রেসিপি পোস্ট- কাঁচা কলা দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার রেসিপির পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।



.png)

বন্ধুরা আজও আমার রেসিপি পোস্ট থেকে আপনাদের মাঝে আরো একটি পুষ্টিকর সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি নিয়ে চলে এলাম। আমরা সবাই ভোজন বিলাসী। তাই মনে চায় প্রতিদিন নানা আইটেমের পুষ্টিকর বা মজাদার আইটেমগুলো রান্না করে খেতে। আমাদের প্রতিদিন রান্নার আইটেমে দুধ ডিম আমিষ জাতীয় প্রতিটি খাবারের সাথে পুষ্টিকর খাবারও কিন্তু খাওয়া দরকার। যে সকল সবজিগুলোতে পুষ্টি আমিষ শর্করা ও ভিটামিন বেশি আছে এ সকল খাবারগুলো কিন্তু আমাদের বেশি বেশি করে খেতে হবে। আর এর মধ্যে কাঁচা কলা কিন্তু একটি অনেক উপকারি সবজি। গরমের দিন কিন্তু চলে এসেছে। এই গরমে কাঁচা কলা দিয়ে বিভিন্নভাবে তরকারি রান্না করে খেলে শরীর সুস্থ থাকে। আমি কিন্তু মাঝে মাঝে কাঁচা কলা দিয়ে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আইটেমের তরকারি রান্না করে থাকি। এই রেসিপিটি আমার বাসার সবারই খুব পছন্দের একটি রেসিপি। চিংড়ি মাছ দিয়ে ও কাঁচা কলা দিয়ে রান্না করলে গরম গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন লাগে। তাই চিংড়ি মাছ দিয়ে কাঁচা কলা আমার বাসায় প্রায় রান্না করা হয়। আর এই মজাদার রান্নার রেসিপিটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে চলে এলাম। তাহলে চলুন দেখে আসি কাঁচা কলা দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপিটি কিভাবে রান্না করলাম।
কাঁচা কলা দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ

| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| কাঁচা কলা | দুই হালি |
| আলু | ২৫০ গ্রাম |
| চিংড়ি মাছ | হাফ কেজি |
| শুকনা মরিচ গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
| হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
| আদা রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
| ধনেপাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
| পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
| লবন | পরিমাণমতো |
| তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে চুলা প্যান্ট বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে পেঁয়াজগুলো লাল করে নিলাম।

ধাপ - ২ :
এবার কি আর কিছু গুলো লাল হয়ে এলে তার মধ্যে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে পিয়াজ ও তেলের সাথে চিংড়ি মাছগুলো লাল করে ভেজে নিতে হবে

ধাপ ৩ :
এরপর চিংড়ি মাছ গুলো ভাজা হলে তারমধ্যে এক এক করে হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া আদা রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে তার মধ্যে সামান্য একটু পানি দিয়ে চিংড়ি মাছ ও মসলা গুলো ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।

ধাপ - ৪ :
তারপর কষানো চিংড়ি মাছ ও মসলার মধ্যে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে আলুগুলো তার সাথে কষিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

ধাপ - ৫ :
এরপর খালুটা একটু সিদ্ধ হয়ে এলে তার মধ্যে কেটে রাখা কাঁচা কলা গুলো দিয়ে সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালো করে নেড়ে দিরে আবারো সবগুলো একসাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।

ধাপ - ৬ :
এরপর আলো ও কাঁচা কলা গুলো কোষে যখন সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন তার মধ্যে পানি দিয়ে চুলায় জ্বালে রাখতে হবে কলা ও আলু আরো ভালো করে সিদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত।

ধাপ - ৭ :
এরপর যখন দেখলাম সব সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে আসছে তখন এর মধ্যে কেটে রাখা পরিমাণ মতো ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরো পাঁচ ছয় মিনিটের মতো চুলায় জ্বালে রেখে দিলাম।

শেষ-ধাপ -
এরপর যখন দেখলাম সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে তরকারি সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং পানিগুলো তরকারি থেকে টেনে আসছে তখন গরম গরম পরিবেশনের জন্য চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

ফাইনাল আউটপুট

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপিটি? আমি কিন্তু বেশ মজা করে খেয়েছি। আশা করি আপনার আমার মত এমন করে রান্না করে বাসা খেয়ে দেখবেন। আজান নয় সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।




চিংড়ি মাছ যা কিছু দিয়ে রান্না করি না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। আসলে কাঁচা আমাদের জন্য অনেক উপকারী। তবে কাঁচকলা দিয়ে কখনো চিংড়ি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই ছোট চিংড়ি মাছ গুলো খেতে দারুণ লাগে। আপনি কাঁচকলা দিয়ে ছোট চিংড়ি মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এই রেসিপিটা গরম গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে খেতে দারুণ লাগবে। রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাঁচা কলা দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। পরিবেশটা দারুণ লেখেছে আমার।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাঁচাকলা অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি।গরমের দিনে কাঁচা কলার পাতলা ঝোল দারুণ লাগে খেতে।আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে কাঁচা কলার চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপি করেছেন। খুবই লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু গরমের দিনে কাঁচা কলা দিয়ে যেকোনো ধরনের রেসিপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি আজকে কাঁচা কলা দিয়ে চিংড়ি মাছের অনেক চমৎকার রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এ ধরনের রেসিপি অবশ্যই আগে কখনো খাওয়া হয়নি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ দাদা আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কলার যে কোনো রেসিপি আমার খুবই পছন্দের। তবে কাঁচা কলা দিয়ে এভাবে ছোট চিংড়ি মাছ রান্না করা হয়নি দেখতে কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে আপু রেসিপিটি। অসংখ্য ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে তাকার জন্য।
কাঁচকলা ও আলু দিয়ে ছোট ছোট চিংড়ি মাছের দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। মাঝে মাঝে কাঁচকলা খাওয়া হয় বেশ ভালো লাগে খেতে। আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক মজাদার একটা রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। এই রেসিপিটা দেখে আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে। এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। এই রেসিপিটা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আমার অনেক বেশি। ধন্যবাদ রেসিপিটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই মজাদার রেসিপিটা যে দেখবে তারই জিভে জল চলে আসবে। আপনি আজকে যে রেসিপিটা তৈরি করেছেন এটা আমার অনেক ফেভারিট। কয়েকদিন আগেও এই মজাদার রেসিপিটা আমার খাওয়া হয়েছিল। আর এখন তো আপনার কাছে দেখে আবারো খেতে ইচ্ছে করছে। এই রেসিপিটা যারা তৈরি করতে পারে না, তারা সহজে আপনার উপস্থাপনা দেখে তৈরি করে নিতে পারবে। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।