কক্সবাজারে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের আরও কিছু অংশ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজারে কাটানো একটি বিশেষ মুহূর্ত। যে মুহূর্তটা কাটিয়েছি আমাদের প্রিয় @samhunnahar আপুর ফ্যামিলি সহ। বীচে অনেকক্ষণ সময় কাটানোর পর যখন আপুর হাজব্যান্ড এলো তখন আমরা সবাই মিলে আবার অন্য একটা জায়গায় যাওয়ার চিন্তা করলাম। তখন বীচের কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। যদিও সেই রেস্টুরেন্টের নাম আমার এখন মনে পড়ছে না।
যাইহোক প্রথমে সেখানে গিয়ে সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর কিছুক্ষণ বসলাম, আর তখন খাবার অর্ডার করা হলো সবার জন্য। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস অর্ডার করা হলো। আসলে খাবারের সময়ে ছবিগুলো আমার কাছে নেই, সেজন্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেনি। খাওয়ার সময় তো আর ছবি তোলার কথা মনে থাকে না সেজন্যই ছবি শেয়ার করতে পারলাম না। যাই হোক সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমাদের খাবার এলো, একদম গরম গরম খাবারই এলো।
খাবার আসতে আসতে আমরা অনেক গল্প করলাম। সেজন্যই আমাদের সময় কিভাবে গেল আমরা বুঝতেই পারিনি। আসলে প্রিয় মানুষদের সাথে যদি এভাবে দেখা হয়ে যায় তাহলে গল্প করতে মগ্ন হয়ে থাকি। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কিন্তু কথা বলতে থাকতাম। খাবার এলে খাবার খাওয়ার মাঝেও অনেক কথা হল। তারপর আবার খাওয়া শেষ করে উঠে পড়লাম। যদিও আপুদের আপ্যায়ন করার সুযোগ আপু আমাদেরকে একদমই দেয়নি।
যাই হোক তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম লাবনী বিচের দিকে। যদিও এখানে একটা জায়গায় গিয়ে আমরা কিছু ছবি তুলে নিলাম আপুসহ। যেহেতু অন্ধকার হয়ে গিয়েছে সেই হিসেবে ছবিগুলো একটু অন্ধকারের মধ্যে তোলা হয়েছিল। যাইহোক এখন হাঁটতে হাঁটতে ভাবলাম কোথাও চা খাওয়া যাক। আর চায়ের কথা মনে পড়তেই মনে পড়ল যে রাজা চায়ের কথা। তখন আপুকে বললাম রাজা রায়ের স্টলে গিয়েছিল কিনা। তখন আপু বলল যে এই নামটা তো আপু শুনেছে তবে কোথায় বসেছে সেটা দেখেনি।
তখন আমরা আপু সহ চলে গেলাম সেখানে চায়ের স্টলে। আসলে আপু বলছিল যে তিনি নাকি কখনো রাজা চা খায় নি। এজন্যই মূলত সবাই মিলে সেখানে গেলাম। যেহেতু আমরা এর আগেই একবার সেখানে চা খেয়েছি সেই হিসেবে আমরা মোটামুটি জায়গাটা চিনে ফেলেছি। আর একদম লাবনী বীচ সংলগ্নই কিন্তু এই দোকানটা ছিল।
যাইহোক ভাগ্য ভালো সেদিন আমরা বাইরে বসার জায়গা পেয়েছিলাম। আসলে বাইরে বাতাসের মধ্যে বসে চা খাওয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম মনে হয়। ভেতরে যেহেতু বসার স্পেস কম এবং গরম অনেক বেশি লাগে সেজন্যই মূলত বাইরে জায়গাটায় বসা। সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। এর মাঝে আমাদের জন্য চায়ের অর্ডার হয়ে গেল। তখন রাঈদা মামনি মেন্যু দেখে একটা চায়ের অর্ডার দিয়েছিল, আমার মনে নেই নামটা।তবে পিংক কালারের ছিল সেই চা।
আমাদের আড্ডার মাঝে চা চলে এলো, আর সবাই মিলে তখন চা পান করতে করতেই আরো অনেক গল্প হলো।এরপর তো আবার আপুদের সাথে কথা হতে হতেই আমরা বাসার পথে হাটলাম।তখন আপু আর ভাইয়া বারবার তাদের বাসায় যাওয়ার কথা বলছিলো,সেদিন তো আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই পরের দিনের জন্য আপু অনেক বার বললো,তখন আসলে আমাদের সময় একদম কম ছিল।সেটা না হয় অন্য কোনো দিন শেয়ার করব আপনাদের মাঝে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ আপু আপনি কক্সবাজারে গিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। সেখানে শামসুন্নাহার আপু আপনাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে অনলাইন প্লাটফর্মে কোন ইউজারের সাথে যদি একে অপরের দেখা হয় তাহলে বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপুর সাথে দেখা করতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল। আর ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড এর থেকে অনেক কাছের কেউ হওয়া যায় সেটা প্রমাণ পেলাম।
কক্সবাজারে গিয়ে শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করেছেন জেনে ভালো লাগে। সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। লাবনী বীচের দিকে এসে দুজনে মিলে ছবি তুলেছেন। দুজনকে একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভার্চুয়াল লাইফের মানুষগুলোর সাথে সামনাসামনি দেখা করার অনুভূতি গুলো অন্যরকম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
সেদিন আসলেই অনেক এক্সাইটেড ছিলাম আপুর সাথে দেখা করব বলে।খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন।
বাহ আপু শেষমেষ আপনি সেই চমৎকার একটি মুহূর্ত শেয়ার করে নিলেন। সত্যি আপু সেদিন এতই ভালো লাগছিল আমার আফসোস হলো আরো কেন সময় বেশি পেলাম না। কারণ এত স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রিয় মানুষদের সাথে আলাপ করে শেষ করা যায় না। যদি আপনারা আরো দুই একদিন থাকতেন তাহলে আরো দুই একবার দেখা হতো। তাহলে বেশ ভালোই আড্ডা হতো হা হা হা তাই না আপু? প্রতিটি মুহূর্ত আমার কাছে বেশ স্মরণীয় হয়ে আছে। আমি খাবারের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম এখনো শেয়ার করিনি। আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম বিজিবি উর্মি ক্যাফেতে। সেখানকার খাবার গুলো সুলভ মূল্যে ভালো খাবার পাওয়া যায়। যেহেতু এই রেস্টুরেন্ট সেনাবাহিনীদের দ্বারা পরিচালিত তাই আমরা প্রায় সময় সেখানে যেয়ে বসে থাকি। যদিও রেস্টুরেন্ট টি এত বেশি ভিআইপি না কিন্তু খোলামেলা বাতাসে বসতে অনেক ভালো লাগে। আর রাজা চা তো খেয়ে বেশ মজাই পেয়েছিলাম আপু। আশা করবো আপনারা আবারও আসবেন হাতে সময় নিয়ে আবার জমিয়ে আড্ডা করবো এমন সুন্দর মুহূর্ত আবার ফিরে পাব এটাই কামনা করতেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনি খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত স্মৃতিচারণ করলেন।
আরে আপু, এবার তো সময় পাই নি থাকার। সামনে ইনশাল্লাহ আবার যাবো হাতে সময় নিয়ে।তবে আপনি কবে আসবেন সেটা তো বললেন না,অপেক্ষায় রইলাম।
কক্সবাজারে আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটা দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনাদের এই ভ্রমণ মুহূর্তে শামসুন্নাহার আপুকে কাছে পেয়েছেন দেখে। আসলে আমরা সবাই মিলে যদি একসাথে এমন ভাবে একত্রিত হতে পারতাম কতই না ভালো হতো।
জি ভাইয়া আসলে সবার সাথে দেখা করতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো।
আপনারা কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এবং সেই জায়গার অনেকগুলো ফটো ও পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজকে আবারও সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার। আর বেশি ভালো লাগলো এখানে বেশ কয়েকজন ব্লগার রয়েছেন দেখে।
জি আপু,এখানে আমরা ৪জনই আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড মেম্বার ছিলাম।
সত্যি আপু প্রিয় মানুষের সাথে এভাবে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। আর সবাই মিলে এভাবে এক সাথে বসে আড্ডা ও খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি ঠিক বলেছেন গরমে বাইরে বসে এভাবে চা খাওয়ার অনুভূতি বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার বাসায়ও যাব আপু,আর আপনার দাওয়াত রইলো চলে আসবেন।