"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৭ || কুচো চিংড়ির বড়ার রেসিপি
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারা ও ভালো আছেন। আজকে আমি একটি রেসিপি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। অবশ্য এই রেসিপিটি আমাদের কমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত করেছি। @swagata21 আপুকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। সত্যিই মাছ এই দুই বাংলার মানুষকে একত্রিত করতে অনেক বেশি অবদান রেখেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ।
দুটোই আমার খুব পছন্দের।আসলে এমন খুব কম মানুষ রয়েছে যারা এই দুই ধরনের মাছ পছন্দ করে না। অতিথি আপ্যায়নে আমরা এই মাছগুলো অনেক বেশি ব্যবহার করে থাকি। তাই চিংড়ি মাছের বিভিন্ন ধরনের রেসিপি সম্পর্কে কমবেশি ধারণা রয়েছে। বড় চিংড়ির অনেক ধরনের রেসিপি আমি এই কমিউনিটিতে শেয়ার করেছি। চিংড়ির মালাইকারি, চিংড়ির দোপেয়াজা, ঝাল চিংড়ি ভুনা এমন আরো অনেক।
তাই এবার একটু অন্যরকম কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সেটা হল কুচো চিংড়ির বড়া। এই বড়াটি খেতে অনেক অনেক বেশি সুস্বাদু। প্রতিটি কামড়ে চিংড়ি মাছের ফ্লেভার আসে। আপনারা চাইলে এটি বড় চিংড়ি দিয়ে তৈরি করতে পারেন। তবে আমার কাছে ছোট চিংড়ি দিয়েই তৈরি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে কিংবা এমনিও এই বড়াটি খেতে দারুন লাগে। আশা করছি সবাই একবার হলেও এটি বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য্য সহকারে আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ❣️।
উপকরণ :
- কুচো চিংড়ি
- মসুরের ডাল
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- রসুন বাটা
- আদা বাটা
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুড়া
- জিরা গুড়া
- লবণ
- ধনিয়া পাতা
- চালের গুড়া/কর্ণফ্লাওয়ার
প্রথমে মসুরের ডাল ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম। এতে করে ডাল খুব সহজেই পাটায় বাটা সম্ভব কিংবা ব্লেন্ডার করা সম্ভব। এরপর আমি ডাল খুব মিহিভাবে ব্লেন্ডার মেশিনের সাহায্যে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
এরপর এরমধ্যে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিলাম। এবং আবারও ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিলাম।
এরপর মিশ্রণটি একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। এরপর এরমধ্যে পেঁয়াজ, রসুন বাটা এবং আদা বাটা দিয়ে দিলাম।
এরপর বাকি সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম এবং মিশ্রণটি আঠা হওয়ার জন্য এর মধ্যে খুব সামান্য পরিমাণ চালের গুড়া ব্যবহার করলাম। আপনারা চাইলে এতে কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম।
এরপর এরমধ্যে কুচানো ধনিয়া পাতা দিয়ে দিলাম এবং আবারও খুব ভালোভাবে মিশ্রণটি মাখিয়ে নিলাম। কাঁচা মরিচ এবং ধনিয়া পাতা ব্যবহার করলে খাওয়ার সময় এর স্বাদ এবং ফ্লেভার অনেক বেশি ভালো লাগে।
এরপর পরিমাণমতো সয়াবিন তেল গরম করে নিলাম। গরম এবং ডুবো তেলে ছোট ছোট গোল করে বড়া ভাজতে শুরু করলাম।
লালচে এবং মুচমুচে করে একা একা সবগুলো বড়া খুব ভালোভাবে ভেজে তুলে নিলাম।
এভাবেই আমি আমার মজাদার রেসিপি প্রস্তুত সম্পন্ন করলাম।
কুচো চিংড়ির বড়ার রেসিপি :
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং নভেম্বর ২৯, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
কুচো চিংড়ির বড়া তৈরির খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আছে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের চিংড়ির বড়া গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের এলাকায় মেলাতে এই ধরনের বড়া বিক্রয় হতে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু রেসিপিটা আমার জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে শিখে গেলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কমিউনিটিতে চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমাদেরকে নতুনত্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারছি এবং এই কমিউনিটির সকলেই অনেক ইউনিক ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চিংড়ি মাছ পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার আজকের এই চিংড়ি বরা রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চিংড়ি মাছ খাওয়া হয়না তেমন, এলার্জিজনিত সমস্যার কারণে। তবে আপনার বড়া বানানো দেখে লোভ লেগে গেল আপু । মসুরির ডালের মিশ্রণে মজাদার করে বড়া তৈরি করে ফেললেন।
এই প্রতিযোগিতার আয়োজন না করা হলে এত সুন্দর সুন্দর ইউনিক রিসিপি দেখতে পেতাম না। যেমনটি আজকে আপনি একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
কুচো চিংড়ি বড়া রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি তৈরি করলেন। রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আমি কখন এই রেসিপি তৈরি করিনি। তাই দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করুন ইনশাআল্লাহ।
আহা জিভে জল আনা রেসিপি 😋
এগুলো পেলে তো অর্ধেক আমার পেটেই চলে যেতো। চিংড়ি গুলো বেশ ছোট আকারের দেখলাম, এই চিংড়ি মাছ দিয়ে বড়া তৈরি করে খেতে সত্যিই অসাধারণ লাগে। বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে কখনো বড়া তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটি বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আমার তো দেখেই জিভে জল চলে এসেছে 😋। তৈরি করে দেখব একদিন রেসিপিটি। এত সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
চিংড়ি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সত্যি অতিথি আপ্যায়নে চিংড়ির যেকোন রেসিপি অনেক মজার। আপনি ঠিক বলেছেন বড় চিংড়ির থেকে ছোট চিংড়ির বড়া গুলো অনেক মজা।আপনার চিংড়ির বড়া গুলো দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিংড়ির বড়া দারুন হয়েছে আপু। এভাবে চিংড়ির বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দোকান থেকে কিনে খাওয়া হয়েছে অনেক। সত্যিই আপু এভাবে বড়া তৈরি করলে খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগে। আপনার কাছে নতুন রেসিপি শিখতে পেরে ভালো লাগলো আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।