SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 21]

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 549.102 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ২০


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


"সেদিন অনেক্ষণ ধরে বটুক বাবু শলা পরামর্শ করলেন কাপালিকের শিষ্যের সাথে । এরপরে চুপিসাড়ে বটুকেশ্বর গ্রামে ফিরে করালী বাবুর সাথে আবার গোপন বৈঠকে বসলেন । গভীর রাত অব্দি গোপনে শলা পরামর্শ করে একদম নিখুঁত একটা পরিকল্পনা সাজালেন তাঁরা দু'জনে মিলে । ঠিক হলো আগামী অমাবস্যার গভীর রাতে ভয়ঙ্কর এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে । কিন্তু, সবার আগে জমিদারবাবুকে গ্রাম থেকে সরাতে হবে । তিনি গ্রামে থাকলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা এক কথায় দুঃসাধ্য ।"

"এই বাধাটাই সব চাইতে কঠিন বাধা । এরপরে আছে আরো একটা গুরুতর বাধা । সেটাও টপকাতে পারলে সর্বশেষ যে বাধাটি থাকছে সেটা কঠিন হলেও সেটাকে টপকানোর ব্যাপারে পুরোপুরি তাঁদের হাতে নেই । শেষ বাধাটা টপকাতে কাপালিকের ওই শিষ্যের উপর নির্ভর করা ছাড়া গত্যন্তর নেই । "

"দিন পনেরো পরের কথা । সাত সকালেই ভূপতিবাবুর বাড়ি এলেন স্বয়ং করালীবাবু । করালীবাবুর বাড়িতে অর্থাৎ, ভূপতিবাবুর শ্বশুরবাড়িতে আজ অমবস্যা তিথিতে কালী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে । পুজোর নিমন্ত্রণ, তার ওপর নিজ শ্বশুরবাড়ি থেকে, এ নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করা একজন সম্ভ্রান্ত জমিদারের পক্ষে অসম্ভব । ভূপতি বাবুও পারলেন না উপেক্ষা করতে । তাঁর অবশ্য নিজের গর্ভিনী স্ত্রীকে ছেড়ে কোথাও যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না । কিন্তু, পাশের গ্রামে যাওয়া, তেমন একটা দূরে কোথাও নয়, তার ওপর একটা মাত্র রাতের ব্যাপার । তাই, খুব অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন ভূপতি বাবু ।"

"দুপুরে বিশাল এলাহী এক মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করা হলো ভূপতিবাবুর গৃহে । জমিদারবাবুর শ্যালক বলে কথা, তার ওপর করালীবাবু নিজেও একজন জমিদার । খাওয়া দাওয়ার পাট চুকে গেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম । তারপর অন্দরমহলে আসন্নপ্রসবা স্ত্রীর নিকট বিদায় প্রার্থনা করতে গেলেন ভূপতি বাবু । এই সময়টাতে কোনো স্ত্রীই স্বামীকে কাছছাড়া করতে চায় না, কিন্তু একটি মাত্র রাতের ব্যাপার, তাই ভূপতিবাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী তেমন একটা আপত্তি জানালেন না । শুধুমাত্র দ্রুত ফিরে আসতে বলে বিষণ্ণ হৃদয়ে স্বামীকে বিদায় জানালেন ।"

"জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি । দুপুর গড়িয়ে বিকেল এখন । সারাদিনের তীব্র দাবদাহের পর এখন কিছুটা শীতল বাতাস বইছে । ভূপতিবাবু তাঁর শ্যালক করালীবাবুর সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন । কেন জানি তাঁর আজ বাড়ি ছেড়ে যেতে কোনোমতেই মন সায় দিচ্ছে না ! নিতান্ত কর্তব্য পালন আর সামাজিক চক্ষু লজ্জার খাতিরে তাঁকে আজ বেরোতে হচ্ছে । বাড়ি থেকে কিছুটা দূর অব্দি যেতেই হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো, শোঁ শোঁ করে পুবেল উঠলো, সেই সাথে শুরু হয়ে গেলো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি । দু'জনে দ্রুতবেগে ঘোড়া ছোটালেন । পাশের গ্রাম । যেতে তাই খুব একটা সময় লাগবে না ।"

[চলবে]

Sort:  
 8 months ago 

কি চমৎকার প্ল্যান করে ভূপতিবাবুকে সরিয়ে দিলো। ভূপতিবাবু প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে ফিরে এসে তো দেখবে দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথিবীতে আর নেই। দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

সময় যেন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে, ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মনে হচ্ছে দ্রুত শুরু হবে। যার চিহ্ন ফুটে উঠছে প্রকৃতির মাঝেও। পরের পর্বের অপেক্ষায় দাদা।

 8 months ago 

তারমানে, জমিদারের অনুপস্থিতিতেই কাজ সম্পন্ন হবে। লেখা এমন জায়গায় এসে শেষ হয় , যেন উত্তেজনা আরো অনেকটা বেড়ে যায়। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য ভাই।

 8 months ago 

সেই বৃষ্টিটা হয়তো প্রকৃতির বাধা দেওয়ার সংক্ষেত ছিলো তাকে যেতে না দেওয়ার। কিন্তু নিয়তি তো মেনে নিতেই হবে। দেখাযাক সে গ্রামে কি হয়!

 8 months ago 

সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভয় লাগছে দাদা। কি ঘটনা যে ঘটাতে যাচ্ছে। কিন্তু এত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ঘটনা কিভাবে ঘটাবে। ভূপতি বাবুকে তাহলে বুদ্ধি করে বাড়ি থেকে বের করতে পেরেছে। এখন দেখার অপেক্ষায় কি ঘটতে যাচ্ছে। অপেক্ষায় রইলাম দাদা।