সবকিছুর পজেটিভ দিক

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যায়। প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে নিজের বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। তাই আজকেও তার অন্যথা হবে না। আজকে আসলে আমি খুব ভালো একটি ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সকলের সাথে আলোচনা করতে এসেছি এবং আশা করছি যে এই লেখাটি পড়ে আপনাদের কিছুটা হলেও ভালো লাগবে।

আমাদের জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই এবং অনেক প্রবলেম ফেস করি। যেগুলোকে আমরা নানা রকম ভাবে হ্যান্ডেল করি এবং বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতে আমরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আর প্রতিটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার সময় আমরা দুই ধরনের চিন্তা করি। একটা হলো সেই পরিস্থিতিটির নেগেটিভ দিক এবং আরেকটা হলো সেই পরিস্থিতির পজেটিভ দিক। আমি আজকে পজেটিভ দিকটা নিয়েই কথা বলবো এবং এটাও বলবো যে। আমাদের আসলে সব সময় কেমন ধরণের চিন্তাভাবনা রাখা উচিত।

যেমন আমি যদি একটা ঘটনার উদাহরণ দেই। তাহলে আপনারা খুব ভালোভাবে ব্যাপারটি ক্লিয়ার হবেন। ধরুন আপনি অফিসে যাচ্ছেন এবং অফিসে যাওয়ার সময় দেখলে যে আপনার পাউরুটির টোস্ট টি অনেক বেশি পুড়ে গিয়েছে। যার কারণে আপনার লেট হচ্ছে এবং আপনার আবার দ্বিতীয়বার সেই টোস্টটি করে খেতে হচ্ছে। এরপরে দেখলেন যে, আপনার গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলো মাঝপথে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে আপনার কাজে পৌঁছাতে বেশ অনেকটা লেট হয়ে গেলো।

আচ্ছা এবার ভাবুন যে এই পরিস্থিতিতে আপনার প্রথমে কোন ব্যাপারটি মাথায় আসবে? আমি যদি ভুল না বলি। তাহলে আপনার মনে হবে তখন যে, আজকের দিনটাই একেবারে মাটি গেলো। কিন্তু আমার কথা হলো। আমরা কি এই ব্যাপারটাকে একটু পজিটিভ ভাবে, ভাবতে পারি না?

অর্থাৎ এই ঘটনাগুলোর পজিটিভ দিক আমি যদি বলি। তাহলে হয়তো আপনার ওই লেইট করাটা ছিলো সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া আপনার উপহার। হয়তো আপনি যাওয়ার সময়েই ওই রাস্তাটাতে এমন কোনো এক্সিডেন্ট হতে পারতো। যেটাতে আপনার প্রাণ নাশ হতে পারতো এবং এ কারণেই সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছে করে আপনাকে কিছুটা দেরি করিয়েছেন। কিংবা এমনও হতে পারে যে, আপনি যদি ওই কাজটাতে অনেক দ্রুত পৌঁছে যেতেন। তাহলে হয়তো আপনার ওই কাজে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। এই কথাগুলোর অল্প কিছু অংশ আমি সেদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে পড়েছিলাম এবং পরে আসলে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিলো লেখাটি। আর যেটা না বললেই নয়। সেটা হলো এই পাউরুটির টোস্ট এর বেশ সুন্দর একটা বর্ণনা রয়েছে। যেটা বেশ ভালো একজন লেখক লিখেছেন।

এই উদাহরণটি দেওয়ার একটাই কারণ। সেটা হচ্ছে প্রতিটি পরিস্থিতিতে যদি আমরা সেই পরিস্থিতি গুলোর পজিটিভ দিকগুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করি। তাহলে দেখবেন যে আমাদের নিজেদের জীবনের সমস্যাগুলো অনেকটা অংশই কেটে গিয়েছে এবং আমাদের মধ্যে একটা পজিটিভিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে আমরা সবগুলো কাজ বেশ সুন্দরভাবে করতে পারছি। কারণ মানুষের জীবনের জন্য পজেটিভ থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।