হ্যালো বন্ধুরা,
আশা ও বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। কারন আমি ভালো আছি তবে সব দিক হতে না, বুঝলেন না তো? দেখুন আমাদের জীবনে সকল ক্ষেত্রে সব সময় পূর্ণতা থাকে না বরং চলমান জীবনে সর্বদা কিছু না কিছুর অপূর্ণতা বা সমস্যা থেকে যায় এবং সেটাকে নিয়েই আমাদের জীবনকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করতে হয়। এখন বলছি সমস্যার কথাটা, নতুন বাড়ীতে উঠেছি এবং সব কিছু দারুণভাবে উপভোগ করছি। কিন্তু নতুন করে যানজটের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আসলে এখানে আমাদের কিছুই করার নেই, কারন আমাদের সড়ক ব্যবস্থাপনার যে অবস্থা আমাগী দশ বছর পর সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এটা চিন্তা করলে এখনই গা শিউরে উঠে।
সত্যি বলছি আগামী দশ বছর পরের দৃশ্য চিন্তা করে বর্তমান সমস্যাকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে ঢাকা শহরের এখন যে অবস্থা, প্রতিদিন নানা ভাবে শুধু নতুন গাড়ী না বরং লক্কর ঝক্কর গাড়ীগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে পুনরায় নামানো হচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। এই বাস্তবতাটা আমাদের সবচেয়ে বেশী ভোগাচ্ছে কারন প্রায় সড়কের মাঝে এসব গাড়ী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যাত্রীরা অনাকাংখিতভাবে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে। আর এই ভয়টা এখন আমার মাঝেও কাজ করা শুরু করেছে, কারন সাভার হতে মহাখালী ভালো কোন বাস সার্ভিস নেই। আবার একটা মোটর সাইকেল কিনতে চাচ্ছি কিন্তু বউ সেটাতে সায় দিচ্ছে না। কি জানি বউয়ের মনে কিসের ভয়? আরে ভাই আমি বহু বার বুঝিয়েছি যে আমার পিছনে কোন মহিলা উঠবে না, হা হা হা হা।
যাইহোক, বউ মানুক আর না মানুক মোটর সাইকেল একটা কিনতে হবে আমার, বাসের যন্ত্রনা থেকে বাঁচা কিংবা পিছনে কাউকে বসানোর সুযোগ যেটার জন্যই হোক না কেন, কি বলেন আপনারা? আমি কিন্তু অতো খারাপ মনের মানুষ না, কারো বিপদে হাত বাড়িয়ে দেয়াটা সোয়াবের কাজ এটাতো আমি জানি আর তাইতো সেটা করতে চাচ্ছি। থাক থাক এসব নিয়ে কথা বেশী বললে বিপদের পরিমান বেশী হয়ে যেতে পারে, চারপাশে টিকটিকির বংশ বিস্তার বেশ দ্রুতগতিতে বেড়ে চলছে।
আচ্ছা বাদ দিলাম, আজ এসব বাদ দিয়ে নতুন কোন স্বাদের ভিন্ন রকম রেসিপি দেখি। ভিন্ন রকম মানে একটু অন্যভাবে স্বাদের মাত্রাটা বাড়ানোর চেষ্টা, এই আরকি। আমি সব সময়ই এই চিন্তাটা করি, কাজের ক্ষেত্রে কিংবা রান্নার ক্ষেত্রেই হোক। চলুন আজকের ভিন্ন রকম স্বাদের রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ঢেঁড়স
- সরিষা পেষ্ট
- আদা রসুন পেষ্ট
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল দিয়েছি, তারপর তেলগুলো গরম হয়ে গেলে ঢেঁড়সগুলো স্লাইস করে তাতে দিয়েছি এবং তার সাথে হালকা হলুদ, মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
তারপর আরো কিছুটা তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি করে তাতে দিয়েছি এবং হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
এরপর হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া, লবন দিয়ে কষা করার চেষ্টা করেছি এবং কষা হয়ে যাওয়ার পর সরিষা পেষ্ট দিয়েছি।
তারপর কষানো মসলাগুলোর সাথে সরিষা পেষ্ট মাখিয়ে নিয়েছি, হালকা পানি দিয়েছি এবং পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত রান্না করেছি।
তারপর হালকা ভেজে রাখা ঢেঁড়সগুলো দিয়েছি এবং মসলাগুলোর সাথে মিক্স করে নিয়েছি, এরপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
ঢাকনা সরিয়ে পুনরায় কিছু পানি দিয়েছি, এভাবে কিছু সময় রান্না করেছি । তারপর পানির পরিমান কমে আসলে কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছু সময় পর নামিয়ে নিয়েছি।
দেখুন তৈরী হয়ে গেলো ভিন্ন স্বাদের ঢেঁড়স ভুনা সষিরা দিয়ে। আসলে আমরা হয়তো অন্য কোন মাছ খেয়েছি সরিষা দিয়ে ভুনা করে কিন্তু চিন্তা করে দেখুন শুধু ঢেঁড়স ভুনা করলে সেটা কেমন হবে খেতে? আমি অতো চিন্তা করি না, সোজা স্বাদের রাজ্যে ঢুকে পড়ি টিকেট ছাড়া, হা হা হা।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
মাঝে মাঝে সত্য কথা মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ে। আমাদের ভাবি সন্দেহই করেনি অথচ সত্যি কথা আপনার মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ল। চোরের মন পুলিশ পুলিশ আর কি😅। যাইহোক ভাইয়া নিজের প্রয়োজনে হয়তো অনেক কিছুর পরিবর্তন করতে হয়। তাই প্রয়োজনের তাগিদে অবশ্যই প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনতে হয়। বর্তমানে ভাঙাচোরা বাসে চলাফেরা করার চেয়ে সাইকেল কিনে চলাফেরা করা আরো বেশি ভালো। তেলের যা দাম বেড়েছে তাতে করে মোটরসাইকেল কিনেও শান্তি নাই। ঢেঁড়সের রেসিপি কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে ভাইয়া। দারুন ছিল।
ভাইয়া, ভাবীর সন্দেহ দূর করতে মোটর সাইকেল কিনেই ফেলুন তাতে আপনার আরো বেশিই সুবিধা হবে,হি হি।আজকের রেসিপিটা সুন্দর ও ইউনিক ছিল।মাঝে মাঝেই নিরামিষ রেসিপি খাওয়া উচিত।যদিও আমি ঢেঁড়স ভাজি ও ভর্তা বেশি খাই তবে মনে হচ্ছে এটি খুবই স্বাদের হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
Hi, @hafizullah,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
জি ভাইয়া আপনি এবার একটা মোটরসাইকেল কিনেই ফেলেন। যদিও পেট্রোলের দাম বেড়েছে। ভাইয়া সরিষার পেস্ট দিয়ে ঢেঁড়স ভুনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মসলাগুলো একসাথে প্রস্তুত করার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তেল ও পেঁয়াজের সাথে হলুদ, মরিচ, ধনিয়া গুড়া, লবন দিয়ে কষিয়ে সরিষার পেস্ট দেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভিন্ন এবং অনন্য মনে হয়েছে। যাহোক আপনার রান্নার ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে ভুনা খেতে হয়তো মজার ছিল। যদিও আমি ঢেঁড়স খেতে পছন্দ করি।
ঢেড়স দিয়ে সরিষা ভূনা রেসিপিটা একটা ইউনিক পোস্ট মনে হয়েছে।
প্রস্ততপ্রণালী দেখে মনে হয়েছে,খুব সহজে রান্না করা যাবে।রান্নার ছবি দেখে মনে হয়েছে,অনেক টেস্টি হয়েছে।একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে!
ভাই বউ সন্দেহ করা মানুষ কিন্তু ভালো নয়। আগের কোন ব্যাপার-স্যাপার ভাবিটির রয়েছে নাকি ? যাইহোক নতুনত্বে প্রশান্ত সংসার দাবিদার আপনি। অনেক সুন্দর করে বানিয়েছেন আপনি আপনার সরিষা দিয়ে ঢেঁড়স ভুনা রেসিপিটি এখানে যেহেতু সরিষার সংমিশ্রণ রয়েছে খুবই টেস্টি হবে এটি। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে ভাই ঢাকা শহরে অনেক পুরনো গাড়ি রয়েছে যে গাড়িগুলো কারণে যাতায়াতের অনেক সমস্যা হয়। এই বাসগুলো অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায় এবং মাঝপথে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অফিসে এবং ইস্কুল কলেজ যেতে খুবই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যাইহোক আপনি খুবই ভাল একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটি মোটরসাইকেল তবে ভাবির মধ্যে ভয় কাজ করে। যে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট হয় এবং অন্য কাউরে তুলবেন এ জন্য না হাহাহা।যাই হোক তবে মোটরসাইকেল একটু সাবধানে চালাবেন এবং আপনার জন্য দোয়া রইল। যাতে সঠিকভাবে ড্রাইভিং করতে পারেন। যাই হোক আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছে। আমার কাছে একদম নতুন রেসিপি লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। সরিষা দিয়ে ঢেঁড়স ভুনা রেসিপি সত্যিই চমক দেখিয়ে দিলেন। আমি অবশ্যই বাসায় তৈরী করবো দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য
সড়িষা দিয়ে জীবনে অনেক কিছু খেয়েছি কিন্তু ঢেঁড়স ভুনা খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে ভাল লেগেছে। রেসিপির প্রস্তুত প্রনালী ভাল ছিল। তরকারী টা কি একটু আঠা আঠা হয়ে যায় যেহেতু ঢেড়স আঠালো জাতীয়, এইটা আমার কিউরিসিটি। শেষে পরিবেশন টা দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। ও হা আমি ভুলে গিয়েছিলাম প্রতিদিনের মত আজও অফিস শেষে যাত্রাবাড়ীতে আমাকে ২ ঘন্টা বসে থাকতে হবে আপনি মনে করিয়ে দিলেন-মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আর ভাবীর সাথে আমি একমত বাংলাদেশে মোটর সাইকেল চালানো ভেরি মাচ রিস্কি। আর যদি বাইক কিনেই ফেলেন সেক্ষেত্রে পিছনে যেকোন সুন্দর মানুষ বসাতে পারেন আমার আপত্তি নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপির জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে মোটরসাইকেল কিনা অনেক জরুরী। কারণ তখন বেশ আরাম করে নিজের অফিসে যেতে পারবেন। পাবলিক বাসের যন্ত্রণার হত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে। যাইহোক ভাইয়া ঢেঁড়স দিয়ে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার কাছেতো খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️♥️