সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে টুকটাক খেতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা এখানে শেয়ার করবো। আসলে বাইরের খাবার খেতে আমরা সবাই কম বেশি অনেক ভালোবাসি। কারণ বাইরে গিয়েই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়। আমারা সাধারণত বাড়িতে একই ধরনের খাবার খাই। যদিও একই ধরনের খাবার খাওয়া আমাদের জন্য ভালো। তবে আমাদের টেস্টের কারণেই আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার বাইরে থেকেই টেস্ট করে থাকি। আমাদের কলকাতাতে অসংখ্য রাজ্যের যে খাবারগুলো সেটা কিন্তু পাওয়া যায়।তাছাড়া বিদেশি অনেক ধরনের খাবারের মেনু ও আমি দেখেছি আমাদের এই কলকাতা শহরে।
যাইহোক, আমাদের কলকাতাতে সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারগুলো অনেক বেশি ফেমাস। এদের খাবার গুলো সাধারণত ভেজ হয়ে থাকে। তাদের খাবারের মেনুতে অসংখ্য প্রকার খাবার থাকলেও আমি কিছু খাবারের নাম জানি। আর কিছু কিছু খাবারই আমি টেস্ট করেছি তার মধ্যে ইডলি, ধোসা, দই বড়া, ফিরনি ইত্যাদি বেশি চলে আমাদের এদিকে। আর এইসবের মধ্যেও অনেক বেশি ভিন্নতা রয়েছে। যেমন ধোসা পাওয়া যায় প্রায় সাত থেকে আট প্রকারের। তারপর দইবড়ার ভিতরেও ভিন্নতা রয়েছে। এভাবেই খাবারের লিস্টের মেনু বাড়তে থাকে আর কি। যাইহোক, আগামীকাল আমি আর দাদা একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম এই সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যেই।
আসলে অনেকদিন ধরেই আমার এই সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিলো। সেই বিষয়টা আজ দাদার সাথে শেয়ার করলে দাদাও আমার সাথে এই খাবার খেতে যেতে রাজি হয়। আমাদের এখানে একটা ফেমাস সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের দোকান রয়েছে। মূলত সেখানে যাওয়ারই আমরা সিদ্ধান্ত নেই। এই রেস্টুরেন্টটি আসলে মধ্যমগ্রাম চৌমাথার খুব কাছাকাছি অবস্থিত। আর সেখানে যেতে গেলে আমাদের কিছুটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হয়। যাইহোক, যাওয়া কোন সমস্যা না,খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। আমরা সেখানে সন্ধ্যার দিকে গেছিলাম। অন্যান্য দিন এইখানে বেশ ভিড় দেখলেও কালকে কিন্তু খুব বেশি ভিড় দেখতে পাইনি। তবে যাইহোক, ভিড় দিয়ে আমাদের কোন কাজ ছিল না। আমাদের দরকার ছিল খাবার টেস্ট করা।আর সন্ধ্যার সময় গেছিলাম হালকা খিদেও পেয়ে গেছিল আমাদের।
যাইহোক,আমরা আমাদের জন্য ধোসা আর দই বড়া এই দুটি অর্ডার করি। এই দুটি খাবারই আমার খুব প্রিয়। যাইহোক, খাবার অর্ডার করার প্রায় কুড়ি মিনিট পরেই আমাদের খাবার গুলো চলে আসে। এই খাবার খেয়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ অনেকদিন পরেই এই সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার এখান থেকে খাবার সুযোগ হয়েছিল আমার। আমি এবং দাদা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খাওয়া শেষে কোলড্রিংসও খাই। ওভারল একটা ভালো খাবারের আইটেম উপভোগ করেছিলাম আমরা কালকে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম চৌমাথা, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফিরনি কিন্তু নর্থ ইন্ডিয়ান খাবার। সেই জন্যই দেখবেন বিরিয়ানি খাবার পর ফিরনি খাবার চল আছে। ধোসা দইবড়া ইডলি এগুলো খুবই ফেমাস দক্ষিণ ভারতীয় খাবার এবং স্বাস্থ্যকরও। আমার তো এগুলো খেতে বেশ ভালই লাগে। শ্যামবাজারে একটা দোকান আছে ওরা খুব সুন্দর ধোসা বানায়। যখন কলকাতায় থাকতাম প্রায়ই খেতাম। এবারে গিয়েও খেলাম একদিন।
আসলে সব সময় ঘরের খাবারগুলো খেতেও ভালো লাগেনা। মাঝেমধ্যে ভিন্ন রকমের খাবারগুলো বাহিরে গিয়ে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনার খাওয়া প্রত্যেকটা খাবার দেখতে কিন্তু অনেক লোভনীয় লাগছে। আসলে এত মজাদার খাবার হলে তো মজা করে খাবেনই। আপনার দাদার সাথে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। মুহূর্তটা এত সুন্দর করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন দেখছি। আপনার দাদার সাথে গিয়ে ইন্ডিয়ান খাবার গুলো খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এই খাবারগুলো দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে। দেখেই বুঝতে পারছি রেসিপিগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল আর খেতেও ভালো লেগেছে। আপনাদের খাওয়ার মুহূর্তটা খুব সুন্দর করে শেয়ার করলেন। দেখে ভালো লাগলো।
বাঙালি হিসেবে আমাদের সাথে আপনাদের খাদ্যভ্যাস এর অনেক মিল আছে। কিন্তু অঞ্চল ভেদে খাবারের একটা ভিন্নতা দেখা যায়। সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের মধ্যে আমি শুধু ইডলি এবং ধোসার নামটাই জানি। যদিও কখনও খাইনি। তবে কলকাতাতে ওদের খাবার অনেক জনপ্রিয় জেনে ভালো লাগল। আপনার খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা টা বেশ দারুণ ছিল।
ভাই আগামীকাল নাকি গতকাল হা হা হা। যাইহোক এই ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো খেতে কিন্তু আসলেই খুব ভালো লাগে। ধোসা আমাদের দেশেও এখন বেশ জনপ্রিয়। আপনি এবং আপনার দাদা বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।