শিক্ষক দিবস কি এবং কেন ?
গতকাল ছিল শিক্ষক দিবস। এই শিক্ষক দিবস দিনটি ১৯৯৫ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে পালন করা হয় ।
কেন এই শিক্ষক দিবস দিনটি ৫ই সেপ্টেম্বর পালন করা হয় ?
ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ১৮৮৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ।তারপর থেকেই ওই ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটি অর্থাৎ জন্মদিনের দিনটিতেই শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। রাধাকৃষ্ণানের যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে, ব্রিটিশ সরকার তাঁকে স্যার উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিল। রাধাকৃষ্ণন ২৭ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। রাধাকৃষ্ণনকে ১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এইরকম বহু দেশের অর্থাৎ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় , অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৯৬২ সালে যখন তিনি শিক্ষক ছিলেন তখন তার ছাত্র-ছাত্রীরা তার জন্মদিন উদযাপন করার অনুমতি চাইলে তিনি বলেন ওই দিনটিতে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করার জন্য । এরপর থেকেই আর সমাজে শিক্ষকদের অমূল্য অবদানের তা স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটিতে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হয়।আর এভাবেই 5 সেপ্টেম্বর ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হতে শুরু করে।
আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি তখন আমাদের প্রথম শিক্ষা এবং আমাদের প্রথম হাতে খড়ি আমারদের মায়েদের কাছ থেকেই শুরু হয় ।তাই আমি মনে করি মা-ই হলো আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষক। আমাদের ছোটবেলা থেকে হাত ধরে হাটা থেকে শুরু করে অ-আ-ক-খ সমস্ত কিছুই কিন্তু আমাদের মায়েদের কাছ থেকেই শেখা তাই মা এবং বাবা ই আমাদের জীবনে প্রথম শিক্ষক। এরপর জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষের কাছে কোনো না কোনো শিক্ষা আমরা অর্জন করছি।
শিক্ষক নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক-শিক্ষিকা। এবং শিক্ষকরাই প্রতিনিয়ত তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে আমাদের দেশের জন্য একটি উজ্জল ভবিষ্যৎ তৈরী করছেন।
তাই শুধু এই শিক্ষক দিবসের দিনটাই শিক্ষকদের সম্মান জানানোর দিন না ,প্রত্যেকটি সময়ই জানো আমরা শিক্ষকদের সম্মান করতে পারি এটাই আমাদের সকলের মাথায় রেখে চলা উচিত ।


পিতা মাতার পরে সব থেকে সম্মানীয় ব্যক্তি হলো শিক্ষক। শিক্ষকের মর্যাদা অনেক। আপু আপনি শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আজকে খুব চমৎকার কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন। এই তথ্যগুলো আমার অজানা ছিল কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে এগুলো আমি জানতে পারলাম। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
শিক্ষক দিবসকে কেন্দ্র করে খুব চমৎকার একটি ব্লগ শেয়ার করলেন দিদি।পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।এটা ঠিক মা-বাবার পরই শিক্ষকদের স্থান।তবে একটি বিশেষ দিনে নয়। বরং প্রতিনিয়ত আমাদের উচিত শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা।ধন্যবাদ দিদি শেয়ার করার জন্য।
দিদি ভাই, শিক্ষক দিবসের পিছনের এত গভীর তথ্য আমার সত্যিই জানা ছিল না। বেশ ভালো লাগলো তথ্যগুলো জেনে।
একদম ঠিক কথা। পরিবার আমাদের প্রথম বিদ্যালয় আর মা প্রথম শিক্ষা গুরু।খুব ভালো ছিলো পোষ্টটি।💖
পোস্টটি পড়ে শিক্ষক দিবস পালন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম দিদি। এটা ঠিক যে,মা হলো আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষিকা। কারণ প্রায় প্রতিটি মা তাদের সন্তানদেরকে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ শিখিয়ে থাকে। তাইতো বলা হয়, একজন শিক্ষিত মা-ই পারে একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
শিক্ষকদের নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কথা আপনি লিখেছেন। দিদি লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একজন শিক্ষকের মর্যাদা অনেক কারণ মানুষ গড়ার কারিগরি হচ্ছে শিক্ষক। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখানো এবং সেই পথে চলার জন্য অনুপ্রাণিত করেন একজন শিক্ষক। আপনার পোষ্টটি পড়ে শিক্ষা দিবস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।