স্বরচিত মুক্তগদ্য।। ব্রহ্মমুখী সূর্য ও রেবতি রেবতি নক্ষত্র সিরিজ থেকে||নীলম সামন্ত
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,
সমস্ত ভারতবাসী এবং বাংলাদেশের বাঙালি সহযাত্রীদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সোর্স-নিজের আঁকা
আশা করি আপনারা ঈশ্বরের কৃপায় সুস্থ আছেন, সব দিক থেকে ভালোও আছেন। আপনাদের সবার ভালো থাকা কামনা করে শুরু করছি আজকের ব্লগ।
২২.
মাঝেমধ্যেই নিঃশর্ত স্টেশনের দিকে ছুটে যাওয়া, মাঝেমধ্যেই বাড়ি ফেরার বিকেল, অগুনতি মানুষ- হাতে ব্যাগ, সমস্ত কিছুর যোগফলকে উৎসব বলতে পারি৷ বলতে পারি হিমবাহের পেট থেকে দলাপাকা বরফের চাঁই নিজের রঙ ছড়িয়ে গলে পড়ছে৷ অবসরের ছায়ায় এখন ছাতিম বাড়ার সময়। মহাকাশে বশিষ্ঠমুণির বিশেষ খেলা।
এই সমস্ত বংশগত রোগ
অনুগত আত্মা
অমরত্বের পিঠে বোঝাই করে কে যেন চলে যায়...
তারপর থেকে সমর্থকেরা বাসযাত্রী। বাসের সিটে নিজের নাম লিখে চাদর মুড়ি দিয়ে রাসায়নিক পেখম তোলে৷ আমি উৎসবের নাম করে হাতের তালু খুলি। তালুতে ভাগ্যরেখা নেই৷ আয়ুরেখার ওপর বরফগলা নদী, বৃহস্পতির স্থানে আরব সাগর৷ এদিকে গভীরতা মাপার নেশায় যত ঝরনা প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে তাদের পায়ে অসংখ্য চুমুর দাগ। ঝুমঝুম শব্দে কেঁপে যাচ্ছে পুরুষের প্রতীক্ষা৷
পিঠের ওপর পিঠে চেপে আছে
ঘুম ভাঙলে জানি এ আমার নবজন্ম
উৎসবের অঙ্গরাগ...
মুখগুলো যেমনই হোক ভাগবত ছেড়ে ভোগবতী হবার নেশায় টলছে। চোখগুলো লাল, ছাতিম পিছু নিয়ে পৌঁছে যায় আত্মার মিলন গহ্বরে৷ সেখানে কোমর দোলানো গৃহিণী তার ব্যক্তিগত তরলে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে। মৌমাছি মরে যায় । তারপর প্রবন্ধ লেখা হয়। লেখা হয় মৌমাছির আয়ুকাল সংক্রান্ত বিভ্রান্তি৷ ডানদিন ঘেঁষে আবারও জন্মসুখ খোঁজে পাখিহীন ছাতিম।
এই অনিবার্য দিনে
রাস্তায় নেমেছে প্রগতিশীল মিছিল
উদার হাতে উদাস বাসস্টপ,
এবার যাওয়া যাক। No destination, No extra polish. গতিময়তার তলায় পিষে যায় সূর্যমুখীর জীর্ণ পাটাতন। আমি আজও বাড়ি ফেরার পথে হাঁ করে দেখি হৃৎপিণ্ডের দমকে আস্ত জাহাজ দোলে, আত্মা থেকে পাখি বেরিয়ে যায়। এই ঘর আসলে কারও না৷ পায়ের ওপর পা থাকে। ক্ষণিকের রাজত্বে জমা হয় বিষধর সাপের খোলস৷
তুমি জানো
আজও একই ভাবে ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে থাকে আদ্রতা। ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রিক হননক্রিয়া বলে আখ্যা দেওয়ার সময় পৃষ্ঠা ওলটায় ব্রহ্মের মুদ্রাদোষ৷ সাধারণ উল্কাপাত যাকে পরশ্রীকাতরতা বলে তাও জীবনের অপরিহার্য আলপিন।
পোস্টের ধরণ | ক্রিয়েটিভ রাইটিং ব্লগ |
---|---|
কবিওয়ালা | নীলম সামন্ত |
মাধ্যম | স্যামসাং এফ৫৪ |
লোকেশন | পুণে,মহারাষ্ট্র |
১০% বেনেফিশিয়ারি লাজুকখ্যাঁককে
~লেখক পরিচিতি~
আমি নীলম সামন্ত। বেশ কিছু বছর কবিতা যাপনের পর মুক্তগদ্য, মুক্তপদ্য, পত্রসাহিত্য ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করেছি৷ বর্তমানে 'কবিতার আলো' নামক ট্যাবলয়েডের ব্লগজিন ও প্রিন্টেড উভয় জায়গাতেই সহসম্পাদনার কাজে নিজের শাখা-প্রশাখা মেলে ধরেছি। কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধেরও কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গের নানান লিটিল ম্যাগাজিনে লিখে কবিতা জীবন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি৷ ভারতবর্ষের পুনে-তে থাকি৷ যেখানে বাংলার কোন ছোঁয়াই নেই৷ তাও মনে প্রাণে বাংলাকে ধরে আনন্দেই বাঁচি৷ আমার প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ হল মোমবাতির কার্ণিশ ও ইক্যুয়াল টু অ্যাপল আর প্রকাশিতব্য গদ্য সিরিজ জোনাক সভ্যতা।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সব্বাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷ ভালো থাকুন বন্ধুরা। সৃষ্টিতে থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/neelamsama92551/status/1868330244660416574?t=7eLTJOGmFvcHuy3-4WSCIQ&s=19
লেখা যদিও তেমন একটা বুঝি নি, তবে ছবিটা ভীষণ নজর কেড়েছে দিদি! তাই গেঁথে নিলাম। খুব শীঘ্রই দেখে দেখে চেষ্টা করবো আঁকার জন্য আগেই বলে রাখলাম।
নিশ্চই আঁকবেন৷ এগুলো আমার পুরনো আঁকা৷ লকডাউনে৷ 😂
দিদি তোমার এই মুক্তগদ্যগুলি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে, অসাধারণ লিখেছো।খুবই অর্থপূর্ণ যে মাথার উপর দিয়ে যায় বুঝতে, তারপরও চেষ্টা করছি বোঝার জন্য।আরো অনেক কয়েকটি পড়ে অভিজ্ঞতা নিয়ে তবেই একটি লেখার চেষ্টা করবো☺️☺️.যখন পড়ি মনে হয় টুকরো টুকরো বাস্তব জীবনের চিত্রে আঁকা গল্প পড়ছি।ধন্যবাদ তোমাকে।
একসময় লেখা হত একটি অনুভূতি নিয়ে একটি লেখা৷ কিন্তু বর্তমানে লেখার ধরণই হল একটি লেখার ভেতর অনেকগুলি লেখা৷ সত্যিই যদি লিখতে চাও বা বুঝতে চাও আমি তোমায় এই সিরিজেরই কিছু লেখা ডিএম করব, বা তুমি আমায় কল করতে পারো, কিছু লাইন বা জায়গা ধরিয়ে দিলে দেখবে তুমি সহজেই বুঝতেও পারছ আর লিখতেও পারছ।
অবশ্যই দিদি,যখন খুশি তুমি আমাকে ডিএম করতে পারো।আর সুযোগ পেলে আমিও শিখে নেব তোমার থেকে।💝