দিন যায়, মনুষ্যত্ব হারায়

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

কয়েকদিন আগে আমি একটা ভিডিও দেখছিলাম এবং সেটা আসলে আমাদের প্যানেলেও আমি শেয়ার করেছিলাম। কারণ ভিডিওটা দেখে আমার এতো বেশি খারাপ লেগেছিলো। তাই শেয়ার না করে পারলাম না। তো হঠাৎ করে ভিডিওটার কথা মনে পরতে,ভাবলাম যে আপনাদের সাথে শেয়ার করি কথাটি, যদি কারো জন্য উপকারী হয়।

যাইহোক আর বেশি কথা না বাড়িয়ে ভিডিওটার সারসংক্ষেপটা আমি একটু বলি। আসলে ভিডিওটাতে যেটা দেখাচ্ছিলো যে, কিছু সাংবাদিক কিছু লোককে ধরেছিলো। কারণ তারা খুব অস্বাস্থ্যকর উপায়ে গুড়া মশলা বানাচ্ছিলো শুধু অস্বাস্থ্যকর উপায় তা কিন্তু নয়। অস্বাস্থ্যকর না বলে আমি যদি বলি খুব ভয়ঙ্কর উপায়ে মসলার গুড়ো বানাচ্ছিলো বলি। তাহলে আরো বেশি ভালো হয় কারণ আমি কিছু বর্ণনা দিচ্ছি। তা থেকেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে মসলার গুড়ো গুলো কিভাবে বানাচ্ছিলো।

প্রথমেই লাল মরিচের গুড়োর প্রস্তুত প্রণালীটা বললো। অর্থাৎ কিছু খুব নিম্নমানের লাল মরিচের গুঁড়ো তারা কিনে এবং তার সাথে অনেক বেশি পরিমাণে গরুর ভুষি মিক্স করা হয়। অর্থাৎ গরু যে খাবারগুলো খায় এবং তার সাথে মিক্স করা হয় লাল রং। চিন্তা করতে পারেন?

এরপরে চটপটি মসলায় দেওয়া হয় কয়লার গুড়া!এই ব্যাপারটি দেখে সত্যিই আমি একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা দেখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। কারণ কোনো মানুষ কোনো মানুষকে কিভাবে কয়লার গুড়া খাওয়াতে পারে এটা সত্যিই আমার একেবারে জানা নেই। কিংবা আমার মাথাতেও ঢুকেনি। সে সাথে ওই চটপটির মসলাটাকে একটু টক বানানোর জন্য আরও বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল তারা ব্যবহার করছিলো।

সবমিলিয়ে আমি সকলকে যা বলতে চাই। তা হলো অবশ্যই অবশ্যই এই প্যাকেটের গুড়া মশলাগুলো খাওয়া বন্ধ করুন। বিশেষ করে যেসব হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো বাজারে বিক্রি হয় সেসব। এসব আসলে খাওয়া বন্ধ করা উচিত এবং অবশ্যই নিজেদের ঘরে মসলা বানানোর ব্যবস্থা করা উচিত এবং আমি আসলে আমাদের ঘরেও সেটা ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি।

আমার কাছে মনে হয় নিজেদের মসলাগুলো নিজেদের ঘরে প্রস্তুত করাই সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমানের কাজ।। কারণ আমি কিছুটা বর্ণনা তো করলামই বাইরের ওই প্যাকেটজাত মশলাগুলো বানানোর অবস্থাটা। এবার তাহলে বুঝুন যে আমরা কি খেয়ে বেঁচে আছি।

মাঝেমধ্যে সত্যিই আমার মনে হয় যে আমরা মানুষ হিসেবে কিভাবে বিবেক, বুদ্ধি, মনুষত্ব এসব সবকিছুই হারিয়ে ফেলছি এবং দিন দিন বন মানুষে পরিণত হচ্ছি।যাদের কোনো বিভেগ নেই, বুদ্ধি নেই, বিবেচনা নেই,এমনকি মনুষত্ব টাও নেই। কিন্তু তাতে আসলে কিছুই করার নেই আমাদের। যা করার আছে তা হলো নিজের অবস্থান থেকে নিজেরা সচেতন হতে পারি। কারন কি পরিমান বিষ যে আমরা প্রতিদিন খাচ্ছি সেটা হয়তো আমরা নিজেরাও জানিনা।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।