আমার তোলা আলোকচিত্র: মেশিন নিয়ে ভালোবাসা।|| My love with Machine 😀
|
---|
শুভ রাত্রি #amarbanglablog পরিবার 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমার চোখে যা ভালো লাগে তা সবসময়ই চেষ্টা করি সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার।
আসলে পৃথিবীতে আপনি যদি কোন কাজকে ভালোবেসে না করতে পারেন তাহলে সেটা ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আর কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে সেটা দীর্ঘদিন ধরে করা সম্ভব নয়, কারন সেটা আপনাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলবে। আসলে আমাদের আনন্দ এবং কষ্টগুলো খুব আপেক্ষিক একটা ব্যাপার, যদি আপনি ছোট ছোট ব্যাপার গুলোতে আনন্দ খুঁজে পান তাহলে সেটা আপনাকে জীবনের ছন্দে ফিরিয়ে আনবে। আর ঠিক এই ছন্দটা জীবনের অমূল্য সম্পদ যা হয়তো কোটি টাকা দিয়ে পাওয়া যাবে না।
সোজাসাপ্টা কথা হচ্ছে আপনি যদি গৃহিণী হোন তাহলে আপনি আপনার ঘর আর রান্নার হাড়ি পাতিলকেও ভালোবাসুন। তাহলে রান্নাটাও দারুন হবে, আর আপনার ঘরটাও আনন্দে থাকবে।
আপনি যদি শিক্ষার্থী হোন তাহলে আপনার পড়ার টেবিলকে ভালোবাসুন। মানে তাকে সাজিয়ে নিন অপরুপ সাজে যাতে পড়ার টেবিল থেকে আপনার নজর না সরে, ঠিক প্রিয়তমার মতো 😅
যাইহোক অনেক বকবক করলাম এখন আসি আমার কাজের কথায়, আমি আমার মেশিন গুলোকে ভালোবাসি। তার ছোট্ট ছোট্ট অংশগুলো আমার পছন্দের জিনিস।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এটা একটা প্লাস্টিক গিয়ার। এই বেচারা আমাকে প্রায়শই ভীষণ বিরক্ত করে। আসলে তাকে দোষ দিয়ে কি করবো, প্লাস্টিকের তৈরি তার দুর্বল শরীর এতো ভার বহন করতে পারে না। তাইতো মাঝে মাঝেই তাকে বদলিয়ে নতুন কাউকে তার জায়গায় বসাতে হয়। তবে ব্যাপারটা ভালোই লাগে।
এটার নাম বলছিনা একটু সিকিউরিটির জন্য 🤫 যাইহোক খুব কিউট একটা ডিভাইস এটা। আমি ভীষণ যত্নে তার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অপারেশনের মাধ্যমে সংযোজন এবং বিয়োজন করি। ব্যাপারটা খুব সুক্ষ্ম, যেখানে ভুল করার সুযোগ নেই। তবে বেশ উপভোগ করি ব্যাপারটা।
এটা মোটামুটি একটা বড় অপারেশন। এখানে দুটো ছোট্ট মটর আর একটি ক্যাপাসিটর রয়েছে। মটর দুটোকে আপনি হাত কিংবা পা ভাবতে পারেন, আর ক্যাপাসিটরকে মেশিনটার চালু হবার শক্তি। যাইহোক বেশ যত্ন সহকারে এবং বেশ খানিকটা সময় নিয়ে অপারেশনটা করে মেশিনটাকে নতুন জীবন দিয়েছিলাম 😅
হঠাৎ করে যদি এভাবে কেউ ভেঙ্গে পরে তাহলে কেমন লাগে বলুন 😐 মনটা হুট করেই খারাপ হয়ে যায়। কি আর করা যদি ভাবি আজকে বাড়ি যাবো তাড়াতাড়ি, ঠিক সেদিনই এরকম অঘটন বেশি ঘটে যায়। তবে কি আর করা পরম যত্নে তাকে সারিয়ে তুলতেই হয়। এটাই হয়তো তার সাথে আমার বোঝাপড়া।
যদি কেউ হুট করেই আপনাকে বকাঝকা করে তখন কেমন লাগবে 😀 যখন মনিটরে হঠাৎ করেই এরকম হাবিজাবি সব লিখা ফুটে ওঠে তখন মাথাটা খারাপ হবার যোগাড় হয়। তখন বুঝতে পারি আমার রোগী কোমায় চলে গেছে, এবার খুব সাবধানে তাকে বাঁচিয়ে আনতে হবে। তখন সতর্কতার সাথে কিবোর্ড আর মাউস লাগিয়ে তাকে পরীক্ষা করা শুরু করি, এরপর তার ভেতর নতুন করে সফটওয়্যার ইন্সটল করে দিয়ে তার সেন্স ফিরিয়ে আনি 😬।
পরিশেষ
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন, আশাকরি বেশি খারাপ লাগেনি 😅 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রমোশন
আপনার তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভিন্ন ধর্মী আলোকচিত্র দেখতে পেলাম আজকে। তবে এই মেশিনের যন্ত্রপাতির সঙ্গে আমিও খুব পরিচিত। প্রায় সময় এই যন্ত্র অংশগুলোর সঙ্গে দেখা হয়। আপনি ঠিক বলছেন ভাই কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে সেটা দীর্ঘদিন ধরে করা সম্ভব হয় না, যেমনটা আপনি ভালবাসেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
যাক আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা আপনার এমন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম। সত্যি বলতে এসব মেশিনের ভিতর কি কলকব্জা থাকে সেটা আমাদের ও জানা ছিল না। আজ দেখা হয়ে গেল। ধন্যবাদ সুন্দর এই ফটোগ্রাফির জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন কাজ কে ভালোবাসতে হবে। তাহলে কাজের ভিতরে আনন্দ উপভোগ করা যাবে। ভিন্ন রকম একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। আপনার মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা এটা কিন্তু আমরা সকলেই জানি। নতুন কিছু ধারণা হলো আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনার তোলা আলোকচিত্র দেখে বেশ ভালো লাগলো ইউনিক জিনিস দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমাদের সবার। আসলে মেশিনের ভীতরে যে এতো কলকব্জা থাকে তা আগে আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে আজ কিছু শিখতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
ইন্জিনিয়ার মানুষ, দারুণ একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করেছেন। আসলে কোন কাজকে ভালোবেসে না করলে, সেটাতে বরকত আসে না। জিনিস যদি না ভাঙে তাহলে আপনি লাগাবেন কি,হা হা হা। ধন্যবাদ।
ভিন্ন ধরনের একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অনেকদিন পর নিজের ভালো লাগার জায়গার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফিগুলো। সেই সাথে ভালো লাগলো আপনার লিখা পড়ে।
আমার ছবিগুলো এবং লিখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপু।