বাবার সাথে প্রথম ঢাকা শহরে আসার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


বাবার সাথে ভ্রমণ করার মজাটাই অন্যরকম। আমি বাবার সাথে ছোটবেলায় অনেক জায়গায় ভ্রমণ করতাম। তবে ঢাকা শহরে কখনো ভ্রমণ করা হয়নি মযার কারণে প্রথম প্রথম আমি বাবার সাথে এবং পরিবারের সাথে ঢাকা শহরে ভ্রমণ করেছিলাম। আসলে ঢাকা শহরে ভ্রমণ করার সেই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো যেন আমার এখনো মনে পড়ে। সেই মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। তাই আপনাদের মাঝে ঢাকা শহরে প্রথম প্রথম ভ্রমণ করার সেই গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে এই গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।


father-and-son-8828819_1280.jpg


ঢাকা শহরের অনেক সুন্দর সময় দৃশ্যগুলো উপভোগ করতেছিলাম। তার মধ্যেই জাতীয় চিড়িয়াখানায় যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি আনন্দের ছিল। তাই পরিবারের সকলের সাথে এবং খালাম্মাকে সাথে নিয়ে আমরা মিরপুর চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে পরের দিন সকালবেলা রওনা দিলাম। আর খালাম্মা টিকেট কাটলো। আমরা টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলাম। তারপরে আমরা যখন এই মিরপুর চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করলাম। তখন আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। কারণ আজকে আমি আমার নিজের চোখে সামনে বাঘ, সিংহ থেকে শুরু করে সকল পশুপাখি আমি দেখতে পাবো। আর এই চিড়িয়াখানার গল্প অনেক শুনেছি সকলের কাছে। তাই নিজে চোখে দেখবো দেখবো, তাই মনের ভিতর অনেক আনন্দ হচ্ছিলো।



তারপরে চিড়িয়াখানার ভিতরে প্রবেশ করে আমরা প্রথমেই বিশাল বড়ই একটি জিরাফ দেখতে পেলাম। এই জিরাফটি দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। কারণ জিরাফির গলা ছিল অনেক লম্বা, যে নিচে থেকে গাছের পাতা যেন খাচ্ছিলো। এই জিরাফটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। তারপরে বাবাকে বললাম আমরা বাঘ দেখবো কখন। আসলে চিড়িয়াখানার ভিতরে বাঘ দেখায় যেন প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। বাঘ কখনো দেখা হয়নি, বাঘের গল্প অনেক শুনেছি। সেই বাঘ দেখার জন্য আমি ব্যস্ত হয়েছিলাম। আশেপাশে আরো অনেক পশুপাখি দেখলাম, তবে বাঘ দেখার জন্য আমি বারবার বলতেছিলাম।


তারপরে বাবা এবং খালাম্মা আমাকে বাঘের সামনে নিয়ে আসলো। বিশাল বড় একটি খাঁচা তার ভিতরে বাঘ রয়েছে দুইটা এবং মাংস দিয়েছে, এই বাঘগুলো মাংস খাচ্ছে। বাঘের খাঁচার কাছে গিয়ে বাঘের গর্জন শুনতে পেলাম এবং পাশেই ছিল সিংহের খাঁচা। এই সিংহ আর বাঘের দৃশ্য দেখে যেন আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি অনেকক্ষণ এই বাঘা আর সিংহকে দেখতে ছিলাম। সত্যি চিড়াখানার ভিতরে সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয় বাঘ,সিংহ, অজগর সাপের দৃশ্য গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিলো।


তারপরে চিড়াখানায় আরো ভয়ানক কিছু পশুপাখি আমি দেখেছিলাম। সেই মুহূর্তগুলো অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি। তো বন্ধুরা পরবর্তীতে চিড়িয়াখানার ভিতরে আরো কি কি সৌন্দর্যময় পশু পাখি দেখেছিলাম এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করব এবং পরের দিন আমরা স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবনে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তের গল্পের অংশ আগামী পর্বে শেয়ার করব। আশা করছি সবাই ভালো থাকবেন।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 days ago 

আমরা জীবনে যতই বড় হয়ে যাই এবং একই জায়গা যতবারই যাই না কেন সেই জায়গায় প্রথমবার আসা স্মৃতি আবার তাও যদি বাবা-মা মায়ের হাত ধরে হয় তা আজীবন কাল টাটকা হয়েই থেকে যায়। আপনার চিড়িয়াখানা দেখার অভিজ্ঞতা পরিবেশ মজাই পেলাম। এখন নিশ্চয়ই জিরাফ থেকে ভাবেন না দিদির জিরাফের গলা এত কেন লম্বা। হা হা হা

 4 days ago