গ্রামীন সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah

কেমন আছেন সবাই? আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। আমি ঠিক যেমনটা থাকা উচিত তেমনই আছি। মাঝে মাঝে হৃদয়টা রঙিন আবার মাঝে মাঝে হৃদয়টা আলোকহীন। আসলে আমাদের জীবনের গতি অনেকটা দিন রাতের মতো, দিনের আলোয় মাঝে মাঝে যেমন উজ্জ্বল মনে হয় ঠিক তেমনি আবার রাতের অন্ধকালে আলোকহীন মনে হয়। তবে যাইহোক না কেন সর্বাস্থায় আমাদের সেটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কারন আর যাইহোক বাস্তবতাকে অস্বীকার কিংবা বাস্তবতার বাহিরে কিছু প্রত্যাশা করা চরম বোকামী ছাড়া অন্য কিছু নয়।

মাঝে মাঝে অবশ্য আমরা সবটা মেনে নেই, যখন আমাদের কাছে বিকল্প কোন অবস্থা থাকে কিংবা আমাদের আর কোন উপায় থাকে তখন। আরো একটা কাজ করি সেই সময় সেটা হলো ভাগ্য বলে মেনে নেই। আমিও অবশ্য ভাগ্যকে বিশ্বাস করি এবং যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, সেটা বিবেচনা করে নির্জীব হওয়া থেকে চঞ্চলতা ধরে রাখার চেষ্টা করি। কারন চারপাশের নানা ঘটনাবলী মাঝে মাঝে আমাদের ভাগ্যকে স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে। কিছু বিষয় থাকে এমন যে, ভুল করার পরও দিন শেষে সফলতা তাদের পাশে থাকে, কিছু বিষয় থাকে এমন যে অনভিজ্ঞ হওয়ার পরও কাংখিত অবস্থানে তারা থাকে এবং দিন শেষে সেগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়, যদিও কষ্টটা লুকিয়ে থাকে ভেতরে।

এই ক্ষেত্রে কি বলবেন বা করবেন? ভাগ্যটা এখানে নেহায়েত তার বা তাদের পক্ষে থাকে বলেই এমনটা হয়ে থাকে। তবে তাই বলে কি আমাদের থেমে থাকলে হবে কিংবা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বসে থাকলে হবে? না, সেটা একদমই করা যাবে না করন হয়তো আমাদের ভাগ্যটা তার বা তাদের মতো নয়। আমাদের ভাগ্যটা আমাদের মতো, তাই আমাদের জীবনের গতিকে চলমান রাখতে হলে আমাদের অবস্থান হতে সেরা চেষ্টাটা করে যেতে হবে। না হলে হয়তো আমাদের অবস্থান আরো নিম্নমুখী হয়ে যাবে। সে যে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে গোল্ডেন মার্কস পাইছে, আমিও যদি সেই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ি তাহলে যে গোল্ডেন মার্কস পাবো, তার কোন গ্যারান্টি কি আছে? জানি এখানে কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারবে না, তাহলে শুধু শুধু ভাগ্যের দোহাই দিয়ে কেন আমরা বসে থাকবো?

যাইহোক, আজকে আর খুব বেশী কথা বলবো না, তবে ভালোলাগা কিংবা মুগ্ধকর সেই চিরচেনা প্রকৃতির কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। আসলে দিন শেষে প্রকৃতি যেমন সত্য, আমাদের যার যার অর্জন এবং অবস্থানও সেই রকম সত্য। এখন আমাদের চারপাশে কে কি করলো বা অর্জন করলো সেগুলো দেখে আমাদের উচ্ছ্বসিত কিংবা হতাশ হয়ে কোন লাভ নেই, বরং আমাদের যার যার অবস্থান হতে যার যার মতো কাংখিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, হয়তো অন্যদের মতো সফলতা আমরা পাবো না তবে যেটার জন্য আমি উপযুক্ত সেটা অবশ্যই পাবো এবং দিন শেষে সেটা নিয়েই আমাকে বা আমাদের সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করতে হবে। আশা করবো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

আসলে কিছু বিষয় থাকে এমন যতই বলি না কেন ফুরাতে চায় না এবং যতই ব্যাখ্যা দেই না কেন পূর্ণতা পায় না । আসলে এসব ক্ষেত্রে উপলব্ধি বিষয়টি হলো আসল, যার মাঝে সেটা থাকবে হয়তো কম কথায় কিংবা অল্প ব্যাখ্যা তাকে বুঝানো সম্ভব হবে কিন্তু যার মাঝে সেটা থাকবে না, তাকে যতই ব্যাখ্যা কিংবা উদাহরণের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, সে ঠিক আগের অবস্থানেই থেকে যাবে কোন পরিবর্তন আসবে না। সুতরাং সঠিক উপলব্ধির বিষয়টি যদি আমরা আয়ত্ব করতে না পারি, তাহলে শত ব্যাখ্যা আমরা ঠিকই শুনে যাবে, হয়তো শুনতে ভালোও লাগবে কিন্তু আমাদের মাঝে কোন পরিবর্তন আসবে না। এটা অবশ্য এখন বাস্তব এবং আমাদের চারপাশে হাজার হাজার দৃষ্টান্ত দেখা যায়, একটু লক্ষ্য করলেই।