SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 03]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 0.00 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ০২
Copyright Free Image Source : PixaBay
রমেশবাবু বুড়োকে তাঁর বিপদের কথা সংক্ষেপে বুঝিয়ে বললেন । এও জানালেন যে এই রাতের মতো একটা যেমন তেমন কোনো রকম আশ্রয় পেলেই তাঁর চলবে । রাতের খাওয়া দাওয়ার কোনো দরকার নেই । কিন্তু, হেমন্তের এই হিম রাতে সারা রাত প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চিতে বসে রাত কাটানো খুবই কষ্টদায়ক ।
বুড়ো চুপ করে কিছুক্ষণ তাঁর কথা শুনলো । তারপরে ভাঙা ঘড়ঘড়ে গলায় টেনে টেনে গ্রাম্য ভাষায় যা বললো তার মর্মার্থ হলো গ্রামের এই দিকটায় তেমন বাড়িঘর নেই । স্টেশনের এই দিকটা গ্রামের একদম শেষ প্রান্ত । এখান থেকে প্রায় মাইল দু'য়েক দূরে মনুষ্যবসতি শুরু । বুড়ো একলা মাঠের ধারের একটা ভাঙা জরাজীর্ন পুরোনো বাড়িতে তার মেয়েকে নিয়ে থাকে । কাছাকাছি আর কোনো জনবসতি নেই । বাবুর যদি মন চায় তো আজকের রাতের মতো তার ভাঙাচোরা ঘরে অতিথি হতে পারেন ।
এই কথা শুনে রমেশবাবু যেনো হাতে স্বর্গ পেলেন । সঙ্গে সঙ্গে বুড়োর কথায় তিনি রাজি হয়ে গেলেন । বললেন -
"বাঁচালেন মশাই, এই রাতে কোনোরকমে একটা জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেই আমি বর্তে যাই ।"
-"চলুন তবে বাবু আমার বাড়িতে। ...", বুড়ো খুব আন্তরিকভাবে বললো ।
রমেশবাবু বুড়োর পিছুপিছু মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে লাগলেন । কেরোসিনের টেমির ঝাপসা আলোয় রাস্তা ঘাটের অন্ধকার তো কাটেইনি, বরং আরো যেনো জমাট বেঁধেছে । সেই অন্ধকার রাতে একরকম অন্ধের মতো হোঁচট খেতে খেতে রমেশবাবু বুড়োর পিছু চলতে লাগলেন । আকাশে আজ চাঁদ নেই, তাহলেও হয়তো এই নিকষ কালো আঁধারের কিছুমাত্র অংশ তরল করতে পারতো না । বাতাসে বেশ হিম আজ, রমেশবাবু টের পেলেন তাঁর বেশ শীত করছে ।
কালো কালো জমাটবাঁধা ঝুপসি গাছপালার নীচ দিয়ে সরু পায়েচলা মেঠোপথ ধরে চলছে তারা । ঝোপেঝাড়ে দু'একটা জোনাকি পোকা জ্বলছে । মাঝে মাঝে হু হু করে উত্তরে হিমেল হাওয়া এসে সর্বাঙ্গ কাঁপিয়ে দিচ্ছে । সহসা দূরে কোথাও মানুষের বাচ্চার গলায় কারা যেন তীব্রভাবে কেঁদে উঠলো । মানুষের বাচ্চা তো নয়ই, এখানে কোথাও মনুষ্য বসতি নেই । অথচ নির্ভুল মানুষের বাচ্চার গলা । তবে, স্বরটা আরো বেশি তীব্র আর সরু ।
দারুন আতঙ্কে জমে গেলেন রমেশবাবু ।
-"ও ওটা কী ? কে কাঁদছে অমন ভয়ানক ভাবে ?"
ছাইয়ের মতো ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে রমেশবাবুর মুখ ।
বুড়ো টেমি ধরা হাতে থমকে ফিরে দাঁড়ালো । আর তারপরে, সহসা হেসে ফেললো ফোঁকলা দাঁতে ।
[চলবে]
দাদা প্রথম পর্ব যেহেতু পড়তে পারিনি অবশ্যই প্রথম পর্ব টা পড়তে হবে। বেশ দারুণ একটি গল্প নামটাই কেমন জানি ভূতুড়ে ভূতুড়ে।দাদা আগের কথা মনে পড়ে গেলেও।প্রথম যখন কমিউনিটিতে আসছিলাম আপনার গল্প গুলো পড়তাম। যাইহোক এখন থেকে আবার পাবও। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
এমন জায়গায় শেষ করলেন দাদা আপনি ভয়েতো আমারই শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। এরকম শীতের রাতে একেতো আশেপাশের কোন জনবসতি নেই তার উপরে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। সামনে যে কি হতে যাচ্ছে কে জানে। যাই হোক দাদা খুব ভালো লাগছে গল্পটি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এমন অন্ধকারে হাঁটলে তো হোঁচট খেতে হবেই। রমেশ বাবু বুড়োর বাড়িতে থাকতে পারবে বলে যে পরিমাণে খুশি হয়েছিল, সেই খুশি তো নিমিষেই চলে গেলো ভয়ে। এমন ঘুটঘুটে অন্ধকারে বাচ্চার কান্নার শব্দ কানে আসলে তো যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। রমেশ বাবু বেশ বিপদেই পরেছে তাহলে। এই বুড়োটা তো মনে হচ্ছে ভূত। রমেশ বাবুর সাথে পরবর্তীতে কি হলো, সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। যাইহোক গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এমন রাতে এরকম পরিস্থিতিতে, যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে। গল্প এত তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেললেন কেন ভাই , আগ্রহ তো বেড়ে গিয়েছে, অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের।
এই হাসিটা দেখে আশা করি রমেশবাবু কিছুটা হলেও বুঝতে পারবে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে।দেখা যাক কি হয় পরবর্তী পর্বে!
আপনার গল্প পেয়ে যে কি ভালো লাগছে দাদা।কতো মাস অপেক্ষার অবসান!দারুণ লিখছেন।