ভ্রমণ:- সকাল বেলা ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সকালবেলা ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। এখন কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়তে লাগলো। আর ঠান্ডার কারণে মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। আর আমাদের এই দিকে তো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায় না। আর গ্রামাঞ্চলে কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডায় এখন। যদিও শহরে ঠান্ডা আবার গ্রামের তুলনা থেকে কম। আর গ্রামাঞ্চলের ঠান্ডা কিন্তু অতিরিক্ত। মনে হয় সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠা হয় তখন কুয়াশা বৃষ্টির মত ঝরে। আর এই ঠান্ডার কারণে কিন্তু ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই কম বেশি অসুস্থ। তবে ঠান্ডার মাঝেও মানুষ ঘুরাঘুরি করে। তবে যারা ঘোরাঘুরি করে তারা মনে করে ঘুরলে তাদের কাছে ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে আমি আমার এক ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুরতে বাইর হলাম। মূলত আমরা দুইজন দোকানে গিয়ে নাস্তা করলাম নাস্তা করার পর ঠান্ডা অনেক তবে লোক নেই বললেই চলে। তখন তাকে বললাম চলো তাহলে একটু আমরা ঘুরে আসি। আর ছোট ভাইও রাজি হয়ে গেল ঘুরতে যাবে। যদিও আমরা ওই সময় ঠিক করি নাই কোথায় ঘুরতে যাব। পরবর্তীতে ছোট ভাই বলতে লাগলো ফসলের মাঠ দেখতে যাবে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করবে। তখন আমিও সাথে সাথে বললাম তাহলে ঠিক আছে একসাথে ঘুরে আসি। আর বলতে লাগলাম যেখানে খোলা মাঠ এবং কুয়াশার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এমন জায়গা ঘুরতে যাব।

তারপর ছোট ভাই জহির কে নিয়ে আমরা দুজন ফসলের মাঠ চর এলাকা দিকে ঘুরতে গেলাম। যদিও আমরা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম তবে ঠান্ডা অতিরিক্ত। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ঠিকমত কথা বলতে পারলাম না। কারণ যখন আমরা হাঁটতে লাগলাম তখন কিন্তু অনেক ঠান্ডা ছিল। যদিও ওই টাইম ছিল সকালবেলা এই কারণে ফসলের মাঠ এবং কোথাও লোক নেই। তবে শীতের সময় ফসলের মাঠের দিকে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো লাগলো। চারপাশ কুয়াশা ঘেরা কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এবং দূরের বাড়িগুলো মনে হয় কুয়াশার মাঝে দেখাই যাচ্ছে না। তবে আমরা যেদিকে ঘুরতে গেলাম ওই সময় ওই জায়গা জমি গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং অন্যান্য জিনিস চাষ করেছে।

কারণ এইখানে ফসলের মাঠে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ডাল ও অন্যান্য জিনিস চাষ করেছেন। তবে গ্রামের রাস্তাগুলো একে একে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আর রাস্তার উপরে গাছগুলোর মধ্যে মনে হচ্ছে বৃষ্টির পানি জমে রইলো। তবে এইগুলো হচ্ছে কুয়াশার পানি। কারণ ঘাসের মধ্যে এমন ভাবে পানি আছে সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। তারপরও আমরা কিন্তু অনেকক্ষণ সময় এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করলাম। আসলে ঠান্ডা গরম সেটা বড় কথা নয় ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর ঘুরাঘুরি মাঝে অন্যরকম ভালো লাগে। যদিও ছোট ভাই বলতে লাগলো ঠান্ডা অনেক।

তারপর আমরা কিন্তু অনেকক্ষণ সকালবেলা ঘুরাঘুরি করলাম। আর ঘুরাঘুরি করতে করতে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা চলে গেলাম। আমাদের এলাকা থেকে আমরা পাশের এলাকা পর্যন্ত ঐদিন ঘুরাঘুরি করেছিলাম। আর আমরা যখন ঘুরাঘুরি করতে গেলাম তখন কিন্তু ঠান্ডার কারণে ফসলের মাঠে একটি লোকও দেখি নাই। আর আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এখন দিনের বেলা লোক দেখা যায় না। আর গ্রাম অঞ্চলে একদম সূর্য দেখা যায় না কুয়াশার কারণে। তারপরও কিন্তু যারা ঘুরাঘুরি করে তারা কিন্তু ঘুরতে পছন্দ করে। আশা করি আজকে আমার ঘুরাঘুরি পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।