নিজের হাতে ক্যাপচার করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা , আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার নিজের হাতে ক্যাপচার করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
দেখতে দেখতে শীত কাল চলে এসেছে। এই শীতে নানান রকমের ফুলের সমাহার দেখা যাবে। শীতকালে সব প্রকারের সবজি যেমন পাওয়া যায়, তেমনি সবধরনের ফুল ও দেখা যায়। শীতকালে সবচেয়ে বেশি ফুল ফুটে। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানে শীতকালীন কিছু ফুলগাছ লাগানো হয়েছে। বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল গাছগুলো খুবই দারুন হয়েছিল। আমি সব সময় বাগান করতে পছন্দ করি আর এখন বাগানের পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আর এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে জয়েন করার পর থেকে আমি প্রচুর ফটোগ্রাফি করে থাকি। আর এখন ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে। যখন কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পায়, যখন কোন সুন্দর ফুল দেখতে পায়, তখনই আমি ফটোগ্রাফি করি। স্টিমিটে কাজ করার আগে আমি তেমন মোবাইল ইউজ করতাম না বা ফটোগ্রাফিও করতে পছন্দ করতাম না। এখন ফটোগ্রাফি করা আমার পেশা ও নেশা হয়ে গিয়েছে। যাইহোক এখন আপনাদের মাঝে শীতকালীন কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আপনারা এখানে শীতকালীন একটি সুন্দর ফুল দেখতে পারছেন। এই ফুলটির নাম হচ্ছে জেনিয়া। এই ফুল শীতকালেই ফুটে থাকে। দেখতে কিছুটা সূর্যমুখী আবার কিছুটা ডালিয়া ফুলের মত। এই ফুলের পাতাগুলো অনেকটা পালং শাকের মত। যার ফলে ফুলের গাছগুলোকে মনে হবে যেন পালংশাকের গাছ। আমি উপরেও একটি জিনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি যার রং ছিল গারো কাঠালী কালার। আর এই ফুলের কালারটি হচ্ছে হলুদ। জিনিয়া ফুলের অনেক প্রজাতি আর অনেক রং হয়ে থাকে। সাদা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাল্টি কালারের জিনিয়া ফুল পাওয়া যায়। আমার কাছে যেই যেই জিনিয়া ফুল গাছ গুলো ভালো লেগেছে সেইগুলো নার্সারি থেকে কিনে নিয়ে এসেছি।
আমার নিজের ছাদ বাগানের সুন্দর একটি ফুল হচ্ছে এই নয়ন তারা। আমার ছাদ বাগানে তিন প্রকারের নয়ন তারা রয়েছে। তার মধ্যে এই পিংক কালারের একটি। তাছাড়াও সাদা ও বেগুনি কালারও রয়েছে। আমার সম্পূর্ণ ছাদ বাগানে বেশিরভাগ নয়নতারা ফুলের গাছ জুড়ে রয়েছে। তাছাড়া আরো অনেক প্রকারের ফুল গাছ রয়েছে। শীতকাল আসলে যেন আমার ছাদ বাগানটি নিজের প্রাণ ফিরে পায়। আর সকাল বিকাল প্রাণবন্ত সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে।
এখানে দেখতে পারছেন যে মেরুন কালারের একটি জিনিয়া ফুল গাছ। এই মেরুন কালারের জেনিয়া ফুলের পাঁপড়ি গুলো একটু ভিন্ন। এটি চাইনিজ গাঁদা ফুলের আকৃতির মত। তবে এটি জিনিয়া ফুল গাছের একটি নতুন প্রজাতি। এই ফুলগুলো একটু ছোট হয়ে থাকে। তবে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
আমার ছাদ বাগানের আরেকটি পরিচিত ফুল হচ্ছে এই অপরাজিতা ফুল। এই ফুলটি আপনাদের সকলেরই পরিচিত। এর গুনাগুন সম্পর্কে আর না বললেই হয়। এখনতো শীত চলে এসেছে তাই প্রত্যেকটি ফুল গাছে সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটছে। আর এই ফুল গুলো দেখে আমার মনটা ভরে গিয়েছে। তাই অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি আর আপনাদের মাঝে একে একে শেয়ার করছি।
এটিও একটি জিনিয়া ফুল গাছের প্রজাতি। এই জিনিয়া ফুলগুলো একটু বড়। এই জিনিয়া ফুলটি কিছুটা ডালিয়া বা সূর্যমুখীর মত একটু বড় হয়ে থাকে। আমার ছাদ বাগানে আরো কয়েক প্রকার জিনিয়া ফুল ও কয়েক কালারের ডালিয়া ফুল রয়েছে। আজ আর সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছি না। পরবর্তীতে সেই ফুলগুলো শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।
বন্ধুরা আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমাকে এখান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | নিজের হাতে ক্যাপচার করা কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১০-১১-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
অসাধারণ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রশংসা পেয়ে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে ফুল গাছ লাগাতে ভালো লাগে। আর ফুল গাছের সৌন্দর্য দেখতেও ভালো লাগে। আপনি দারুন দারুন সব ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
জ্বী আপু, শীতকাল ফুল গাছ লাগাতে ভালো লাগে। কারণ শীতকালে গাছগুলো সতেজ থাকে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার শেয়ার করা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কালার দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। আর নয়ন তারা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু কালারিং কালারিং ফুলগুলো আমার কাছেও ভালো লেগেছিল। তাই তো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি ধন্যবাদ আপু।
শীতকাল এ আসলেই নানা রঙের নানা রকমের ফুল ফুটে যা দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার ছাদ বাগানে ৪ রকমের জিনিয়া ফুল দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে মেরুন জিনিয়া টা, বা পরের বড় আকৃতির জিনিয়া প্রতিটি একটি থেকে অন্যটি কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন জাত। আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।
আপু আমার ছাদ বাগানে এই ছারাটা জিনিয়া গাছ বাদেও আরো জিনিয়া ফুলের গাছ রয়েছে। সেগুলো শেয়ার করেনি পরবর্তীতে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে যেমন তাজা বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় সেই সাথে রংবেরঙের ফুলের সমারহ দেখা যায়। এত ফুল শীতকাল ছাড়া অন্য কোন সময় দেখা যায় না। যাই হোক আপনার আজকে ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। হলুদ ফুলটি বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
শীতকালেই তো অনেক রকমের ফুল পাওয়া যায়। যা সব ঋতুতে পাওয়া যায় না। সুন্দর কমেন্টস করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে জিনিয়া সবথেকে বেশি সম্ভবত গ্রীষ্ম বর্ষাকালের দিকে ফোটে। বলা যায় সারা বছরই ফোটে। আপনার ছাদ বাগান দেখে ভালো লাগলো। আসলে বাগানে ফুল ফুটলেই মনে আনন্দ রাখার জায়গা থাকে না তাই না? একদম প্রথমের মেরুন রঙের জিনিয়া খুব সুন্দর রূপ নিয়ে তাকিয়েছে যেন।
জি আপু জিনিয়া ফুলের অনেক প্রকারের ভ্যারাইটিজ রয়েছে। সেগুলো হয়তো সারা বছর পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু আজকে যে জিনিয়া গুলো আপনাদের কাছে শেয়ার করেছি সেগুলি সারা বছর ফোটে না। সুন্দর কমেন্টস করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর বৈচিত্রময় ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। বৈচিত্র্যময় মোহনীয় ফুল দেখে খুব ভালো লাগলো। বাহারি রঙের ফুল গুলো সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফুল সম্পর্কে সুন্দর অনুভূতি উপস্থাপন করেছেন। অপরাজিতা ফুল দেখে ভালো লাগলো। নয়ন তারা ফুলের সৌন্দর্য বেশ দারুন। এমন চমৎকার ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন যেনে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনি নয়ন তারা ও অপরাজিতা ফুলের ফটোগ্রাফিটি বেশি পছন্দ করেছেন। সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি নিজের হাতে অনেক সুন্দর দেখতে বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা এই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে খুব ভালো লেগেছে। আপনি যদি এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো করার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেন, তাহলে পরবর্তীতে আরো অনেক ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। প্রতিনিয়ত এভাবেই চেষ্টা করে যান ফটোগ্রাফি করার জন্য।
আসলে আপু চেষ্টা করি সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করতে। দোয়া করবেন আপু। ফটোগ্রাফি নিয়ে এত সুন্দর সাপোর্ট করেছেন যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
please follow this ,
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ঠিক বলেছেন আপু দেখতে দেখতে শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকালে যেমন বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় তেমনি বিভিন্ন ধরনের ফুল ও দেখতে পাওয়া যায়। আপনি আজ বেশ চমৎকার সব ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার ছাদ বাগানে বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ রয়েছে। ছাদে যদি বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ থাকে তাহলে বিকালের সময়টা খুব ভালো কাটানো যায়। জিনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।