পরশ্রীকাতরতা
নমস্কার বন্ধুরা,
পরশ্রীকাতরতা একটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা যা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক আচরণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে কেউ অন্যের সাফল্য, সুখ বা উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত বোধ করে এবং প্রায়শই এই ঈর্ষা থেকে হীনমন্যতা, হতাশা বা বিদ্বেষের জন্ম নেয়।পরশ্রীকাতর ব্যক্তিরা অন্যের ভালো দেখলে আত্মতৃপ্তি অনুভব করতে পারেন না বরং তারা মনে করেন যে অন্যের অগ্রগতি তাদের জন্য ক্ষতির কারণ।এই ধরনের মানসিক অবস্থা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে এবং নেতিবাচক প্রতিযোগিতার জন্ম দেয়।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন পরশ্রীকাতরতা মূলত আত্মবিশ্বাসের অভাব,নিজের সাফল্যে অসন্তোষ এবং অতিরিক্ত সামাজিক তুলনার ফলে তৈরি হয়।এই সমস্যা ছোটবেলা থেকেই জন্ম নিতে পারে যদি কেউ পরিবার, সমাজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যদের সাথে অতিরিক্ত তুলনার শিকার হয়।এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপক প্রচলনের ফলে পরশ্রীকাতরতা আরও বাড়তে পারে কারণ মানুষ সেখানে অন্যদের সাজানো-গোছানো জীবন দেখে নিজেদের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়তে পারে।এটি হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্মমর্যাদার অভাবের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে যা ধীরে ধীরে ব্যক্তির মানসিক ও আবেগিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পরশ্রীকাতরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, নিজের সাফল্য ও অগ্রগতিকে মূল্যায়ন করা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।পাশাপাশি, অন্যের সাফল্যকে প্রশংসা করা এবং সেটিকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়াও প্রয়োজন।মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে পারলে এই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার নেতিবাচক প্রভাব কমানো সম্ভব।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 6.893745680430197 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
খুব চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকের ব্লগটি লিখলেন দিদি।পরশ্রীকাতরতা থেকে বের হতে হলে যেই পয়েন্ট গুলো আপনি তুলে ধরেছেন তা একদম ঠিক।সর্বোপরি মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা ভীষণ জরুরী।
পরশ্রীকাতরতা জিনিসটা খুব খারাপ। যাদের এই ধরনের মন-মানসিকতা রয়েছে, তারা অন্যের ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করে না। সুতরাং পরশ্রীকাতরতা কাটিয়ে ওঠার জন্য অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে পরিবারের সাপোর্ট খুবই জরুরী। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পরশ্রীকাতরতা সত্যিই একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা, যা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। অন্যের সাফল্যে ঈর্ষা অনুভব না করে যদি তা অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া যায়, তাহলে জীবন অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক মনোভাব এবং সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে তোলা পরশ্রীকাতরতা কাটিয়ে ওঠার চাবিকাঠি। লেখাটি পড়তে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে ভাবতে হলো। চমৎকার একটি বিশ্লেষণধর্মী লেখা, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
পরশ্রীকাতরতার মতো মানসিক সমস্যার দারুন সুন্দর ব্যাখ্যা সমেত একটি পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন দিদি। আসলে এই ধরনের সমস্যা নিতান্ত মানসিক দুর্বলতা থেকেই সৃষ্টি হয়। মানুষ যখন নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে শুরু করে তখনই পরশ্রীকাতরতা তার উপর ভর করে। আপনার পোস্টে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাগুলি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এই ধরনের রোগ গুলি থেকে সমাজের এক গভীর অবক্ষয়ের সৃষ্টি হয়।