আনন্দময় যাত্রা।

ঈদ আমাদের সবার জন্য শান্তিময় একটা দিন। ছোটদের ঈদ এর আনন্দ হচ্ছে নতুন কাপড় চোপড় আর আমাদের বড়দের আনন্দ হচ্ছে সকলের সাথে একসাথে বসে আড্ডা মারা। কেননা ঈদই হচ্ছে একমাত্র সময় যখন কিনা সকল এর দেখা পাওয়া যায়। কম বেশি সবাই ছুটি পায় সেই সময়।

তাই একমাত্র তখনি সবার সাথে কোথাও ঘুরতে বা আড্ডা দিতে পারি। যদিও এইবার এর ঈদ এর সময় আমার মন একদম ঠিক ছিল না , তাও চেষ্টা করেছি যাতে যা হয়েছে সেটার সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর। যাই হোক , এইবার ঈদ এ বেশ ভালোই ঘুরে ফেরা করেছি। বাড়ির সবাই ছিল সেই দিনটাতে , এইটাই তো আনন্দ। পরিবারের সকলে মিলে যদি কিছু সময় কাটানো যায় তাহলে এর থেকে সুখময় আর কি হতে পারে ?

আমাদের গ্রামের আসে পাশে তেমন বেশি ঘুরার জায়গা নেই তবে যেটাই ছিল সেখানে চেষ্টা করেছি , এইবার ঘুরাঘুরিটা বেশ মজার ছিল। কেননা এইবার এমন যাত্রায় কেউ বাদ ছিলোনা , সবাই একসাথে একত্রে যাত্রা করেছিলাম। আগে একসময় ভাবতাম একা থাকলে হয়তো অনেক সুখ পাওয়া যাবে। জীবনের আর কেউ থাকবে না দুঃখ দেয়ার মতো। আমি এক স্বাধীন ,নিজের মন মতো চলতে পারবো কিন্তু আসলে এখন বুঝতে পারছি পরিবার ছাড়া কিছুই নেই আমার। ওরাই আমার জীবন, ওরাই আমার সুখ , সব কিছুইর মানেই তো উনাদের জন্য। এখন বছরের পর বছর চলে যায় কিন্তু সেই আগের মতো কারোর দেখাই পাইনা। ওদের দেখার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। আসলে সত্যি বলতে পরিবার মানেই আসল সুখ।

যাই হোক এইবার এর ঈদটা বেশ ভালো কেটেছে কেননা এইবার আগের বারের মতো ঈদ এর দিন কোনো বৃষ্টি বাদল এর দেখা পাওয়া যায়নি , যদিও গরমটা ছিল প্রচুর । তবে ঈদ এর দিন যে ঘরে বসে থাকতে হয়নি সেটার জন্য আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। গত বারের ঈদ গুলো এতো বাজে ভাবে কেটেছিল সত্যিই বলে বুঝতে পারবো না।

এইবারের ঈদ যাত্রা অনেকটা লম্বা ছিল। বেশ কয়েকজায়গায় ঘুরা ফেরা হয়েছে পুরো পরিবার নিয়ে। এইটাই তো শান্তি ,সত্যিই অনেক ভালো লাগছে উনাদের সাথে এতো সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পেরে।যদিও আজ ভ্রমণ সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করিনি তবে সামনে আশা করছি ভ্রমণ অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারবো।ধন্যবাদ সবাইকে।