গতকাল সন্ধ্যায় এশিয়ার সব চাইতে বড় ইকো পার্কে কাটানো কিছুটা সময়

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে অসম্ভব কাজের প্রেশারে আছি ।কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না ।ক্লান্তিতে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি হঠাৎ হঠাৎ কাজের মধ্যেই । রেস্ট পাচ্ছি না মোটেও । তাই ভাবলাম, রবিবার যখন তখন একটু ঘুরেই আসি না হয় বাইরে থেকে । আমাদের ডিসকর্ডে কাল রাত সাড়ে আটটায় একটা মিটিং ছিলো । তাই বেশি দূরে কোথাও যাওয়া পসিবল ছিলো না ।

শেষমেশ ডিসিশন হলো তাহলে ইকো পার্ক থেকেই সন্ধ্যাটা কাটিয়ে আসি । বেশি দূরে তো না , মোটে ৩০ মিনিট এর রাস্তা গাড়িতে করে গেলে । তাই সন্ধ্যার একটু আগে আমরা বেরিয়ে পড়লাম ইকো পার্ক অভিমুখে । এই ইকো পার্কটি দক্ষিণ কলকাতায় রাজারহাট নিউ টাউনে অবস্থিত ।ভারতের সর্ব বৃহৎ পার্ক আর এশিয়ার সর্ব বৃহৎ ইকো পার্ক হলো আমাদের কলকাতার এই ইকো পার্কটি ।

আয়তনে বিশাল প্রায় হাজার বিঘা জমি নিয়ে পার্কটি অবস্থিত । ইকো পার্কটির সাথে আবার প্রায় ২০০ বিঘা জুড়ে একটি বিশাল কৃত্রিম লেক আছে । সেই লেকের মধ্যে আবার একটু দ্বীপও আছে । লেক সহ ইকো পার্কটির মোট আয়তন ১২০০ বিঘার মতো ।

আমরা করোনাকালীন সময়ের আগে উইকলি দুই-তিন দিন যেতাম ইকো পার্কে । এখন সতর্কতার জন্য আর যাই না । কাল অনেক দিন পরে গিয়েছিলাম । সন্ধ্যেটা ভালোই কাটলো । যদিও একটা পার্সোনাল ব্যাপারে আমার মন তেমন ভালো ছিলো না । তবে টিনটিন বাবু ভীষণ এনজয় করেছিলো । খেলাধুলো খাওয়া দাওয়া, বেড়ু করা । ভীষণ এক্সসাইটেড ছিল সে । পার্কের একটি টিকিট কাউন্টারের পিছনে আমাদের টিনটিন বাবু গল্পের টিনটিন বাবুকে খুঁজে পেয়ে গেলো হঠাৎ । সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলা হলো ।

সন্ধ্যার বেশিরভাগ সময় আমরা কাটালাম লেকের পাড়ে । মন ভালো করে দেয় সত্যি । আলোক ঝলমলে লেকের পাড় । অসংখ্য আলোক প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হচ্ছে লেকের কালো জলে । অনুচ্চ ঢেউগুলি ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে । হিমেল হাওয়া কেড়ে নিচ্ছে বুকের উষ্ণতাটুকু । শীত করছে যেমন , আবার শীতলও হচ্ছে হৃদয়ের উষ্মা টুকু ।


IMG_20211121_164719.jpg


আমার কাছে চিপস খাওয়ার জন্য ভীষণ আবদার টিনটিন বাবুর
যাঁরা আমার চেহারার সাথে পরিচিত নন তাঁদের জন্য এই পিকটা । আমার তিন বছর বয়সের কার্বন কপি টিনটিনবাবু ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_164617.jpg


চিপস খাওয়া শেষ । এখন খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_170140.jpg


খেলাধুলা করে ক্লান্ত, দুধের তৃষ্ণা পেয়ে গেছে ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_170945.jpg


লেকের অভিমুখে আমাদের যাত্রা
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_171224.jpg


বিশাল বড় লেকের পাড়ে
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_171313.jpg


লেকটির ঠিক মাঝে একটা দ্বীপ আছে । সেখানে একটি রেস্টুরেন্টও আছে । স্পিড বোটে করে যেতে হয় সেখানে । ওই দূরে রেস্টুরেন্টটির এল দেখা যায় ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_171317.jpg


সন্ধ্যায় লেকের জলে নৌকো করে ঘুরতে দারুন লাগে । অনেকেই লাইন দিয়েছে বোটিং এর জন্য ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_171811.jpg


লেকের পাড় ঘেঁষে চমৎকার বাঁধানো আলোকসজ্জিত রাস্তা ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_171927.jpg

IMG_20211121_172000.jpg

IMG_20211121_172051.jpg


লেকের পাড়ে টিনটিন বাবুর পোজ
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20211121_174911.jpg


টিনটিন ও টিনটিন । দু'জনেরই কুট্টুস মিসিং ।
আলোকচিত্র তোলার তারিখ : 21 November, 2021
স্থান : পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Sort:  
 3 years ago (edited)

যাঁরা আমার চেহারার সাথে পরিচিত নন তাঁদের জন্য এই পিকটা । আমার তিন বছর বয়সের কার্বন কপি টিনটিনবাবু ।

যদিও আপনার সম্পূর্ণ চেহারা দেখা হয়নি, তবে যতটুকু দেখেছি ওখান থেকে আমি অনেক আগেই ধারণা করে নিয়েছি আপনার চেহারার সাথে টিনটিন বাবু চেহারার অনেকটাই মিল। বিশেষ করে চুল , কপাল ও ভ্রু এসব দিক দিয়ে একদম আপনার মত দেখতে। বাপকা বেটা।

বেশ ভালই সময় পার করেছেন দাদা। আর পার্ক টা দেখছি বিশাল বড় ১২০০ বিঘা, ভাবা যায়। টিনটিন বাবুর ছবি তোলার পোজ সত্যিই অনেক মজার। ওর ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে ও ছবি তুলতে একদমই আগ্রহী না।

 3 years ago 
এখন সতর্কতার জন্য আর যাই না । কাল অনেক দিন পরে গিয়েছিলাম । সন্ধ্যেটা ভালোই কাটলো । যদিও একটা পার্সোনাল ব্যাপারে আমার মন তেমন ভালো ছিলো না । তবে টিনটিন বাবু ভীষণ এনজয় করেছিলো ।

আসলেই এই সময়ের বিকেল আর সন্ধ্যেটা খুব সুন্দর হয় এবং আকর্ষণীয় লাগে। অবসর সময় কাটানোর একটা মোক্ষম সুযোগ। আপনার মন ভালো নেই শুনে আমার খারাপ লাগলো। আপনার জন্য দোয়া রইল যাতে তাড়াতাড়ি আপনার মন ভালো হয়ে যায়। টিনটিন বাবু অনেক এনজয় করেছে শুনে আমারও ভালো লাগলো।

আর টিনটিন বাবুর ছবিটি দেখে বুঝাই যাচ্ছে আপনিও আগে একই রকম ছিলেন। আর আপনার হাতে তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।

দাদা অসাধারণ একটা সময় কাটিয়েছেন, মাশাল্লাহ টিনটিন বাবুকে খুব সুন্দর লাগছে। অনেক শুনেছি অভিমূখ ইকো পার্ক এর কথা। এতো বড় ইকো পার্ক বিশ হাজার বিঘা জমি নিয়ে করা আল্লাহ। আর লেক ই ২০০ বিঘা এতো দাদা সম্পর্ন ঘুরতে ২-৩ দিন লেগে যাবে এতো বড় ইকো পার্ক।

দাদা সব মিলিয় সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন,আসলে আপনি এতো ব্যাস্ত একজন মানুষ সময় বের করা কঠিন।

 3 years ago 

আসলে দাদা টিনটিন বাবুর সঙ্গে আপনার অনেক মিল। যে কেউ দেখে বলে দিতে পারবে যে টিনটিন বাবু আপনার ছেলে।

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে ওদের আনন্দ দেখে নিজেদের অনেক বেশি আনন্দ লাগে। টিনটিন বাবুকে দেখে মনে হচ্ছে যে সে খুব উপভোগ করেছে সময়টা। সবশেষে তো টিনটিন বাবুর টিনটিনের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সে নিশ্চয়ই খুবই মজা পেয়েছে এটি দেখে।
আপনি যে ইকোপার্কের বর্ণনা দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে আসলে পার্কটি অনেক বেশি সুন্দর। আর লেকটির ছবিগুলো আপনি এতো সুন্দর করে তুলেছেন যে এক কথায় অসাধারণ লাগছে। আমার তো মনে হচ্ছে এখনই গিয়ে একবার ঘুরে আসি।
সবশেষে টিনটিন বাবুর জন্য অনেক ভালোবাসা এবং দোয়া রইলো।

 3 years ago 

১২০০ বিঘা জমির ওপর একটা পার্ক আসলেই বিষয়টা একটু অন্য রকম। পার্ক টি ঘুরে দেখতে একদিন লেগে যাওয়ার কথা। আমাদের বাংলাদেশে অবশ্য এত বড় কোন ইকোপার্ক নেই। আবার পার্কের মধ্যে ২০ বিঘা জমি নিয়ে একটি লেক আছে। ইচ্ছে করছে জায়গাটাতে গিয়ে ঘুরে আসি কিন্তু সেটা সম্ভব হচ্ছে না এখন। তবে ভবিষ্যতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। টিনটিন বাবুকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সে খুব সুন্দর জায়গা অনুভব করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার কাটানো সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

দাদা সত্যিই আমি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। এশিয়ার সবচাইতে বড় পার্ক দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই পার্কের সুন্দর ছবি দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি। বারোশো বিগা জমির ওপরে পার্কটি ভাবা যায়। কত বড় পার্ক আল্লাহ এত সুন্দর একটি পার্কে আপনি ফ্যামিলি নিয়ে ভ্রমন করেছেন। খুবই আনন্দময় দিন কাটিয়েছেন। টিনটিন বাবুর সুন্দর আনন্দময় একটি দিন কেটেছে। আপনাদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা কইলো।

 3 years ago 

আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এশিয়ার সবচাইতে বড় ইকোপার্কটি আমার অনেকটাই দেখা হয়ে গেল, কারণ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে আমার ভালো লেগেছে লেনের পারে টিনটিন বাবুর ছবি ওঠার পোজ, খুবই সুন্দরভাবে পোজ দিয়েছে টিনটিন বাবুর জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

 3 years ago 

দাদা এই ইকোপার্ক জায়গাটা আমার এত সুন্দর লাগে।কোথাও ঘোরার জায়গা না পেলে আমি ইকো পার্কেই চলে যাই।আর যতবার যাই ততবারই ভালো লাগে। এই পার্কটা এমন একটা জায়গা কখনো পুরানো হয় না। আর টিনটিন বাবুকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে ভীষণ মজা করেছে ওখানে,আর এই পার্কটা বাচ্চাদের জন্য ভীষণ আনন্দএর একটা জায়গা। বাচ্চারা যদি এই খোলামেলা জায়গায় একবার আসে তাহলে দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলো করেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।আর একদিক থেকে আমারও বেশ ভালো লাগলো যে আমি টিনটিন বাবুকে দেখে আপনার সাথেও কিছুটা মিল খুঁজে নিতে পারলাম 🤭। দাদা আপনি লেকের পাড় সম্বন্ধে যে লাইনগুলো লিখেছেন সেগুলো যতবার পড়ছি ততোবারই ভালো লাগছে কী সুন্দর ভাষা দিয়ে আপনি ব্যাখ্যা করেছেন। আর সন্ধ্যা হলেই লেকের জলের সৌন্দর্য যেন আরো বেড়ে যায়। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ছবি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আর সবথেকে ভালো লাগছে শেষের ছবিটা টিনটিনের সাথে টিনটিন। বেশ মজাদার ছবিটা। টিনটিন বাবুর জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো।

 3 years ago 

এশিয়ার সবচাইতে বড় ইকোপার্কটির কথা অনেক শুনেছি। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভাল হয়েছে। আপনার পরিবার নিয়ে এত সুন্দর একটি পার্কে ভ্রমণ করেছেন সত্যি অনেক আনন্দময় সময় পার করেছেন। বিশেষ করে লেনের পাড়ের সময়টুকু আমার কাছে সবচাইতে আনন্দময় মনে হয়েছে। টিনটিন বাবু কত সুন্দর করে ছবি উঠেছে সত্যি অনেক আনন্দময় সময় পার করেছেন। আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা।

সত্যি দাদা আপনি অনেক কাজের মধ্যে ব্যস্ততার মধ্যে থাকেন। এরমধ্যে সময় বার করে ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন। টিনটিন বাবুকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা খুশি ছিল। আর সবশেষে তো টিনটিন বাবুর টিনটিনের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সে নিশ্চয়ই খুবই মজা পেয়েছে এটি দেখে। এই পার্কটি তো অনেক বড়।12000 বিঘা এর উপর স্থাপিত। এবং অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে। আপনার ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে জায়গাটা কত সুন্দর এবং আপনার ছবিগুলো তো কোন তুলনাই হয় না অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।