ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০৩"steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

_c5b12c53-ac70-4d70-aeb7-aa11e80152e4.jpeg


কর্ণের ছিল অক্ষয় কবজ ও কুন্ডল । ফলে যুদ্ধের সময় কোনো অস্ত্রেই তাকে নিহত করা সক্ষম ছিল না । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যখন দুর্যোধন কর্ণকে সেনাপতিত্বে বরণ করেন তখন কৃষ্ণ বিপদ গণলেন । কর্ণকে নিহত করতে না পারলে যুদ্ধে জয় অসম্ভব । তাই তিনি ইন্দ্রকে পাঠালেন কর্ণের কবজ ও কুন্ডল হরণ করতে । ইন্দ্র একজন মুনির ছদ্মবেশে কর্ণের কাছে ভিক্ষা চাইলেন । কর্ণ ছিলেন মহান দাতা পুরুষ । ছদ্মবেশ থাকা সত্ত্বেও ইন্দ্রকে তিনি চিনতে পারলেন, এবং এও বুঝতে পারলেন ইন্দ্রের ভিক্ষা কি হতে চলেছে ? সব জেনে বুঝেও দাতাকর্ণ নিজের জন্ম কুন্ডল ও কবচ ইন্দ্রকে দান করতে সম্মত হলেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


দাতা কর্ণের দানের আরেকটি মহৎ নিদর্শন । কর্ণ কত বড় দাতা এটা পরীক্ষা করার জন্য একবার বিষ্ণু মুনির ছদ্মবেশে কর্ণের গৃহে আশ্রয়লাভ করেন । এরপরে খাদ্য হিসেবে তিনি কর্ণের একমাত্র পুত্র বৃষকেতুর কাটা মাথা যাচঞা করেন । এবং এ শর্তও আরোপ করেন যে স্বামী স্ত্রী দু'জনে মিলে করাত দিয়ে বৃষকেতুর মস্তক ছেদন করে তারপরে সেই মস্তক তার পায়ে সমর্পন করতে । কর্ণ সেটাই করেন । করাত দিয়ে স্বামী স্ত্রী দু'জনে মিলে পুত্র বৃষকেতুর মস্তক ছেদন করে সেই মস্তক বিষ্ণুর পাদপদ্মে সমর্পন করেন । সঙ্গে সঙ্গে বিষ্ণুর আশীর্বাদে বৃষকেতু আবার জীবিত হয়ে যান । কর্ণ উত্তীর্ণ হন এই অগ্নি পরীক্ষায় ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


সমুদ্রমন্থন । একদা দুর্বাসা মুনির অভিশাপে ইন্দ্রাদি সকল দেবতা অমর থেকে নশ্বর দেহে পরিণত হন । ফলে, অসুররা পরিকল্পনা করে এই সুযোগে সমস্ত দেবতাদের মেরে স্বর্গের দখল নেবে । এই কথা জানতে পেরে বিষ্ণু ইন্দ্রকে আদেশ দেন ক্ষীরসমুদ্র মন্থন করে অমৃত সংগ্রহ করে পান করতে । অমৃত তাঁদেরকে অমরত্ব প্রদান করবে । ফলে, আবার সব দেবতারা অমর হয়ে যাবেন । সেই মতো দেবতারা অসুরদের সাথে মিলে সমুদ্র মন্থন শুরু করলেন । মন্থনদন্ড হিসেবে মন্দার পর্বত , মন্থন রজ্জু হিসেবে বাসুকী নাগ এবং মন্দার পর্বতের ধারক হিসেবে বিষ্ণুর কূর্ম অবতার নিয়ে শুরু হলো সমুদ্র মন্থন । অমৃত সুধার সহিত কমলেকামিনী অর্থাৎ মহালক্ষী লাভও হলো দেবতাদের ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


দুই মহা পরাক্রমশালী দানব রাহু ও কেতুর বিনাশ করেছিলেন বিষ্ণু । এখানে বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দ্বারা কেতুর মুণ্ডচ্ছেদ করছেন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


রক্ষাকালীর মূর্তি ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Sort:  
 2 years ago 

কুরু ক্ষেত্রের যুদ্ধ সম্পর্কে আগেও শুনেছি। কিন্তু আপনার বর্ণনায় আরও ভালো ভাবে জানার সুযোগ হলো। সেই সাথে শিকদার বাড়ির পুজার ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানতা পারলাম । আর ফটোগ্রাফিগুলোও বেশ সুন্দর হয়েছে দাদা।অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। শিকদারবাড়ির পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী এই মূর্তিগুলো দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে। আর প্রতিমা গুলো দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে ইতিহাসগুলো জেনে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

গত দুই পর্বের মতো এই পর্ব দেখেও খুব ভালো লাগলো দাদা। প্রতিমাগুলো আসলেই খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। বর্ণনা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। শিকদারবাড়ির এতো চমৎকার আয়োজন অবশ্যই প্রশংসনীয়। মনে হচ্ছে এবার বাংলাদেশে এসে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাসটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো দাদা আমার কাছে। শিকদার বাড়িতে এতোসব প্রতিমা স্থাপন করেছে! গত পর্বের মতো আজকের পর্বটিও দারুণ ছিল

 2 years ago 

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট থেকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে বেশ ধারনা পেলাম। শিকদারবাড়ির পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী এই মূর্তিগুলো দারুণভাবে তৈরি করা হয়েছে। এবং আপনার বর্ণনা গুলো ও অসাধারন ভাবে উপস্হাপন করেছেন। প্রতিমা গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা ♥♥

 2 years ago 

আজকের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনেক ইতিহাস জানা হলো দাদা।আপনি সময় নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। সত্যি কথা বলতে জানার কোন শেষ নেই।সবকিছু জানার মাঝেই আনন্দ পাওয়া যায়। ফটোগ্রাফিগুলো ও দারুন করেছেন।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

গত দুই পর্বের মত আজও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে সত্যি বলতে দাদা অনেক কিছুই জানা ছিল না। যা আজ আপনার পোস্ট পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। তবে জানার কিন্তু কোন শেষ নেই। যত পড়বো ততই জানবো। আজকের পোস্টটি না পড়লে হয়তো অনেক কিছুই অজানা রয়ে যেত। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

প্রিয় দাদা আপনার তোলা পূজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো লাগলো কর্ণের সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্যগুলো জানতে পেরে। পূজার চমৎকার ফটোগ্রাফির সাথে অসাধারণ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।