরু-ছাগলের ঘরবাড়ি অনেকের ভেঙে গেছে। এদিকে কারেন্টের লাইন নষ্ট হয়েছে। এখনো ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলেছে।

 2 years ago 

ঝড়ের সময় আসলে দেয়ালের পাশে থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে যিনি ছিলেন, উনি মনে হয় বুঝতে পারেনি, এজন্য এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তাছাড়া আরও এক শ্রেণীর বোকা লোকের কথা আপনি বললেন, যারা ঝড় উপভোগ করতে গেছিল। এদের কথা শুনে তো আরো বেশি অবাক হচ্ছি আমি। তবে আপু ক্ষয়ক্ষতি সব জায়গায়ই কমবেশি হয়েছে। আর বাংলাদেশে গত বছর মনে হয় আরো অনেক বেশি মানুষ মারা গেছিল। এই বছর কিছুটা কম তার তুলনায়। তবে মৃত্যু তো আমাদের জন্য সব সময় দুঃখজনক। সেটা হোক কম বা বেশি।

 2 years ago 

আপু আমাদের দেশের সরকার নানা ভাবে সবাইকে সতর্ক করলে ও অনেকেই তা বুঝতে বা শুনতে চান না।তাদেরকে এমনকি তাদের গবাদি পশুকেও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হলে ও,তারা অপেক্ষা করে বসে থেকে বিপত্তি , ঘটায়।যা মোটেও কাম্য নয়।সবাই নিরাপদে থাকবে এমনটাই আশাকরি।