আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে আমরা প্রত্যেকেই পাপকে ঘৃণা করি, কিন্তু আমরা পাপকে ঘৃণা করলেও আমরা নিজেরাই যেন বিভিন্নভাবে পাপের কাছে সাথে জড়িয়ে আছি। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই কোন না কোন ভাবে পাপ কাজ করে যাচ্ছে। তবে আমরা এই পাপকে ঘৃণা না করে আমরা পাপীকে ঘৃণা করি। কারণ যে পাপ করে সেই মানুষটাকে আমরা ঘৃণা করি। কিন্তু মানুষকে ঘৃণা করা ঠিক নয়, কারণ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা পাপ কাজে লিপ্ত হয়। কেউ কখনো ইচ্ছা করে পাপ কাজ করতে পারে না। কেউ কখনো ইচ্ছা করেই কোন অন্যায় কাজ করে না। এই অন্যায় বা পাপ কাজ করার পিছনে অন্য কিছু দায়ী থাকে। আমরা এই পেছনের গল্প না জেনে সেই মানুষটাকে আমরা ঘৃণা করি। যার কারণে সমাজে সেই মানুষটা ঘৃণা সইতে সইতে সে যেন পাপ কাজ আর ছাড়তে পারে না। সে যেন খারাপ মানুষের পরিণত হয়। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পাপ কি জন্য করছে, কি জন্য খারাপ কাজ করছে। এই বিষয়টা জানা।এবং জানার পরেই তাকে ঘৃণা করা। তাহলে আমাদের সমাজ থেকে দূর হয়ে যাবে এই পাপ কাজ করা মানুষের সংখ্যা।
আমরা মানুষ বড়ই অদ্ভুত অর্থ সম্পদের লালসা যেন আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অর্থ সম্পদের লালসা আমরা ছাড়তে পারি না, যেভাবেই হোক আমাদের অর্থ সম্পদের মালিক হতে হবে। এই আকাঙ্ক্ষা যেন আমাদের মনের ভিতর সবসময়ই থাকে। যার কারণে আমরা পাপ কাজ করতেও দ্বিধা বোধ করি না। কারণ আমাদের একটাই ধারণা যেভাবেই হোক আমার নিজের অর্থ সম্পদ কামাই করতেই হবে। সমাজে ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। কেন এত অর্থ সম্পদের প্রয়োজন। আপনি আজকে সুস্থ কালকে অসুস্থ হলে বোঝা যায় অর্থ সম্পদ লালসা করে জীবনে কতটা ভুল করেছি। যদি সুস্থ থাকার জন্য সঠিকভাবে জীবন সাজাতাম তাহলে কতই না ভালো হতো।কেউ আর এই অর্থ সম্পদের লালসায় পাপ কাজ করত না। অর্থ সম্পদ আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটা হতে হবে হালাল এবং সৎ ভাবে, পাপ কাজের মাধ্যমে অর্থ সম্পদের মালিক হলে সে কখনোই সুখী মানুষ হতে পারবে না।
গতকাল বিকেল বেলা আমাদের বাজারে একটি দোকান থেকে কিছু টাকা চুরি হয় এবং এই চুরিটা করে ৫০ বছরের বয়সের এক বৃদ্ধ মানুষ। তাকে সবাই চোর চোর বলে ধরার পরে অনেক আঘাত করে। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারাও যেন এই বয়স্ক মানুষকে ধরে মারছে, সে চোর তাকে মারতেই হবে। কেন রে ভাই। সে কেন চুরি করল এই বিষয়টা আগে জেনলে কি হয়।৫০ বছরে এসে একজন মানুষ কেনই বা চুরি করবে। চুরি করা মহাপাপ চোরকে আমরা সবাই মারি কিন্তু কিছু কিছু চোর আমাদের সমাজে রয়েছে, যে চোর গুলো প্রকৃত চোর না। এরা পেটের দায়ে চুরি করেছে। পেটে যদি ভাত না থাকে জীবন যদি নাই চলে তাহলে চুরি না করে আর কোন উপায় আছে। আমাদের এই সমাজে মানুষ আমরা কারো সাহায্য এগিয়ে আসি না, কিন্তু কারও অন্যায় পেলে আমরা তাকে ঠিকই শাস্তি দিয়ে থাকি।
তারপরে জানা গেল সেই বৃদ্ধ লোকটি দোকান থেকে ১০০ টাকা চুরি করেছে। তখন সেখানে একজন ভদ্রলোক ছিল, সেই লোকটি এই বৃদ্ধ চাচাকে কাছে ডেকে নিল এবং বলল আপনি কিসের জন্য চুরি করতে এসেছেন। আপনার বাড়ি কোথায়, যে চাচা বলল যে তার বাড়ি বগুড়াতে। এসে পেটের দায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার খাবার খাওয়ার জন্য কোন পয়সা নেই। সে কেঁদে কেঁদে বলল আমি চোর না। গত তিন চারদিন হলো আমি কিছুই খাই না। যার কারণে আজকে আমি চুরি করেছি। মানুষের কাছে হাত পেতে চাইলেও দেয় না। আর হাত পাততেও আমার খারাপ লাগে কারণ এক সময় আমার অনেক অর্থ সম্পদ ছিল। আমার কোন ছেলে ছিল না, যার কারণে আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরেই আমার ভাইয়েরা আমার কাছ থেকে আমার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। যার কারণে আমি আজ পথে পথে ঘুরছি। বৃদ্ধ লোকের এই কথা শুনতে পেয়ে সত্যি খুবই খারাপ লাগলো। তখন এই ভদ্রলোকটি তাকে নিয়ে হোটেলে গেল এবং বলল আজকে আপনাকে আমি খাওয়াবো আপনি কোন চিন্তাই করেন না।
মানুষ কতটা নিচু হলে নিজের ভাইয়ের অর্থ সম্পদ নিজের নামে লিখে নাই এবং ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। যার কারণে এই লোকটি আজ পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং চুরির মত পাপ কাজ সে করছে। তাকে আমরা এই পাপ কাজ করতে বাধ্য করেছি, অর্থ সম্পদের লালসা আমাদের কোন ভাবেই যেন কিছু ছাড়ছে না। তাই আমি বলব পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়। এই ব্যক্তি চুরি করে যে পাপ করেছে তাকে আমরা ঘৃণা করবো না। কারণ তাকে আমরা বাধ্য করেছি চুরি করতে। তাই আমাদের সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ যদি আমরা পাপকে ঘৃণা করি কোন পাপীকে ঘৃণা না করে, তাদেরকে আমরা ভালোবেসে কাছে ডেকে নিয়ে এবং তাকে যদি আমরা সাহায্য সহযোগিতা করি। তাহলে সে কখনোই এই পাপ কাজ করবে না। তাহলেই আমাদের সমাজ থেকে পাপ কাজের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। 🖤✨।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1866459942913441816?t=qkq4u9mvboxLGlMdPRIDzA&s=19
সত্যি ভাইয়া পাপকে নয় পাপীকে ঘৃণা করো।আসলে পাপ সবাই ইচ্ছে করে করে না তারা চাইলে সহজেই পাপ করা বাদ দিয়ে দেবে।বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাপকে আমাদের ঘৃনা করা উচিত পাপীকে নয়।কারন যে মানুষটি পাপ করে পাপী হলো। কেন পাপ করতে হলো তাকে?? আমরা কিন্তু সেটা কখনও ভাবিনা।তাই বলবো পাপটাকে আমাদের ঘৃনা করা উচিত।
আসলে বর্তমান সময়ে এই বাক্যটার মূলভাব একদম ভিন্ন মনে হয় আমার কাছে।কারণ পরিস্থিতির চাপে পড়ে পাপ কাজ করার চেয়ে ইচ্ছে করেই পাপ কাজ করে মানুষ।আর পাপ করেও অনেকের মধ্যে সেই পাপবোধটুকুও থাকে না। যে যেমন সে ঠিক তেমনই থাকে শুধু সময়ের সাথে রূপ বদলায়।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষকে ঘৃণা করা আমাদের মোটেও কাম্য নয়। কলেজে মানুষ যারা খারাপ কাজ হয় সে খারাপ কাজ কি আমাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখতে হবে এবং সেই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে এটা খারাপ। সর্বোপরি আমাদের চেষ্টা করতে হবে সুন্দর একটি সমাজ গড়তে। তাই খারাপকে পরিহার করা আমাদের সকলের কাম্য।
আসলে আমাদের উচিত পাপকে ঘৃণা করা পাপীকে নয়। আমাদের আমাদের উচিত কোন কিছুর বিচার করার আগে সেই মানুষটি কিসের জন্য এই চুরি করেছে, সেই বিষয়টি জানা। সমাজ থেকে সকলেই যদি আমরা সহানুভূতিশীল হয়ে তাদেরকে সাহায্য করিয়ে তাহলে অনেকেই এই পাপ কাজগুলো করবে না।
আসল কথা হচ্ছে, আমরা এখনো মানুষ হতে পারেনি।আমাদের মধ্যে মনুষত্ববোধ বলতে তেমন কিছু আর খুঁজে পাওয়া যায় না।মানুষ তারাই, যাদের মধ্যে মনুষত্ববোধ আছে।আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। পাপকে ঘৃণা কর পাবি কে নয়, এই টাইটেলের মূল্যবান কিছু কথা বলেছেন। বিশেষ করে যে চোরের উদাহরণটি দিয়েছেন, এটা পড়ে আমাদের অনেক শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।যাইহোক এত সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমরা সবসময় পাপকেই নয় পাপীকেই বেশি ঘৃণা করে থাকি। কিন্তু আমাদের সবার উচিত পাপকে সবথেকে বেশি ঘৃণা করা। আপনার এই কথার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে একমত। আপনি এই বিষয়টা আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্টটি লিখেছেন। আর পোস্টের মধ্যে অনেক কিছু লিখেছেন। যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
আসলে ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খারাপ লাগলো। আসলে ৫০ বছরের বয়সের লোকটি কেন চুরি করলো। আর এই বয়সে বা সেই কেন চুরি করতেছে সিটি জানতে হবে। তবে আমাদের দেশে একটি রেওয়াজ চোর দেখলে সবাই মারধর করে। আসলে ঠিক বলেছেন পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।