সোনালী ছেলেবেলা।।২২ আগস্ট ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি আপনাদের ভালোই লাগবে।আজকে আমি একটা বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি।আজকের বিষয় আমাদের ছেলেবেলা।এই সময়টাকে সবাই সোনালী যুগ বলে অভিহিত করে।কিন্তু কেন আমাদের এই মানব জীবনে শৈশব একটি গোল্ডেন পিরিয়ড।এই বিষয়ে আমি একটু চিন্তা ভাবনা করে নিজের একান্ত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছি।সেটাই আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি।এই বিষয়ে আপনাদের কোনো মতামত থাকলে মন্তব্য করে জানাবেন।যেকোনো গঠনমূলক আলোচনা সাদরে গ্রহণযোগ্য।
সময়ের সাথে আমাদের এই মানব জীবনে শৈশব আছে তারপর যৌবন আর শেষে আসে বার্ধক্য।আমরা হাজারো প্রচেষ্টা করেও এই অনিবার্যতা থেকে মুক্তি পায় না।তাই এই জীবন চক্রের মধ্যেই আমাদের জীবনকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।আর এই সীমার মধ্যেই থেকে আমাদের ব্যক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে।কিন্তু সেটা আলাদা প্রসঙ্গ,অন্য কোনো দিন আলোচনা করা যাবে।আসুন তাহলে মূল প্রসঙ্গে ফেরা যাক।
শৈশব কালে আমরা একটু একটু বুঝতে শিখি।এই পর্যায় টা জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।কারণ এই সময়ে আমরা সত্যিকারের মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা পাই।জীবনের মূল্যবোধ গুলো আস্তে আস্তে শিখতে থাকি।এই সময় যা শিখবো সেটাই আমাদের ভীত গড়ে দেয়।কিন্তু শৈশব কখনোই চাপ যুক্ত নয়।কিন্তু দুঃখের বিষয় শৈশব এখন প্রচুর চাপের।সেটা বিষয় নিয়ে পরে আসছি।আমরা যারা গ্রামের ছেলে তারা সবাই জানি যে শৈশব মানেই মুক্ত আকাশ পাখা মেলে উড়ে বেড়াও।কিন্তু বাস্তবে কি তাই?আমি ব্যক্তিগভাবে বলতে পারি নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে যে শৈশব আসলেই মুক্ত বিহঙ্গের মতো।আমরা শৈশবে পড়ার সময় পড়েছি আর সারাদিন শুধু আনন্দ আর আনন্দ করে বেড়িয়েছি।জীবনে কোনো দুঃখবোধ আমাদের ছিলো না।কিন্তু মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান হওয়ার জন্য আমাদের সব শখ পূরণ হতো না এটা ঠিক কিন্তু কোনো অভাব ছিলো না।আর আমি মনে করি এটাই শৈশবে খুব জরুরী যে সব কিছুই জীবনে পাওয়া যায় তবে সেটার জন্য পরিশ্রম প্রয়োজন আর সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা।
কিছুদিন আগে আমি গ্রামের মধ্য দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম।এখন যেহেতু বর্ষাকাল চলছে আর স্বাভাবিক ভাবেই এই সময় চারিদিকে মাঠ ঘাট জলে টইটুম্বুর।তো একটা বিলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করলাম একদল দুরন্ত বালক বালিকারা একটা পাটাটনে দাড়িয়ে সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা দেখছে আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে।এটা দেখে আমি নষ্টালজিক হয়ে গেলাম।আমরা ও ছেলেবেলায় এমনটা করতাম।কত কথা মনে পড়ে গেলো,সেই ছেলেবেলা সেই একটা দারুন উত্তেজনা।সত্যি কি অসাধারণ ছিলো আমাদের শৈশব।সম্পদের প্রাচুর্য ছিলো না কিন্তু ছিলো আনন্দের প্রাচুর্যতা।আজকে এই যান্ত্রিক জীবনে দাঁড়িয়ে খুব মিস করি সেই সব দিনগুলি।আর কি ফিরে পাওয়া যাবে না এই সোনালী দিন গুলি?
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আমিও মনে করি ছোটবেলায় হলো আমাদের জীবনের গোল্ডেন পিরিয়ড। কোনোকিছুর চিন্তা ভাবনা ছিলো না, দুঃখ ছিলো না, জীবনের চাপ ছিলো না। আহা! সময় গুলো ফিরে পাওয়া যাবে না ঠিকই তবে পুরোনো সেই স্মৃতি গুলো মনে করে ভালোলাগার রেশ কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Hi @blacks,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বলতে গেলে সবার ক্ষেত্রে একই রকম কারণ শৈশবের স্মৃতিগুলো চিরজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকে। বর্ষার মৌসুম এইজন্য চারিদিকে জলে ভরপুর। নিশ্চয়ই বালক বালিকাদের এই দৃশ্যটি দেখার পরে আপনার ছোটবেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করছিল আর ছোটবেলার সেই অতীতগুলো আবার মনে পড়ছিল।
শৈশব হচ্ছে সবচেয়ে মধুর সময়।আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করবেন সেই কিন্তু নষ্টালজিক হয়ে যাবে। মধুর সময়কে মনে করে মানুষ বেঁচে থাকার আনন্দ কিছুটা হলেও অনুভব করে।বাচ্চাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আপনি ঠিক ছেলেবেলায় হারিয়ে গেলেন।আসলে এমনটা ই হয়।আমরা মধ্যবিত্তরা অনেক কিছু না পেলে ও সুন্দর একটি শৈশব পেয়েছি।যে শৈশবকে মনে করে আজও নষ্টালজিক হয়ে যেতে পারি।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আমাদের শৈশব আর এখনকার বাচ্চাদের শৈশবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। আমরা যেমন আগে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়িয়েছি আর এখনকার শহরের বাচ্চাদের শৈশব কাটে মোবাইল আর টিভিতে। এখনকার গ্রামের বাচ্চাদের শৈশব দুরন্তপনায় কাটলেও শহরের বাচ্চাদের আর তা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আসলে শৈশবের সেই দিন গুলোকে খুব মনে পড়ে। ধন্যবাদ দাদা পুরনো কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
আসলেই শৈশব হচ্ছে আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ তখন আমাদের জীবনে তেমন কোনো চাপ ছিলো না, শুধু ছিলো আনন্দ আর আনন্দ। যদিও এখনকার বাচ্চাদের শৈশব ততোটা আনন্দে কাটে না। কারণ ছোট থেকেই পড়াশোনার বেশ চাপ থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে কিছুক্ষণের জন্য শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছিলাম। সেই সোনালী দিন গুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনার কথাটি আমার অনেকে ভালো লেগেছে শৈশবে সম্পদের প্রাচুর্য ছিল না ছিল আনন্দের প্রাচুর্যতা।শৈশব হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মধুর ও শ্রেষ্ঠ একটি সময় ।
আমরা অনেক আনন্দের সময় গুলো অতিবাহিত করেছি কিন্তু এখনকার শিশুরা এগুলো পায় না কারণ তারা চার দেয়ালে বন্দী। বাচ্চাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আপনিও শৈশবে হারিয়ে গেলেন আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো ভোলার নয়। অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
একটা মানুষের সবটুকু মধুর সময় হলো ছোটবেলা। এই সময়টা মানুষের কোন দিক বেদিক থাকে না। মনের ইচ্ছা মত সবকিছু করা যায়। আর তাই এই সময়টাকে সোনালী সময় বলা হয়। যা প্রতিটা মানুষের জীবনে একবারই আসে। যখন আস্তে আস্তে পরিপূর্ণ বয়স হতে থাকে তখন ওই সময় স্মৃতিগুলো খুব ভেসে ওঠে মনের কোঠায়। দাদা আপনি গ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন এবং এই দৃশ্যটা দেখার পরেই আপনার ছোটকালের কথাগুলো মনে পড়ে গিয়েছিল। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো স্মরণে হয়ে থাকবে।
শৈশবের আনন্দঘন মুহূর্ত সবাই মিস করে যেটা জীবনের সোনালী অতীত। দাদা আপনার একটি কথা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বর্তমান সময়ে শৈশবে সবাই চাপের মধ্যে থাকে কারণ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাবা-মা অনেক চিন্তা ভাবনা করে। সেজন্য এখন আর উন্মুক্তভাবে চাইলেও কিছু করতে পারেনা কিন্তু আমাদের সময় সেটা আমরা করতে পেরেছি ভালো লাগলো।