আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৫৫
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
১৪ই ফেব্রুয়ারি নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
১৪ই ফেব্রুয়ারির দিন ব্যাচেলর বল্টু একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গেল। তখন সেখানে গিয়ে দেখে যে একটা সিটও খালি নেই। সব জায়গাতে কাপলে ভরপুর। অবশেষে বল্টু কোন উপায় না পেয়ে একটা বুদ্ধি খাটালো মাথায়।সে ফোন কানে লাগিয়ে চিৎকার করে বলতেছিল যে বন্ধু তোর গার্লফ্রেন্ড এখানে এসে আরেকজনের সাথে বসে আছে। এই কথা শোনা মাত্রই কয়েকটি মেয়ে এবং ছেলে সেখান থেকে উঠে চলে গেল। বাস এই টেকনিকে কিছু সিট খালি হয়ে গেল।আর বল্টু সেখানে বসে নাস্তা খাওয়ার জন্য অর্ডার করে দিলো।🤣🤣
২০১৩ সালের ঘটনা, নতুন নতুন প্রেম শুরু করেছি আমি। বয়স খুব বেশি ছিল না তখন। এজন্য বাড়িতে এই বিষয়টা নিয়ে একটু কৌতুহল ছিল, বিশেষ করে আমার মায়ের। এই বয়সে ছেলে কি করে বেড়াচ্ছে, সেটা হাতেনাতে ধরার জন্য অনেকদিন ধরেই মা অপেক্ষায় ছিল এমন একটা অবস্থা। যাইহোক, ওই বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারির দিন আমি অনেকটা পরিপাটি হয়ে বাড়ি থেকে বের হই প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য। আমি সেদিন বুঝতে পারিনি, আমি বের হওয়ার পরপরই আমার মা আমার পিছনে পিছনে বের হয়েছে। যাইহোক, আমাকে ফলো করতে করতে সেদিন আমাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে গার্লফ্রেন্ডসহ। আমার গার্লফ্রেন্ড আমাদের এলাকার একটা রাস্তার মোড়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। আমি যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছায়, তখন দেখি মা আমার পিছনে ! আমার তখন কি করা উচিত বুঝতেই পাচ্ছিলাম না। এটা আমার জন্য সত্যিই অনেকটা সারপ্রাইজিং ব্যাপার ছিল। এই ঘটনার পর আমি কিছুদিন বাড়িতে মাথা উঁচু করে কথাও বলতে পারিনি মায়ের সাথে ।
প্রমিকঃজানু আজকে ভ্যালেন্টাইন ডে
প্রমিকাঃ হ্যা জানু, এই দিনের জন্য তো অপেক্ষা করেছি,
প্রমিকঃ অপেক্ষা করেছো কেন?
প্রমিকাঃ আজকে দিনে তুমি আমাকে অনেক গিফট করবা আর খাওয়াবা তাই।
প্রমিকঃ ও আচ্ছা।তো আমার খুব জানে ইচ্ছা করছে,
আমার সাথে এভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে কি আর কারও সঙ্গে পালন করেছো?
পেমিকা: কথা বলছো না চুপ করে আছেযে?
প্রমিকঃ জানু সরি মাপ করো আমি এমনি বলছি রাগ করো না। আমি তো জানি আমার সাথে প্রথম পালন করছো।
পেমিকা: রাগ করিনি, গুনছিলাম.কয়জনের সাথে পালন করেছিলাম।
প্রমিকঃ হাই আল্লাহ মারো মু যে মারো।।।।
আমাদের বল্টুদা ১৪ই ফেব্রুয়ারির দিন গোলাপ ফুল নিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডের বাসায় গেছে। যখন ফুল দিয়ে প্রেপোজ করতে যাবে, এমন সময় গার্লফ্রেন্ডের বাবা এসে বললো,কিরে বল্টু তুই ফুল হাতে নিয়ে কি করিস,,?
এমন সময় বল্টু বললো আজকে তো চাচা ভাতিজা দিবস,তাই আপনাকে গোলাপ ফুল দিয়ে প্রপোজ করতে এসেছি,হা হা হা।😜😜
১৪ ফেব্রুয়ারিতে বউ এর আবদার স্বামীর কাছ থেকে একটা iphone গিফট নিবে। স্বামীর কাছে টাকা না থাকার কারণে কিডনি বেঁচে বউকে আইফোন ফিফটিন প্রোম্যাক্স কিনে দিল।
১৫ তারিখ বউয়ের কোরিয়ান ফ্লাইট। পড়াশোনার কাজে ছয় মাসের জন্য কোরিয়ায় যাবে।
এবার স্বামী বউয়ের কাছে আবদার করল আমি কিডনি বেঁচে তোমার আবদার পূরণ করলাম। এবার তুমি আমার একটা শখ পূরণ করবে তো?
বউ বলল অবশ্যই। আমি তোমাকে এত ভালবাসি আর তোমার আবদার কে আমি ফেলতে পারি? তোমার কি চাওয়ার আছে আমার কাছ থেকে বল.
স্বামী তখন বউকে বলেছিল আমার কোরিয়ান মেয়ে অনেক পছন্দ এবং তুমি আসার সময় আমার জন্য একটা কোরিয়ান গার্লফ্রেন্ড নিয়ে এসো।
বউ রাগান্বিত হলো এবং 15 তারিখ সন্ধ্যায় ফ্লাইটে করিয়া চলে গেল। সময় শেষে বউ যখন বাসায় ফিরল তখন স্বামী জিজ্ঞেস করেছিল আমার জন্য গিফট কই??
বউ তখন বলেছিল তোমার জন্য গিফট আনছি। কোরিয়ান অরজিনাল গিফট। তবে সেটা ছেলে না মেয়ে এখনো সঠিক বলতে পারছি না।
😄😄🙈🙈
ভ্যালেন্টাইনের প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত বারটায় প্রেমিক-প্রেমিকার ফোনালাপ-
প্রেমিক : বিশ্বাস কর লক্ষিটি আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি।
আপরপ্রান্তে অবিশ্বাসমাখা কন্ঠে...
:সত্যি বলছো তো? তাহলে বলো তো কে আমি?
প্রেমিক : না ইয়ে মানে আননোন নাম্বার থেকে করেছো তো তাই চিনতে পারছি না। তাই বলে আবার রাগ কোরো না প্লিজ তোমার গলা তো আমার যুগ যুগ ধরে চেনা।
প্রেমিক প্রেমিকা ভ্যালেন্টাইন্স দিবসে পার্ক এ বসে গল্প করছে। এমন সময় টহলরত পুলিশ তাদের সম্পর্ক জানতে চাইলে তারা তাদের ভাই বোন বলে
দৌড়ে পালালো।
হেহেহে 🤣🤣 টহলরত পুলিশের এমন প্রশ্নে, এইরকম অনেক ভাই বোন পালানোর ভিডিও ইউটিউবে দেখা যায় আপু।
১৪ই ফেব্রুয়ারিতে আমার স্বামী আমাকে বিশাল আকারের একটি "ফুলকপি" গিফট করেছে। যার মধ্যে ফুল+কপি দুইটাই রয়েছে।🤣🤣🤣
ওই দিন এই গিফট পেয়ে, আপনি কি গিফট করেছিলেন আপু আপনার স্বামীকে?🤭🤭🤔🤔
আমি তাকেও ডিম দিয়ে ফুলকপি রান্না করে রিটার্ন গিফট হিসেবে দিয়েছিলাম।😂😂
হি হি হি...😂😂🤣🤣 রিটার্ন গিফট টা তো বেশ দারুন ছিল আপু!
মেয়ে : মা ১৪ই ফেব্রুয়ারী আমার অতিরিক্ত ক্লাস আছে,আসতে দেরি হবে।
মা: তোর নানীকেও আমি একই কথা বলতাম। বাড়ি থেকে বের হলে পা ভেঙ্গে দেব।
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম আমি এবং আমার বন্ধুরা সবাই সিঙ্গেল, তাই প্রতিদিনের মতো ভালোবাসা দিবসের দিন আমি নির্দিষ্ট স্থানে এসেছিলাম আড্ডা দেয়ার জন্য, কিন্তু যখন জানতে পারলাম কেউ মিরপুর কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারো বা ফোন বন্ধ, তখন আমার বিশ্বাসটা ভেঙে গেল, ভালোবাসা দিবসে বন্ধুদের কাছ থেকে নীরব ধোকা খেয়ে গেলাম।