এই রমজানের সুস্থ থাকতে করণীয়।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আজ- ৭ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




1000054426.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকালে আশা করছি ভাল আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। দেখতে দেখতে আজ বিশটা রমজান চলে গেল। কিভাবে যে রমজান গুলো চলে গেল তা যেন ভালোভাবে টেরই পেলাম না। এই ২০ রমজান যেতে না যতটুকু সময় লেগেছে আমার মনে হয় বাকি দশটা রমজান চোখের পলকে শেষ হয়ে যাবে। তবে রমজানে সকলের সুস্থতা কামনা করছি। এবং সকলকে যেন রমজানের প্রতিটি রোজা রাখা সেই তৌফিক দান করে।

শীতকাল শেষ হয়েছে প্রায় আরো অনেক আগে তবে মাঝে মাঝে কিছুটা ঠান্ডা অনুভব হলেও গরমকালের আভাসটা বেশ ভালোভাবে কয়েকদিন ধরে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর এই হঠাৎ ঠান্ডা গরমের এই মিশ্রণটার কারণে মানুষের অসুস্থতা বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। আর হঠাৎ এই গরমের মধ্যে সারাদিন রোজা রেখে আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পানি স্বল্পতা। আমরা সারাদিন রোজা রাখার পর মুখরোচক অনেক ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের অসুবিধা হতে পারে আর এ অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম এবং কার্যকরী উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।

আমরা ডেইলি যতটুকু পানি পান করি এ রমজানে উচিত সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যার সময় টাতে ওই সারাদিনের পানিঘাটি টা পূরণ করে নেওয়ার। তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আর সম্ভব হলে তরল জাতীয় খাবার গুলো বেশি খাওয়া যেমন, ডাব, শরবত। যদিও বর্তমান বাজারে ডাবের দাম আকাশছোঁয়া। আর এই আকাশছোঁয়া দামে খুব কম মানুষেরই সাধ্য আছে ডাব খাওয়ার।

পুরানো সময় গুলোর কথা বেশ ভালোভাবে মনে পড়ছে। যখন কিনা সারিসারি নিজেদের ডাব গাছ থেকে ডাব পেড়ে খাওয়া হত। একদম ছোটবেলায় গাছগুলো থেকে ডাব পাড়া হলে ডাব না খাওয়া নিয়ে ছিল দারুণ অনিহা। ডাবের পানি যদি মিষ্টি না হত তাহলে কোন ভাবে সেই ডাবের পানি আর খাওয়া হত না তবে আমার কাছে ডাব থেকেও কচি ডাবের নারকেল গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে।

ছোটবেলায় নানু বাড়িতে এত এত ডাব গাছ দেখেছি যে কয়েকটি গাছ থেকে ডাব পাড়া হলেই যেন পুরো উঠোন ভরে যেত। তখন এমন একটি ব্যাপার ছিল কার গাছের ডাব কে খায়। তবে সেই সব দিনগুলো এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন ডাব যেন পরিণত হয়েছে অনেক দামে একটি খাবারে।

আমার পুরনো সেই ঘটনাটা বেশ মনে পড়ে, আমাদের নানু বাড়িতে একটি ডাব গাছ ছিল যে ডাব গাছটার অবস্থান ছিল একেবারে রান্না ঘরের পাশে। তো দেখা যেত রান্নাবান্না সব ময়লা আবর্জনার পানি গুলো বেশিরভাগ সময় ওই ডাব গাছটাতে ফেলা হতো হলে ডাব গাছটা অন্যান্য ডাব গাছ থেকে অনেকটাই তরতাজা এবং এর পানি গুলো ছিল অত্যন্ত মিষ্টি। সে ডাবের পানি স্বাধ যেন এখনো মুখে লেগে আছে।

আগে দেখা যেতে প্রত্যেকটা গ্রামের বাড়িতে কম করে হলেও ৬ থেকে সাতটা ডাব গাছ থাকতো তবে এখন ঘনবসতি হয়ে যাওয়ার কারণে গাছ-গাছালি কেটে ফেলার কারণে শহর অঞ্চলের মতো এখনো গ্রামের মানুষরা ডাব কিনে খেতে হয়। ফলে ডাবের দাম এতটা বেশি।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 9 months ago 

কিছুদিন পরে তো ডাব স্বর্ণের দোকানে বিক্রি হতে পারে ভাইয়া। এত দাম বেড়ে গিয়েছে যে গ্রাম অঞ্চলেও ডাব পাওয়া খুব বেশি কষ্টের। আর শহরাঞ্চলে তো আকাশচুম্বী দাম হয়েছে ডাবের। যাই হোক গরমে সুস্থ থাকতে হলে ডাবের পানি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে এখন খুব একটা খাওয়া হয় না। কারণ যেমন দাম তেমনি অনেক সংকট।

 9 months ago 

রমজান মাসে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করা উচিত আমাদের। আমি প্রতিদিন চেষ্টা করি তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে। কিন্তু ডাবের দাম আসলেই অনেক বেশি। ছোট ছোট ডাব ১২০ টাকার নিচে বিক্রি করে না। আর ছোটবেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ডাব গাছ ছিলো। সামনে তো ডাবের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 9 months ago 

রমজানে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবারের পরামর্শ অত্যন্ত কার্যকরী। ডাবের দাম যে এখন আকাশচুম্বী হয়ে গেছে, সেটা সত্যিই দুঃখজনক। ছোটবেলার সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, যখন গ্রামবাংলায় ডাব ছিল সহজলভ্য। এখন এর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই এটি উপভোগ করতে পারছেন না।

 9 months ago 

রমজানে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গরমের এই সময়ে। একসময় গ্রামের বাড়িতে ডাব গাছের ছড়াছড়ি থাকলেও এখন তা ক্রমেই কমে যাচ্ছে, যা দুঃখজনক। বাজারে ডাবের দাম আকাশছোঁয়া হলেও এর পুষ্টিগুণ অমূল্য। ইফতারে শরবত বা কচি ডাবের পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকবে। প্রাকৃতিক এই উপহারটিকে সংরক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়টি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।