জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০৩
এর আগে দুটি এপিসোডে জগদ্ধাত্রী পূজা পরিক্রমার যেগুলি পুজো প্যান্ডেল শেয়ার করেছি তার মধ্যে খুব জাঁকজমকের প্যান্ডেল মোটে একটিই ছিল । আজকে যে পুজো প্যান্ডেলটি শেয়ার করতে চলেছি এটিও সাধারণ, তবে এই প্যান্ডেলে প্রচুর আলোর কাজ করা হয়েছিল । সেই আদি এবং অকৃত্রিম চন্দননগরের বিখ্যাত আলোক সজ্জা । ছোটবেলা থেকেই এর এত নামডাক শুনে আসছি তা আর বলার নয় ।
এই পুজো প্যান্ডেলে আলো দিয়ে অর্থাৎ এল ই ডি বোর্ড দিয়ে চমৎকার সব অ্যানিমেশন এবং মুভিং অবজেক্ট তৈরী করা হয়েছিল । আজকাল প্রযুক্তি অনেক উন্নত, যত সব এল ই ডি বোর্ডের আলোর অ্যানিমেশন কম্পিউটার দিয়ে বিশেষ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে । তবে, চন্দননগরের আলোকসজ্জায় কম্পিউটার ইউজ হয় না বললেই চলে । এখানে প্রাচীন যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবকিছুই করা হয়ে থাকে । এই সকল সাবেকি আমলের যন্ত্র দ্বারা এত আধুনিক অ্যানিমেশন ও মুভিং অবজেক্ট তৈরী করা যে পসিবল সেটা চন্দননগরে না গেলে বুঝতে পেতাম না ।
এই প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে প্রায় ২০০ গজ জুড়ে অসংখ্য এল ই ডি বোর্ডের আলোক সজ্জা, অ্যানিমেশন এবং মুভিং অবজেক্টের ছড়াছড়ি । আমি অল্প কয়েকেটার মোটে ফটো তুলেছিলাম । সেগুলোই এই পোস্টে তুলে ধরেছি ।
ঢোকার মুখেই একদল ড্রাগন মুখে আগুনের হল্কা ছড়িয়ে নাচতে নাচতে এদিক থেকে ওদিক চলে গেলো । এরপরে একদল পুরুষ ও রমণী পুতুল নাচ দেখালো এক এক করে । তারপরে দেখলাম দুটি ইয়া বড় জিরাফ গলা বাড়িয়ে এদিক ওদিক চাইছে । এরই মাঝে একটু অন্ধকার কোণে বিকটদর্শন সব রোবোটিক ভূত, প্রেত ও পিশাচের মূর্তি । সেগুলো হাত পা নাড়িয়ে চলে ফিরে বেড়াচ্ছে আর মাঝে মাঝে রক্তজল করা গর্জনে আর হি হি করা বিকট হাস্যে চারিদিক প্রকম্পিত করে তুলছে । সে এক দারুন পরিবেশ ।
এক জায়গায় দেখলাম বাংলা প্রচলিত ছড়া "আগডুম বাগডুম ঘোড়া ডুম সাজে ....." -কে থিম করে এক খোকা বাবু ঘোড়ায় চড়ে চলেছে । এটা এল ই ডি বোর্ডের আলোর অ্যানিমেশন ও মুভিং অবজেক্টের যুগপৎ সমন্বয়ে তৈরী । এছাড়া আরও প্রচুর আলোর অ্যানিমেশন আর অসংখ্য মুভিং অবজেক্ট দেখলাম ।
তবে, প্রতিমাটি একদমই সাদামাঠা ছিল । সাদামাঠা হলেও সুন্দর দেখতে ছিল খুব । মোটকথা সব মিলিয়ে দারুন একটা এনজয়মেন্ট ছিল এই পুজো প্যান্ডেলে ।
এগুলি সব এল ই ডি বোর্ডের আলোর অ্যানিমেশন ও মুভিং অবজেক্টের যুগপৎ সমন্বয়ে তৈরী
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৭ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
"আগডুম বাগডুম ঘোড়া ডুম সাজে ....."
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অতি উন্নতমানের আলোকসজ্জা ও রোবোটিক অবজেক্ট
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৭ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ভূত প্রেত রাক্ষস খোক্কস
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
জগন্মাতা শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী
তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২
সময় : সন্ধ্যা ০৭ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
টাস্ক ১৫৫ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 684865446f6153d509a4d60db02f66d600b1343ce12fda6051d1b49f6a76272e
টাস্ক ১৫৫ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
দাদা এই থিমের আলোকসজ্জাটি সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।লাইট দিয়ে যে এতো সুন্দর সাঁজানো যায় জাস্ট ভাবাই যায়না এটা ঠিক বলেছেন।
দাদা এই থিম গুলো আসলে ভিডিও আকারে দেখলেই প্রকৃত মজা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র ফটো দেখলে পুরোটা বোঝা যায় না। তবে তুমি যেভাবে বর্ণনা দিলে তাতে মনে হচ্ছে ভিডিও দেখলেই বেশি ভালো লাগতো। অনেক বছর ধরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও এখনো পর্যন্ত চন্দননগরের পুজো দেখতে পারিনি। তবে সামনের বছর সুস্থ থাকলে অবশ্যই যাবো। সত্যি কথা বলতে প্রত্যেকটা থিমই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
দাদা নমস্কার
জগন্মাতা শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পুজোর এর আগের এপিসড গুলোও দেখেছি ৷ তবে আজকে আপনার পোষ্টে পুজোর প্যান্ডেলের আলোক সজ্জা সত্যি দারুন ছিল ৷ আসলে দাদা এখনকার সময়ে এলইডি লাইট দ্বারা প্যান্ডেল সহ বিভিন্ন আলোক সজ্জা করা হয় প্রায় পুজোতে ৷ যা হোক ফটোগ্রাফি সত্যি অনেক সুন্দর ছিল ৷
ধন্যবাদ দাদা
এই পূজা মন্ডপের প্রতিমার থেকে দেখছি বাইরের বেশি সুন্দর করেছে লাইটিংগুলো। আসলেই খুবই চমৎকার। ভেতরে যাওয়ার আগে তো এখানে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে অনেক সময় চলে যাওয়ার কথা। এত সুন্দর সুন্দর লাইটিং। তাছাড়া জিরাফ গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে । ভূত পেতগুলো তো দেখে ভয় পেয়ে যাওয়ার মত। রাতের বেলা দেখলে তো ভয় পাওয়ারই কথা। বেশ সুন্দর ডেকোরেশন করেছে।
বেশিরভাগ সময় সিম্পিল জিনিসেই আমাদের সবার পছন্দ হয়। এলইডি লাইট দিয়ে চমৎকারভাবে প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। আমার কাছে এই বিষয়টি অনেক ভাল লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।