নিজেকে সময় দেওয়া মানে কি স্বার্থপর হওয়া?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের সমাজে অনেক সময়ই এমন মনোভাব দেখতে পাওয়া যায় যে, যখন কেউ নিজেকে সময় দেয়, নিজের জন্য কিছু শিখে বা নিজের উন্নতির জন্য কাজ করে, তখন তাকে স্বার্থপর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে আমি মনে করি, এটা একেবারেই ভুল ধারণা। নিজেকে সময় দেওয়া মানে কখনোই স্বার্থপর হওয়া নয়, বরং এটি এক ধরনের আত্মবিশ্বাস এবং নিজের উন্নতির প্রতি দায়িত্ববোধের প্রকাশ।
ধরা যাক, যদি আমি আমার সময়ের কিছুটা অংশ নিজে শিখতে, পড়তে বা নিজেদের জন্য কাজে ব্যয় করি, তাহলে কি সেটি অন্যদের প্রতি অবিচার? আমি বিশ্বাস করি, নিজেকে সময় দেওয়া বা নিজের জন্য কিছু করার মধ্যে কোনও দোষ নেই। এটি শুধু আমার নিজস্ব উন্নতির জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদীভাবে আমার পরিবার, বন্ধু এবং সমাজের জন্যও উপকারী হতে পারে।
যেমন ধরুন, যদি আমি নিজের দক্ষতাগুলি উন্নত করি, নতুন কিছু শিখি বা ভালো কিছু করতে সক্ষম হই, তাহলে সেটি আমার চারপাশের মানুষদেরও উপকৃত করতে পারে। এটি এক ধরনের বিনিয়োগ, যা আমি নিজে উপভোগ করতে পারি এবং অন্যদেরও শিখিয়ে দিতে পারি।
বেশিরভাগ সময়, আমরা নিজের জন্য সময় দিতে ভয় পেয়ে থাকি কারণ আমরা মনে করি অন্যরা আমাদের এই কাজকে স্বার্থপর হিসেবে দেখবে। তবে আসলেই যদি আমরা জীবনের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করি, নিজেকে সময় দেওয়া এবং নিজের উন্নতি সাধন করা, পরবর্তীতে অন্যদের জন্যও লাভজনক হতে পারে। কারণ আমি যখন নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম হবো, তখন আমি আরও ভালোভাবে অন্যদের সাহায্য করতে পারব।
এছাড়া, নিজের জন্য কিছু করার সময় যদি কেউ আমাকে স্বার্থপর বলে, তবে আমি বুঝব যে তারা হয়তো এই বিষয়টি বুঝতে পারছে না। নিজেকে উন্নত করতে না পারলে, আমি কীভাবে অন্যকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারব?

